বিনিয়োগকারীদের কফিন মিছিল, ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম, কর্মসূচির হুঁশিয়ারি

আলমগীর হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের পতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে টানা দরপতনে পুঁজি হারিয়ে পাগল প্রায় বিনিয়োগকারীরা। তেমনি ৯০ শতাংশ বিনিয়োগকারী পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হওয়ার পথে। তবে টানা দরপতন হলেও বাজার ইস্যুতে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছেন না বিএসইসি। ফলে পুঁজিবাজারে রক্তক্ষরণ চলছে।
যা মেনে নিতে পারছেন না ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা। তাই পুঁজিবাজারের অবস্থার পরিবর্তন ও বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের অপসারণের দাবিতে কফিন মিছিল করেছেন বিনিয়োগকারীরা। রোববার (১৮ মে) দুপুর আড়াইটায় মতিঝিল শাপলা চত্বরে বাংলাদেশ ক্যাপিট্যাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমআইএ) ব্যানারে বিক্ষোভ সমাবেশ ও কফিন মিছিল করেন বিনিয়োগকারীরা।
মিছিলের পূর্বে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিনিয়োগকারীরা বলেন, বিএসইসির চেয়ারম্যান পতিত স্বৈরাচারীর মতো আচরণ করছে। বাজারের খারাপ পরিস্থিতি নিয়ে অংশীজনরা কথা বলেছেন বলে তিনি মিটিংয়ে তাদেরকে শাসিয়েছেন। ব্যর্থতার পরেও তিনি নির্লজ্জের মতো নিজের পদ আকঁড়ে ধরে রেখেছেন।
তাঁরা বলেন, আসছে কুরবানীর আগে বিএসইসির চেয়ারম্যান বিনিয়োগকারীদের কুরবানী দেওয়া শুরু করেছে। রাশেদ মাকসুদ এই পদে থাকবে না, পুঁজিবাজারে আস্থা ফিরবে, রাশেদ মাকসুদ পদে থাকবে পুঁজিবাজারে আস্থা থাকবে না। বিনিয়োগকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, স্বৈরাচার পালিয়েছে কিন্তু আপনারা পালানোর গর্ত খুঁজে পাবেন না।
বাংলাদেশ ক্যাপিটাল মার্কেট ইনভেস্টর অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম ইকবাল বলেন, বাংলাদেশের পুঁজিবাজার আজ পরিণত হয়েছে নব্য স্বৈরাচারের আয়নাঘরে। ৩৩ লাখ বিনিয়োগকারীকে আয়না ঘরে বন্দি করা হয়েছে।
তিনি ৪৮ ঘন্টার মধ্যে বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদ, আইসিবি চেয়ারম্যান আবু আহমেদের অপসারণ দাবি করেছেন। সেইসাথে সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, বিএসইসি চেয়ারম্যান রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ না হলে এবার এমন কর্মসূচি দেওয়া হবে যা চিন্তাও করতে পারবেন না।