দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা উত্থান হলেও বাজার নিয়ে অজানা আতঙ্ক কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। কারণ বাজার টানা দরপতনে অধিকাংশ বিনিয়োগকারীদের ৯০ শতাংশের বেশি মূলধন হারিয়েছে।

এ অবস্থায় নতুন করে বিনিয়োগ করার ভরসা পাচ্ছে না। তবে ডিএসইতে মূল্যসূচকের সঙ্গে লেনদেন বাড়লেও সিএসইতে মূল্যসূচক ও লেনদেন কমেছে। এর আগে টানা দরপতনের মধ্যে পড়ে গত সোমবার ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ২০২০ সালের ২৫ আগস্টের পর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে যায়।

অভিজ্ঞ বিনিয়োগকারীর সাথে আলাপকালে বলেন, বর্তমান পুঁজিবাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের দ্বিধা ও অনিশ্চয়তা কাজ করছে। একদিকে বাজেটকে সামনে রেখে পুঁজিবাজারে সম্ভাব্য কর ছাড় ও নীতিগত সহায়তার আশ্বাস, অন্যদিকে বাজারে দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার ঘাটতি এখনো কাটেনি। ফলে নতুন করে বিনিয়োগ করার ভরসা পাচ্ছেন না বিনিয়োগকারীরা। এ অবস্থায় বিনিয়োগকারীরা বাজার পর্যবেক্ষণ করছেন।

বাজার বিশ্লেষকদের মতে, পুঁজিবাজারে আস্থার সংকট ঘাটতি কাটিয়ে ওঠার জন্য শুধু কর প্রণোদনা নয়, বরং প্রয়োজন দীর্ঘমেয়াদি কাঠামোগত সংস্কার এবং বাজারের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার নিশ্চয়তা দিতে হবে। তবেই বিনিয়োগকারীদের মনোবল দৃঢ় হবে এবং বাজারে টেকসই উন্নয়ন দেখা যাবে। এছাড়া মুখের বুলি দিয়ে বাজার উন্নয়ন করা সম্ভব নয় বলে তারা মনে করেন।

সূত্র মতে, সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ডিএসইর লেনদেন শেষে প্রধান সূচক ‘ডিএসইএক্স’ ১৮ দশমিক ৭১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৭৯৫ পয়েন্টে। অন্য সুচকগুলোর মাঝে, শরিয়াহ সূচক ‘ডিএসইএস’ ৫ দশমিক ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৭ পয়েন্টে আর ‘ডিএস৩০’ ৮ দশমিক ০৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৮০ পয়েন্টে। এদিন ডিএসইতে মোট ২৯৭ কোটি ৭১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।

গত কার্যদিবসে লেনদেন হয়েছিলো ২৮৮ কোটি ৭৮ লাখ টাকার শেয়ার। সে হিসাবে আগের কার্যদিবসের তুলনায় লেনদেন বেড়েছে ৮ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। আজ লেনদেন হওয়া ৩৯০ টি কোম্পানির মধ্যে দাম বেড়েছে ২১১ টির, কমেছে ১০৪ টির অপরদিকে অপরিবর্তীত রয়েছে ৭৫ টি কোম্পানির শেয়ারদর।

অন্য পুঁজিবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৭ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৭৪ কোম্পানির মধ্যে ৬৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৬৫টির এবং ৪০টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১৬ কোটি ১১ লাখ টাকা।