করোনা মহামারির শঙ্কা, জুনের তৃতীয় সপ্তাহ ভয়ংকর!
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশে করোনার ক্রমবর্ধমান সংক্রমণের হার এ মাসের তৃতীয় সপ্তাহে লাফ দিয়ে বেড়ে যেতে পারে। তখন চলমান মাঝারি গতির সংক্রমণ ও ধীরগতির মৃত্যুহারও লাফ দিয়ে বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনকি এখন আক্রান্ত এলাকায় সংক্রমিত একজনের থেকে যে সোয়া একজনে রোগটি ছড়াচ্ছে; তখন সেটা একজনের থেকে আড়াইজনে ছড়াতে পারে। সবচেয়ে বেশি খারাপ পরিস্থিতি হতে পারে ঢাকা শহর ও এর আশপাশে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জসহ চট্টগ্রামের বেশ কিছু এলাকা।
সংক্রমণের এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিকে বন্ধ বা প্রতিরোধ করার জন্য জোনভিত্তিক লকডাউন ব্যবস্থা দ্রুত বাস্তবায়নের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, সংক্রমণটা দ্রুত কমাতে হবে। রোগীদের শনাক্ত করে আইসোলেট করে চিকিৎসা দিতে হবে। নতুবা সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটতে পারে।
এ ব্যাপারে করোনা মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও ভাইরোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম দেশ রূপান্তরকে বলেন, আগের তুলনায় সংক্রমণ হার ১ শতাংশ বেড়েছে। ১৮-২১ শতাংশের মধ্যেই ওঠানামা করছে। কিন্তু ওপরে উঠছে না। একটা ফ্ল্যাট বা সমতল জায়গায় রয়েছে। সামান্য ওঠানামা করছে। বাড়ছে না। এটা আমাদের একটা বিরাট সুবিধা। এই সমতল পরিস্থিতি থেকে সংক্রমণের হার নামাতে হবে। এজন্য কঠোরভাবে লকডাউন করতে হবে।
আরও পড়ুন…….
একই পরামর্শ দিয়েছেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি দেশ রূপান্তরকে বলেন, সংক্রমণের হার না কমালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে না। মানুষ থেকে মানুষের সংক্রমণটা বন্ধ করার জন্য সামাজিক দূরত্ব বিধিনিষেধ বা লকডাউন, সেটা দ্রুত কার্যকর করা উচিত। এটা খুবই ভালো সিদ্ধান্ত। কিন্তু দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। এটা ধীরগতির হয়ে যাচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে একদিনে করোনায় সর্বোচ্চ আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড হয়েছে। রোগটিতে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৪৭১ জন ও মারা গেছেন ৪৬ জন। সব মিলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ৮১ হাজার ৫২৩ জন এবং মৃত্যু ১ হাজার ৯৫ জন। দেশে করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ ধরা পড়ে ৮ মার্চ। এর ১০ দিনের মাথায় প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। এরপর গত ১০ জুন একদিনে সর্বোচ্চ ৩ হাজার ১৯০ জন নতুন রোগী শনাক্তের তথ্য দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
তার আগের দিন সর্বোচ্চ ৪৫ জনের মৃত্যুর তথ্য দেওয়া হয়। গতকাল শুক্রবার এই দুই রেকর্ড ছাড়িয়ে গেল। গত এক সপ্তাহ ধরেই দেশে করোনার উদ্বেগজনক সংক্রমণ ও মৃত্যু ঘটছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গত এক সপ্তাহে তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, গত এক সপ্তাহে আক্রান্ত হয়েছেন ১৮ হাজারের বেশি এবং মারা গেছেন ২৪৯ জন। এক সপ্তাহ আগে গত ৬ জুন দেশের মোট ৫২ ল্যাবরেটরিতে ১২ হাজার ৪৮৬টি নমুনা পরীক্ষা করে দুই হাজার ৬৩৫ করোনা রোগী শনাক্ত হয়।
