আস্থা ফিরিয়ে পুঁজিবাজার গতিশীল করা বিএসইসি’র বড় চ্যালেঞ্জ

আলমগীর হোসেন ও শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের শিল্পায়নে দীর্ঘমেয়াদি পুঁজির জোগান দেয় পুঁজিবাজার। কিন্তু বর্তমানে এখানে মূল সমস্যা আস্থার সংকট। গত কয়েক বছরে নানা কারণেই এই আস্থার ঘাটতি তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে শিবলী রুবাইয়াত কমিশনের আমলে বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা সংকট বেশি দেখা যায়। এর মধ্যে চরম সংকটময় পরিস্থিতি কাটিয়ে নতুন বছরের চার মাস অতিক্রম করলেও এখনো আস্থা ফিরেনি পুঁজিবাজারে। বিশেষ করে রাশেদ মাকসুদ কমিশনের আমলে জরিমানা হিড়িকে আতঙ্কে রয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
কারণ বিনিয়োগকারীদের মাঝে আতঙ্ক না কাটলে বাজার স্থিতিশীল করা কঠিন। এ অবস্থায় বর্তমান পরিস্থিতিতে আস্থা ফিরিয়ে পুঁজিবাজার গতিশীল করা বিএসইসি’র জন্য বড় চ্যালেঞ্জ মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। কারণ কয়েক বছর ধরে চলমান বৈশ্বিক অনৈতিক মন্দা, ব্যাংক খাতে অস্থিরতা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ সংকট, অর্থ পাচার ও রাজনৈতিক অস্থিরতাসহ বিভিন্ন কারণে মন্দাভাব কাটিয়ে উঠতে পারেনি পুঁজিবাজার।
ফলে বড় ধরনের লোকসানের মধ্যে পড়তে হয়েছে বিনিয়োগকারীদের। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আশা-নিরাশার দোলাচলে শুরু হচ্ছে নতুন বছর ২০২৫। এ বছর স্টেকহোল্ডারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরিয়ে পুঁজিবাজারে গতিশীল করাই বড় চ্যালেঞ্জ বলে মনে করছেন তারা।
এদিকে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের উত্থান হলেও কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা বেড়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২০৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৭২ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯২৭ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৫ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৯ টির, দর কমেছে ১৬৮ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৮ টির। ডিএসইতে ৫৪০ কোটি ১৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১২ কোটি ৯৮ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫২৭ কোটি ১৮ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫০৯ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১৬ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৭ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৮৬ টির এবং ৩৩ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৪৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।