দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে রক্তক্ষরণ চলছে। ফলে বিপর্যস্ত বিনিয়োগকারীরা পুঁজি হারিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। দিন যতই যাচ্ছে বিনিয়োগকারীদের লোকসান ততই বাড়ছে। এছাড়া পুঁজিবাজারে গত ৮ মাসের দরপতনে বড় ক্ষতির মুখে পড়ছেন বিনিয়োগকারীরা। গত বছরের ৫ আগস্টের পর কার্যত অভিভাবকহীন ছিল বিএসইসি। এসময়ে ঊর্ধ্বমুখী ছিল পুঁজিবাজার। দেশের প্রধান পুঁজিবাজার সূচক ডিএসইএক্স প্রায় ৮০০ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়ে গিয়েছিল। লেনদেনও বেড়ে ২ হাজার কোটি টাকা অতিক্রম করেছিল।

কিন্তু গত বছরের ১৯ আগস্ট খন্দকার রাশেদ মাকসুদ যোগদানের পর থেকে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫৭৭৫ পয়েন্ট থেকে ৮৩৯ পয়েন্ট কমে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত তা দাঁড়িয়েছে ৪৯৩৬ পয়েন্টে। লেনদেন দুই হাজার কোটি টাকা থেকে নেমে আসে তিনশত কোটিতে। টানা দরপতনের প্রতিবাদে প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার দুপুরে মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পুরনো ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন বিনিয়োগকারীরা।

এসময় পুঁজি হারিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এক বিনিয়োগকারী আর্তনাদ করে বলেন, আমাদের বাঁচান, আমাদের পুঁজি শেষ। রাশেদ মাকসুদ কমিশনের ৮ মাসে আমাদের পুঁজি শেষ হয়ে গেছে। টানা দরপতন হলেও বিএসইসি চেয়ারম্যান বিদেশ ভ্রমন করছে। অথচ প্রতিদিনই মূলধন হারাচ্ছে বিনিয়োগকারীরা।

বিক্ষোভে একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, রাশেদ মাকসুদ পুঁজিবাজার বুঝেন না। এটা শুধু সাধারন বিনিয়োগকারীদের কথা না। এই কথা এখন বিএসইসির সাবেক স্বনামধন্য চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডারদের। তাই মাকসুদের অপসারন করা উচিত। অন্যদিকে আজ দুপুর আড়াইটায় মতিঝিল ডিএসই ভবনের সামনে বিনিয়োগকারীদের আরেকটি অংশ রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।