ওইদিন পর্যন্ত আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ২৬ জন। ল্যাবরেটরিতে করোনা শনাক্তকরণ পরীক্ষা শুরুর পর থেকে ৬ জুন পর্যন্ত মোট ৩ লাখ ৮৪ হাজার ৮৫১ নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এক সপ্তাহ পর গতকাল ১২ জুন রাজধানীসহ সারা দেশে ৫৯টি ল্যাবে ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৪৭১ নতুন রোগী শনাক্ত হয়। মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ায় ৮১ হাজার ৫২৩ জনে। একইভাবে গত ৬ জুন পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৩৫ জনের মৃত্যুসহ মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা ছিল ৮৪৬ জন। এক সপ্তাহ পর ১২ জুন পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় ৪৬ জনসহ মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৯৫ জন।
আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম বিভাগ। এ পর্যন্ত মোট মারা যাওয়া ১ হাজার ৯৫ জনের মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ৩১৯, ঢাকা বিভাগে ৩১৬, চট্টগ্রাম বিভাগে ২৮৮, ময়মনসিংহ বিভাগে ২৩, রাজশাহী বিভাগে ২৭, রংপুর বিভাগে ৩২, খুলনা বিভাগে ১৭, বরিশাল বিভাগে ২৯ এবং সিলেট বিভাগে ৪৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
করোনার এই বর্তমান পরিস্থিতি সামনে খুবই আশঙ্কাজনক পর্যায়ে উন্নীত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে মনে করছেন ডা. মুশতাক হোসেন। তিনি বলেন, এখন যে করোনা পরিস্থিতি, সেটা দুই সপ্তাহ আগের অর্থাৎ ৩১ মে সব খুলে দেওয়া হলো, তার আগের পরিস্থিতি। ৩১ মে’র পর সংক্রমণ অনেক বেড়েছে। সে ক্ষয়ক্ষতিটা ৩১ মে’র পর তিন সপ্তাহের মাথায় অর্থাৎ জুনের তৃতীয় সপ্তাহে দেখতে পাব। সেটা এখনকার চেয়ে বেশ বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
কাজেই এই পরিস্থিতি ক্রমবর্ধমান এবং আরকটা লাফ দেয় কি না- সেই ভয় রয়েছে। এখন মাঝারি গতিতে চলছে। যেটা মে মাসের শেষ সপ্তাহে এসে লাফ দিয়ে যে বৃদ্ধি, সেটাই চলছে। সুতরাং এই ক্রমবর্ধমান পরিস্থিতিকে বন্ধ বা প্রতিরোধ করার জন্য জোনভিত্তিক যে লকডাউন ব্যবস্থা, সেটা দ্রুত বাস্তবায়ন করা দরকার। যেন সংক্রমণটা দ্রুত কমাতে পারি। রোগীদের শনাক্ত করে আইসোলেট করে চিকিৎসা দিতে পারি।
তবে করোনার বর্তমান সংক্রমণের হার এখনো একটা সমতল জায়গায় রয়েছে বলে জানান অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, এখন নমুনা বেশি সংগ্রহ ও পরীক্ষা বেশি হচ্ছে। তাই সংক্রমণের হারটাও বেড়ে গেছে। দেশে গড়ে ২০ শতাংশ হারে আক্রান্ত হচ্ছে। আমরা যেটা ভেবেছিলাম ঈদের ১৪ দিন পরে বাড়বে। সেটা কিন্তু দেখতে পাচ্ছি না। যে রকম লোকের আচার-আচরণ, চালচলন, মাস্ক পরার প্রবণতা, তাতে মনে হচ্ছে ২০-২১ শতাংশ সংক্রমণ হবে। যদি কোনো অঘটন না ঘটে এবং এই পরিস্থিতি থাকে, তাহলে আর বাড়বে না।
