প্রেস বিজ্ঞপ্তি, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: গত ১০ই মে ২০২৫খ্রি. রোজ-শনিবার, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি) চত্বরে এক নির্মম, কাপুরুষোচিত ও আইইবির ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা ঘটে। ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)-এর বর্তমান অবৈধ ও দখলদার নেতৃত্ব কর্তৃক আহ্বানকৃত বিতর্কিত EOGM-এর প্রতিবাদে এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (এ্যাব) ও এক্স-জেসিডি ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (ইইবি) এর যৌথ উদ্যোগে শান্তিপূর্ণ “প্রকৌশলী মহাসমাবেশ” এর আয়োজন করা হয়।

সমাবেশ উপলক্ষে ইইবি, এ্যাব সদস্যরা সচেতন প্রকৌশলী সমাজকে সাথে নিয়ে আইইবি প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে গেলে, দখলদার গোষ্ঠী মূল ফটক বন্ধ করে দেয় এবং পূর্বপরিকল্পিতভাবে বহিরাগতদের সহায়তায় ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করে। এতে প্রকৌ. শফিকুল ইসলাম খান, প্রকৌ. মুয়িদ রুমি, প্রকৌ. কাজী আবুল কাশেম, প্রকৌ. শিহাবসহ এ‍্যাব ও ইইবির ১৫-২০ জন সম্মানিত প্রকৌশলী নেতা মারাত্বকভাবে আহত হন।

সবচেয়ে মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যখন তিতাস গ্যাস এর সাবেক জেনারেল ম্যানেজার, ডুয়েট জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রথম সভাপতি এবং ইইবির যুগ্ম-আহ্বায়ক প্রিয় নেতা প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম খান ইটের আঘাতে মাথায় গুরুতর জখমপ্রাপ্ত হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে প্রথমে ইবনে সিনা এবং পরে স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকাল ১০:০০ ঘটিকায় তিনি স্কয়ার হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আমরা এসোসিয়েশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (এ্যাব) ও এক্স-জেসিডি ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (ইইবি) এর পক্ষ থেকে এই নৃশংস ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করছি এবং তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা বিস্মিত, মর্মাহত এবং ক্ষুব্ধ যে দেশের সৎ, দেশপ্রেমিক প্রকৌশলী, যিনি আজীবন জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী ছিলেন, তাকে এভাবে হত্যা করা হলো, শুধুমাত্র একটি গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চা করতে গিয়ে। আইইবি’র বিগত ৭৭ বছরের ইতিহাসে এমন মর্মান্তিক ঘটনা কখনও ঘটেনি। আমরা দেশের সকল প্রকৌশলী সমাজকে এই অবৈধ দখলদারদের বর্জনের আহ্বান জানাচ্ছি।

আমরা বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জন্যব তারেক রহমান এর প্রতি বিনীত আহ্বান জানাই এই বর্বরোচিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে যেন অবিলম্বে দল থেকে বহিষ্কার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়। আমরা ঘোষণা করছি, এক্স-জেসিডি ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ (ইইবি) এই অবৈধ দখলদার গোষ্ঠীকে আইইবি থেকে বিতাড়িত করে প্রকৌশলীদের মর্যাদা ও অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সর্বাত্মক আন্দোলন গড়ে তুলবে।