শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা দরপতনের বৃত্ত থেকে কিছুতেই বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। ফলে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন গ্রামীণফোন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকো, রবি, ম্যারিকো, বাটা সু, বার্জার পেইন্টের মতো ভালো ও বড় মূলধনের বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের ভর করে মূল্যসূচক নামমাত্রা বেড়েছে। এছাড়া সূচক ও লেনদেন কিছুটা বাড়লেও আতঙ্ক কাটেনি বিনিয়োগকারীদের। এদিন কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর তবে টাকার পরিমানে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

একাধিক বিনিয়াগকারীরা বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজারের মূল সমস্যা আস্থা সংকট। তাই যে কোন মূল্যে বিনিয়োগকারীদের আস্থা সংকট দুর করতে হবে। এক্ষেত্রে মার্কেট মেইকার ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের নিয়ে দ্রুত বিএসইসি’র বসা উচিত। কারণ মার্কেট মেইকার ছাড়া বাজার উঠা সম্ভব নয়। তেমনি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে। এছাড়া সূচকের টানা উত্থানের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে .৩৮ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১১২ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৩৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১২০ টির, দর কমেছে ২১৯ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৬ টির। ডিএসইতে ৩৮৯ কোটি ৯৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৭৫ কোটি ৭৮ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩১৪ কোটি ১৬ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ২৯৪ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১১ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬০ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১২১ টির এবং ৩০ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১২ কোটি ৭৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।