অবশ্য দেশে করোনায় মৃত্যুহার এখনো সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে বলে মনে করেন এই দুই বিশেষজ্ঞ। এ ব্যাপারে অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, যদি সংক্রমণের হার বাড়ে, তাহলে মৃত্যুর হারও বাড়বে। আমরা অনেক রোগীকে হাসপাতালে নিতে পারছি না। হাসপাতালে জায়গা নেই। যদি সংক্রমণের সংখ্যা বাড়তেই থাকে, তাহলে রোগীরা হাসপাতাল, অক্সিজেন ও আইসিইউ পাবে না। তখন মারা যাবে। তবে এখন যে মৃত্যুর হার দেখানো হচ্ছে, সেটা আরও বেশি হবে। কারণ অনেক মৃত্যুর খোঁজ আমরা পাচ্ছি না। এখন যে মৃত্যু হচ্ছে, সেটার বেশিরভাগ অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি মারা যাচ্ছে চিকিৎসার অভাবে। ভবিষ্যতে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লে একই কারণে মৃত্যুর হার আরও বাড়বে।
ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, আমাদের দেশে মৃত্যুর হার এখনো কম। বৈশ্বিক যে মহামারী, যে সব দেশে মহামারীর বিস্ফোরণ ঘটেছে, সেখানে হঠাৎ করেই মৃত্যুর হারটা বেড়ে গেছে। আমাদের এখানে এখনো সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটেনি। তবে যে পরিস্থিতি, সেই বিস্ফোরণের আশঙ্কা রয়েছে। যদি আগামী দিনে সংক্রমণের বিস্ফোরণটা হয়, তখন এক লাফে মৃত্যুহার অনেক বেড়ে যাবে। এখন যে মৃত্যুহার, সেটা ধীরগতির সংক্রমণ বোঝাচ্ছে। ধীরগতির সংক্রমণটা মাঝাারি গতির হয়েছে। কিন্তু মৃত্যুহারটা ধীরগতির সংক্রমণেই রয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে ঠিক কবে নাগাদ করোনার সংক্রমণ কমতে পারে জানতে চাইলে অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, কবে নাগাদ পরিস্থিতির উন্নতি হবে, সেটা নির্ভর করছে আমাদের কর্মকান্ডের ওপর। আমরা যদি ঠিকমতো লকডাউন করতে পারি, তাহলে কম সময়ে নেমে যাবে। লকডাউন এলাকায় যারা শনাক্ত তাদের আরোগ্য করতে হবে। তাদের থেকে যেন আর না ছড়ায়, সে জন্যই কিন্তু লকডাউন।
তাই লকডাউন এলাকায় দ্রুত পরীক্ষা করে শনাক্ত করতে হবে। করোনার ‘সর্বোচ্চ চূড়া’ বা ‘পিক’ সম্পর্কে জানতে চাইলে এই বিশেষজ্ঞ বলেন, এখন যে হার, সেটাই ‘পিক’। ‘পিক’ মানে একটা উঁচুতে উঠে গেল, তারপর নামল। আমাদের এখানে ‘ফ্ল্যাট পিক’। মানে এভারেস্ট না। এটাই ‘পিক’। এখন এখান থেকেই কমাতে হবে।
এখনো দেশে করোনার সংক্রমণ মাঝারি গতিতে রয়েছে- উল্লেখ করে ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, পরীক্ষা অনুপাতে শনাক্তের যে হার (গত ২৪ ঘণ্টায় ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ) সেটা মাঝারি মাত্রার সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। পাকিস্তানে এই হার এখন ২৫ শতাংশ। আমাদের এখানে প্রতি ৫ জনে একজনের বেশি। অর্থাৎ আক্রান্ত এলাকায় প্রতি পাঁচজনের টেস্ট করে একজনের মধ্যে করোনা পজিটিভ পাওয়া যাচ্ছে।
