রাশেদ মাকসুদে পদত্যাগে পুঁজিবাজারে সূচক বাড়বে ১ হাজার পয়েন্টের বেশি

মনির হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক পতন এবং ‘অস্বাভাবিক সেল প্রেসার’ বা অতিরিক্ত বিক্রির চাপ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছেন বিনিয়োগকারীরা। গত সপ্তাহে কোন কারণ ছাড়াই পুঁজিবাজারে সূচকের বড় সূচকের দরপতন হয়েছে। এসময় ডিএসইর প্রধান সূচক ১২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে। মুলত বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা না থাকায় বিনিয়োগকারীরা বাজারবিমুখ হয়ে পড়ছেন। যার ফলে টানা দরপতনের মুখে পুঁজিবাজার। এ অবস্থায় রাশেদ মাকসুদ পদত্যাগ না করলে পুঁজিবাজার ঘুরে দাঁড়ানো চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া বিনিয়োগকারীদের মাঝে আস্থা ফেরাতে প্রধান কাজ রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ।
এদিকে গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে রাজনৈতিক ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর পুঁজিবাজারের হাল ধরেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ। ওই দিন ডিএসইর প্রধান ডিএসইএক্স সূচক ছিল ৫৭৭৫.৪৯ পয়েন্টে। তিনি কাজে যোগ দেওয়ার ৮ মাস অতিবাহিত হলেও পুঁজিবাজারে গতিশীলতা ফিরে আসেনি। বরং বিনিয়োগকারীদের অনাস্থা বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত ৮ মাসে ডিএসইএক্স সূচক ৮০২.৯০ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৭২ পয়েন্টে।
একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের উপর বিনিয়োগকারীদের কোন আস্থা নেই। তিনি গত ৮ মাসেও পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে পারেনি। বরং গত আট মাসে বিনিয়োগকারীরা বড় ক্ষতির শিকার হয়েছে। তিনি সংস্কারের নামে পুঁজিবাজারকে ধ্বংস করেছেন। এ অবস্থায় রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের বিকল্প নেই বলে মনে করছেন তারা। রাশেদ মাকসুদ পদত্যাগ করলেও পুঁজিবাজারে সূচক এমনই ১০০০ হাজার বাড়বে বলে বিনিয়োগকারীরা মনে করেন।
বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করেন, গত সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। পুঁজিবাজারের এই অস্থিরতার পেছনে একটি সংঘবদ্ধ চক্রের কারসাজি রয়েছে, যা সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিপদে ফেলছে। এমনকি কোনো সংগঠিত চাপ থাকত তবে কেন অন্যান্য অর্থনৈতিক খাতে নেতিবাচক খবর থাকলেও তারা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। অথচ পুঁজিবাজারে তেমন কোন নেতিবাচক চাপ নেই, তারপরও প্রতিদিনই পুঁজিবাজার নাজুক অবস্থার মুখোমুখি হচ্ছে।
বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) ক্লিন ইমেজের কর্মকর্তাদের মাধ্যমে যৌথ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। একইসঙ্গে তারা ডিএসই এবং সিএসই ট্রেডিং ডেটা বিশ্লেষণ করে অস্বাভাবিক লেনদেনকারী একাউন্টগুলো চিহ্নিত করার দাবি জানিয়েছেন।