শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ধীরে ধীরে নিস্তেজ হয়ে পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। দিন যতই যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসানের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। আর নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না করে বাজার সংস্কার করছেন। ফলে তলানিতে ঠেকেছে লেনদেন। মনে হচ্ছে পুঁজিবাজার আর কোরামিন দিয়ে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। কারন শিবলী কমিশন কোরামিন নিয়ে বাজার বাঁচিয়ে রেখে বিনিয়োগকারীদের নি:স্ব করেছেন। আর যেটুকু পুঁজি ছিল গত ৮ মাসে রাশেদ মাকসুদ কমিশন বিনিয়োগকারীদের পথে বসিয়ে দিয়েছেন। ফলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের মাঝে চলছে হাহাকার আর নীরব ‘রক্তক্ষরণ’। এ যেন দেখার কেউ নেই। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীদের দেয়ালে পিট ঠেকে গেছে।

এদিকে শেখ হাসিনা সরকারের পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফিরে আসার প্রত্যাশায় ফের সক্রিয় হন বিনিয়োগকারীরা। তবে দীর্ঘ আট মাসেও তা দৃশ্যমান না হওয়া বিনিয়োগকারীরা ক্ষুব্ধ। এমন পরিস্থিতিতে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অপসারনের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দিয়েছে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমআইএ)।

আগামীকাল বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে বিক্ষোভ মিছিল করবেন ক্ষতিগ্রস্ত বিনিয়োগকারীরা। মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) সমন্বয়ক ও প্রধান মুখপাত্র মো. নুরুল ইসলাম মানিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের কারণে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে আগামীকাল বুধবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবনের সামনে বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশন থেকে বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে।

সকল বিনিয়োগকারী ও অংশীজনকে এ বিক্ষোভ মিছিলের অংশ নেওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। এদিকে গত ১৫ এপ্রিল বিএসইসি ও আইসিবির চেয়ারম্যানের পদত্যাগ চেয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।