শহীদুল ইসলাম ও মনির হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা ৯ কার্যদিবস দরপতনের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের উত্থান হলেও কমেছে টাকার পরিমানে লেনদেন। মুলত গত ৯ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক কমেছিল ২৩৩ পয়েন্ট। মুলত টানা সূচকের দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মাঝে হা হুতাশ বেড়ে যায়। অবশেষে ২৩৩ পয়েন্ট পতনের পর সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে ডিএসইতে ২২.৮৭ পয়েন্ট সূচকের উত্থান হয়েছে।

মুলত সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে লেনদেনের মাঝামাঝিতে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের গুঞ্জন উঠে। রাশেদ মাকসুদ পদত্যাগ করছে এমন খবরে উচ্ছ্বসিত সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। যার ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে পুঁজিবাজারে। এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে ৫৫ পয়েন্ট পর্যন্ত কমে যাওয়ার দিনেই লেনদেন শেষে প্রধান সূচকে যোগ হয়েছে ২২ পয়েন্ট। সেই সঙ্গে ডিএসইতে বেড়েছে অধিকাংশ শেয়ারের দরবৃদ্ধি। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের উপর বিনিয়োগকারীদের কোন আস্থা নেই। মুলত রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগের গুঞ্জনে সূচকের বড় পতন থেকে উত্থান হয়েছে এটা সুস্পষ্ট প্রমান। আশা করি রাশেদ মাকসুদ পদত্যাগ করলে ডিএসইতে ১ হাজারের বেশি পয়েন্ট সূচকের উত্থান হবে। কারণ রাশেদ মাকসুদ কমিশনের উপর বিনিয়োগকারীদের আস্থা নেই।

পুঁজিবাজারে গত ১৭ বছর বিনিয়োগকারীদের যে ক্ষতি না হয়েছে গত ৮ মাসে তার চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। তিনি গত ৮ মাসেও পুঁজিবাজারে আস্থা ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এছাড়া সংস্কারের নামে বিনিয়োগকারীদের বড় ক্ষতির মুখে ফেলেছেন। এ ক্ষতি কাটিয়ে উঠা খুবই কছিন বলে মনে করেন তারা।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৯৯৫ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১০৮ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৫২ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৩৫ টির, দর কমেছে ৯৯ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৩ টির। ডিএসইতে ৩৩৮ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ২৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৬৭ কোটি ১৪ লাখ টাকার।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৯৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৬০ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১০ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮২ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১০০ টির এবং ২৮ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৬৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।