করোনা সংক্রমণের আন্তর্জাতিক হিসাব হচ্ছে, একজন আক্রান্ত ব্যক্তি থেকে আড়াই থেকে তিনজন সংক্রমিত হচ্ছেন। বাংলাদেশে একজনের কাছে থেকে সোয়া একজনের মধ্যে ছড়াচ্ছে। অর্থাৎ চারজনের কাছে থেকে পাঁচজনে ছড়াচ্ছে। এই হার আন্তর্জাতিকভাবে একজনের থেকে আড়াইজনে ছড়াচ্ছে। আমাদের এখানে এখনো কম আছে। কারণ সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটেনি। কমিউনিটিতে ক্লাস্টারভিত্তিক ছড়াচ্ছে। আমরা এখন ভয় পাচ্ছি যে, শহরাঞ্চলে বিস্ফোরণ যদি ঘটে, তাহলে একজনের থেকে গড়ে আড়াইজনের মধ্যে ছড়াবে।
এমন পরিস্থিতিতেও সংক্রমণ ও মৃত্যুর বিস্ফোরণ আমরা এখনো ঠেকাতে পারি উল্লেখ করে অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে চাই, তাহলে সংক্রমণের যে গতি, সেটাকে নিচে নামাতে হবে। এমনিতেই নামবে না। আমাদের আচার ব্যবহার যদি ঠিক থাকে, তাহলে সংক্রমণের হার ২১ বা ২০ শতাংশের মধ্যেই থাকবে। এই হারও অনেক। জোন করে লকডাউন দিতে হবে। ঢাকা শহরে অনেকগুলো রেড জোন হবে। সেগুলোকে খুব কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।
একই পরামর্শ দিয়ে রোগতত্ত্ববিদ ডা. মুশতাক হোসেন বলেন, এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণের পরিস্থিতি ও সময় আমাদের রয়েছে। এখনই যদি ঠেকাতে না পারি তাহলে পরিস্থিতি খুবই খারাপ হবে। পাশের দেশ পাকিস্তানে অনেক বেড়ে গেছে। ভারতের মহারাষ্ট্রে ঘনীভূত মহামারীর ইঙ্গিত দিচ্ছে। আমাদের এখানেও ঢাকা ও ঢাকার আশপাশে এবং চট্টগ্রামে একই রকম আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বুলেটিন : গতকাল শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫০২ জন। সব মিলে এ পর্যন্ত মোট ১৭ হাজার ২৪৯ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন। এ-সময় যে ৪৬ জন মারা গেছেন, তাদের মধ্যে ৩৭ জন পুরুষ, ৯ জন নারী। তাদের ৩২ জন হাসপাতালে ও ১৪ জন বাড়িতে মারা যান।
যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে ১৯ জন ঢাকা বিভাগের, ১১ জন চট্টগ্রাম বিভাগের, ৩ জন সিলেট বিভাগের, ২ জন রাজশাহী বিভাগের, ৩ জন বরিশাল বিভাগের, ৫ জন রংপুর বিভাগের, ১ জন খুলনা বিভাগের, ২ জন ময়মনসিংহ বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন। এদের মধ্যে ১ জন রোগীর বয়স ছিল ১০০ বছরের বেশি। এছাড়া ১ জনের বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে, ৭ জনের বয়স ৭০ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে, ১৫ জনের বয়স ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে, ১২ জনের বয়স ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে, ৩ জনের বয়স ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে, ৬ জনের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে, ১ জনের বয়স ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ছিল।
বুলেটিনে জানানো হয়, সারা দেশে ৫৯টি পরীক্ষাগারে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজার ৯৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ। আর শনাক্ত রোগীর সংখ্যা বিবেচনায় সুস্থতার হার ২১ দশমিক ১৬ শতাংশ, মৃতের হার ১ দশমিক ৩৪ শতাংশ। পরীক্ষাগারের তালিকায় নতুন যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবরেটরি, ইমপেরিয়াল হাসপাতাল এবং ঢাকার ড. লালপ্যাথ ল্যাব বাংলাদেশ।