প্রস্তাবিত বাজেট ‘যুগান্তকারী’ প্রতিক্রিয়া জানিয়েও ডিএসইর ৬ দাবি
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট যুগান্তকারী, অভূতপূর্ব, ব্যবসাবান্ধব ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের অনুকূলে হয়েছে বলে তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ায় এমনটি জানিয়েছিল দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। এ জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। তবে কয়েকদিন না যেতেই হতাশা থেকে চূড়ান্ত বাজেটে ৬ দাবি করেছে স্টক এক্সচেঞ্জটি।
পুঁজিবাজার ইস্যুতে সরকারের সাথে আলোচনা করবে বিএসইসি
পুঁজিবাজারে সামান্য উত্থান হলেও লেনদেন বেড়েছে
সিজিআইএ গ্লোবাল কাউন্সিলের সদস্য হলেন অধ্যাপক নিজামী
বাজেট ঘোষণার দিন ডিএসইর চেয়ারম্যান ও সাবেক আমলা ইউনুসুর রহমান সংবাদ মাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশা অনুযায়ী ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে দেশের শেয়ারবাজারের জন্য একগুচ্ছ প্রণোদনা প্রদান করা হয়েছে। এরমাধ্যমে বিনিয়োগকারীদের প্রত্যাশার সাথে প্রাপ্তির সমন্বয় হয়েছে। এজন্য ডিএসই অর্থমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, শেয়ারবাজারের উন্নয়ন এবং বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে বন্ড মার্কেটকে শক্তিশালীকরণের মাধ্যমে শিল্পায়নের জন্য ব্যাংক নির্ভরতা কমানো, বাজেটে অপ্রর্দশিত টাকা শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের সুযোগসহ বিভিন্ন প্রণোদনার জন্য ডিএসই বিশেষভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছে। আর সরকারের ইতিবাচক মনোভাবের ফলে ক্রমবিকাশমান শেয়ারবাজার আরো গতিশীল হবে বলে ডিএসই আশা প্রকাশ করে৷
বাজেট শেয়ারবাজারের জন্য এতো ভালো দাবি করে প্রতিক্রিয়া জানানোর পরেও হতাশা থেকে ৫দিনের ব্যবধানে ৬টি প্রস্তাব করেছে ডিএসই। মঙ্গলবার (১৭ জুন) ডিএসইর পরিচালনা পর্ষদ বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সঙ্গে (বিএসইসি) দাবিগুলো নিয়ে আলোচনা করে। একইসঙ্গে কমিশনকে দাবিগুলো বাস্তবায়নে করণীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান করে।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, দাবিগুলোর মধ্যে অপ্রদর্শিত অর্থ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বিনিয়োগকৃত অর্থ সম্পূর্ণভাবে লকইন ফ্রি এবং কর হার ৫ শতাংশ করা জরুরী বলে জানায় ডিএসই। অন্যথায় ১০ শতাংশ কর দিয়ে ব্যাংকের এফডিআর বা সঞ্চয়পত্রে অপ্রদর্শিত অর্থ বিনিয়োগের সুযোগ পেলে কোন বিনিয়োগকারী শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করবে বলে মনে করে না স্টক এক্সচেঞ্জটি।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে- ব্রোকার হাউজগুলোকে শেয়ার লেনদেনের ওপর উৎসে কর ০.০৫ শতাংশের পরিবর্তে ০.০১৫ শতাংশ করা, লভ্যাংশ আয়ের করমুক্ত সীমা ৫০ হাজার থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ টাকা করা, তালিকাভুক্ত কোম্পানির কর্পোরেট কর হার বিদ্যমান ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ এবং তালিকাভুক্ত ব্যাংক, ব্যাংক-বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বীমা কোম্পানির কর হার ৩৭.৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩২.৫০ শতাংশ নির্ধারণ করা, দুই মাসের মার্জিন ঋণের সুদ মওকুফ ও চলতি অর্থবছরের সিডিবিএল বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব রক্ষনাবেক্ষণ ফি মওকুফের দাবী জানিয়েছে ডিএসই।