দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ভিন্ন ভিন্ন খাতের পাঁচটি কোম্পানির বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। কোম্পানিগুলো হলো: বেক্সিমকো লিমিটেড, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস, শাইনপুকুর সিরামিকস, রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলস (আরএসআরএম) এবং নিউ লাইন ক্লোথিংস। এদের মধ্যে বেক্সিমকো গ্রুপের রয়েছে তিনটি প্রতিষ্ঠান। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বিএসইসির অতিরিক্ত পরিচালক মুহাম্মদ জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি সূত্র জানায়, তদন্তের আওতায় কোম্পানিগুলোর স্পন্সর-ডিরেক্টরদের যৌথ শেয়ারহোল্ডিং, আর্থিক বিবরণী সময়মতো দাখিল, বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) আয়োজন এবং অভ্যন্তরীণ লেনদেন বা ইনসাইডার ট্রেডিং হয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে।

গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, বেক্সিমকো গ্রুপের ব্যাংকঋণের পরিমাণ ৪ হাজার বিলিয়ন টাকা ছাড়িয়ে গেছে, যার বড় অংশই এখন মন্দ ঋণে পরিণত হয়েছে। শাইনপুকুর সিরামিকসের গত ডিসেম্বর পর্যন্ত স্বল্পমেয়াদি ঋণের পরিমাণ ছিল ৬৯৪ মিলিয়ন টাকা।

তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মধ্যে রতনপুর স্টিল রি-রোলিং মিলসের স্পন্সর-ডিরেক্টরদের যৌথ শেয়ার ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ছিল মাত্র ২৯.৯৩ শতাংশ। কোম্পানিটি ‘জেড’ ক্যাটাগরির অন্তর্ভুক্ত এবং ২০১৭ অর্থবছর থেকে মুনাফা হ্রাস পেতে শুরু করে। ২০২১ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ৩৭৯ মিলিয়ন টাকার রেকর্ড লোকসান দেখিয়েছে। ডিএসইর ওয়েবসাইটে ২০২১ সালের পর প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক কোনো তথ্য নেই।

অন্যদিকে, নিউলাইন ক্লোথিংস কোম্পানিটি ২০২১ অর্থবছরের পর থেকে আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করেনি। চলতি বছরের এপ্রিলে ডিএসই-এর একটি পরিদর্শন দল প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ অবস্থায় পায়। নসম্প্রতি বিএসইসি নির্দেশ দিয়েছে, যেসব তালিকাভুক্ত কোম্পানির স্পন্সর-ডিরেক্টরদের সম্মিলিত শেয়ার ৩০ শতাংশের নিচে, সেসব কোম্পানিকে স্বাধীন পরিচালক নিয়োগ দিতে হবে। একই নির্দেশনা ‘জেড’ ক্যাটাগরির কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে।