শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পতন কেটে ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফেরার ইঙ্গিত দিচ্ছে দেশের পুঁজিবাজার। গত সপ্তাহে লেনদেন হওয়া ৫ কার্যদিবসের মধ্যে ৪ কার্যদিবসেই ডিএসইতে সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এতে সপ্তাহজুড়ে দাম বাড়ার তালিকায় নাম লিখিয়েছে অধিক সংখ্যক কোম্পানি। ফলে বেড়েছে মূল্যসূচক।

একই সঙ্গে বেড়েছে বাজার মূলধন। পাশাপাশি লেনদেনের গতিও বেড়েছে। এর মাধ্যমে টানা চার সপ্তাহ পুঁজিবাজারে মূল্যসূচক বাড়লো। গত সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, পুঁজিবাজার দীর্ঘদিনের অনিশ্চয়তা কাটিয়ে স্থিতিশীলতার পথে হাঁটতে শুরু করছে। ফলে বাজারের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের। এছাড়া বাজার ঘুরে ফিরে সব সেক্টরে মুভমেন্ট করার চেষ্টা করছে। এটা বাজারের জন্য ভাল দিক। তেমনি বাজারের প্রতি আস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের। গত জুন মাসের শুরু থেকে উত্থানে ছিলো পুঁজিবাজার।

ঐ সময়ের মধ্যে ১৬ কার্যদিবস লেনদেনে ১১ কার্যদিবস বেড়েছে সূচক। আর বাকি পাঁচ কার্যদিবস সূচক কমেছে। মুলত ১১ কার্যদিবসে সূচক বেড়েছে ৩৬৪ পয়েন্ট। এছাড়া ৫ কার্যদিবসে সূচক কমেছে ১৬৬ পয়েন্ট। তেমনি নতুন অর্থবছরের শুরুতে সূচকের টানা উত্থানে বিনিয়োগকারীরা নতুন করে বাজারমুখী হচ্ছেন। যার কারণে বাড়ছে লেনদেন ও সুচক। বাজারের এ গতি চলমান থাকলে বাজারবিমুখ বিনিয়োগকারীরা ফের বাজারমুখী হবে বলে মনে করছেন বাজার সংশ্লিষ্টরা

জানা গেছে, বিদায়ী সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস লেনদেন শুরুর আগে ডিএসইতে বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৫ কোটি টাকা। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস লেনদেন শেষে দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৬৬ হাজার ০৬ কোটি টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন ৪ হাজার ৪৪১ কোটি টাকা বা দশমিক ৬৭ শতাংশ বেড়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ৫৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। আগের সপ্তাহে হয়েছিল ১ হাজার ৮১২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন ১৩১ কোটি ৭৪ লাখ টাকা বেড়েছে।

সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬১ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৮৯৪ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৬ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১ হাজার ৬৫ পয়েন্টে এবং ১ হাজার ৮৩৬ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯৬ টি প্রতিষ্ঠান শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ২৫৭ টির, কমেছে ১০৩ টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬ টির শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর।