শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা দরপতনের বৃত্তে আটকে আছে পুঁজিবাজার। এক সপ্তাহ আগে এমনই পতনে ডুবে গিয়েছিল পুঁজিবাজারের সূচক। এরপর মাঝে গত সপ্তাহের তিন কার্যদিবস টানা উত্থানের পর ফের পাঁচ কার্যদিবস পতনে আটকে গেছে পুঁজিবাজার। ফলে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের দরপতনে লেনদেন শেস হয়েছে। একই অবস্থা দেশের আরেক পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।

ফলে অব্যাহত দরপতনের কারণে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ক্রমেই ভারী হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রকট হচ্ছে বিনিয়োগকারীদের আস্থা। লোকসান কাটিয়ে ওঠার কোনো পথই যেন পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। এত নিয়ন্ত্রক সংস্থা থাকা সত্ত্বেও বাজারে আজ এ অবস্থা বিরাজ করছে। আসলে পুঁজিবাজার অভিভাবকহীন হয়ে পড়েছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলছেন, ক্রমাগত সূচকের পতন হলে সে সময় নতুন বিনিয়োগ মানেই মূল্য সমন্বয় করা। অর্থাৎ কোনো একটি কোম্পানির শেয়ার বেশি দামে কেনার পর সেই শেয়ারের দর কমে গেলে আবারও সেই কোম্পানিতে বিনিয়োগ করলে শেয়ারের ক্রয়মূল্য কমে আসে। পরবর্তী সময়ে যখন পুঁজিবাজার ভালো হয়, তখন অল্প দিনেই মুনাফায় ফেরা যায়। এখন পুঁজিবাজারে শুধুই পতনের ধাক্কা। ফলে মূল্য সমন্বয়ের পরও পতন থাকছে না। নতুন বিনিয়োগের পর মূল্য সমন্বয় করা হলেও মুনাফায় ফেরা যাচ্ছে না। এতে বাড়ছে হতাশা, কমেছে বিনিয়োগ।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১২৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৪৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৯৬ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৪০২ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩ টির, দর কমেছে ১৫২ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭ টির। ডিএসইতে ৩২৮ কোটি ৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৬ কোটি টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৪৪ কোটি ৩ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৭৫ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৮৬ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৬ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৭০ টির এবং ৩০ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ২৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।