রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে চিঠি

দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে টানা পতনে দেশের পুঁজিবাজার। এতে পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। এছাড়া বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ কমিশনের ওপর আস্থা পাচ্ছে না বিনিয়োগকারীরা। ফলে দিন যতই যাচ্ছে পুঁজিবাজারের অবস্থা ততই ভয়াবহ খারাপের দিকে যাচ্ছে। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা কী ভাবে পুঁজি টিকিয়ে রাখবেন তা নিয়ে হা হুতাশ বাড়ছে।
তাছাড়া রাশেদ মাকসুদ কমিশনের দায়িত্ব নেওয়ার ৮ মাস অতিবাহিত হলেও এখন আস্থা ফেরাতে পারেনি পুঁজিবাজার। বরং দিন দিন বিনিয়োগকারী কমেছে পুঁজিবাজারে। মুলত গত ১৮ আগস্ট চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন রাশেদ মাকসুদ। বরং দিন যতই যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। এমন অবস্থায় বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
তার পদত্যাগেই পুঁজিবাজার চলমান সমস্যার একমাত্র সমাধান বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা। সম্প্রতি বিএসইসি চেয়ারম্যান ও ইনভেস্টমেন্ট কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি তুলে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, শেখ হাসিনার আমলে খায়রুল কমিশনের সময় ধারাবাহিকভাবে বহুবছর ধরে পুঁজি হরিয়ে নিঃস্ব হয়েছে লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারী। শেখ হাসিনার আমলে তারই আর্শিবাদে পুষ্ট বিএসইসি চেয়ারম্যান শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলামের সময় এই পতন আরও ব্যাপক আকার ধারণ করে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের চরম সংকটময় মূহুর্তে আপনি প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব গ্রহণের পর নতুন বাংলাদেশের অপরিমিত আশায় বুক বেধে অভ্যূত্থান পরবর্তী সময় নতুন করে বিনিয়োগকারীরা আবারও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই বিনিয়োগকারীদের আশায় গুড়ে বালি দিয়ে অর্থ উপদেষ্টা খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে বিএসইসির চেয়ারম্যান নিযুক্ত করেন।
যিনি কোন ভাবেই বিএসইসির মত প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিত্ব করার মত যোগ্যতা ধারন করেন না। তার নিয়োগ পরবর্তী সময়ে খোদ কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ডিবিএ, পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সকল প্রতিষ্ঠান ও সকল স্তরের বিনিয়োগকারীরা তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা অব্যাহত রাখেন।
এতে আরও বলা হয়, অর্থ উপদেষ্টা আইসিবির চেয়ারম্যান পদে বয়োবৃদ্ধ আবু আহমেদকে নিয়োগ দেন। এই দুই কুশীলবের নিয়োগের পর থেকে পুঁজিবাজারে দরপতন অব্যহত থাকে। লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারীর প্রতিবাদের মুখে অর্থ উপদেষ্টা কোন কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ তো করেননি উপরোন্তু অর্থ উপদেষ্টা দম্ভ করে বলেন, “আমি মাকসুদকে বলেছি তুমি তোমার কাজ করতে থাক”। কথিত আছে যে, খন্দকার রাশেদ মাকসুদ অর্থ উপদেষ্টার বন্ধুর মেয়ের জামাই।
ইতোমধ্যে বিনিয়োগকারীরা তাদের পুঁজির ৭০-৮০ শতাংশ হারিয়ে ফেলেছেন। এই অবস্থায় বিএসইসির চেয়ারম্যান পদ থেকে অযোগ্য খন্দকার রাশেদ মাকসুদ ও আইসিবি চেয়ারম্যানের পদ থেকে অধ্যাপক আবু আহমেদকে অপসারন করলে লক্ষ লক্ষ বিনিয়োগকারীর বিনিয়োগ সুরক্ষা পবে বলে মনে করেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।