পুঁজিবাজারে সূচকের পতন হলেও লেনদেন ছাড়িয়েছে ৫০০ কোটি টাকা

শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এনিয়ে টানা দু’কার্যদিবস সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ফলে সূচকের পতন হলেও বাজার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ এর আগেও পুঁজিবাজারে টানা চার কার্যদিবস সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছিলো। ফলে সূচকের টানা উত্থানের পর একটু কারেকশন ইতিবাচক বাজারের লক্ষণ। এছাড়া সূচকের উঠানামার মধ্যে স্থিতিশীল হচ্ছে পুঁজিবাজার। কারণ বর্তমান বাজার একটানা সূচকের উত্থান হচ্ছে না, তেমনি পতন হচ্ছে না বলে তারা মনে করেন।
এদিকে দাম বাড়ার ক্ষেত্রে এক কার্যদিবস দাপট দেখানোর পরই সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে বিমা খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের ঢালাও দরপতন হয়েছে। তবে সূচক কমলেও বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমানে লেনদেন। তবে দীর্ঘদিন পর ডিএসইতে লেনদেন বেড়ে ৫০০ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) দাম কমার তালিকায় রয়েছে বেশি সংখ্যক কোম্পানি। এতে এ বাজারটিতেও মূল্যসূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এর মাধ্যমে টানা পাঁচ কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী থাকার পর সূচকের দরপতন হলো।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৬১ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৮৮ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৬ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯৭ টির, দর কমেছে ২২১ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৮ টির। ডিএসইতে ৫০৫ কোটি ১৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫৬ কোটি ৮২ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৪৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ।
অপরদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৭১ পয়েন্টে। সিএসইতে ১৮৯ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০১ টির এবং ২০ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৪ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।