ফ্লোর প্রাইস উঠানোর প্রশ্নেই উঠে না, সিন্ধান্ত নেয়নি কমিশন
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে চলমান ফ্লোর প্রাইস উঠানোর বিষয়ে কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। যে তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে তা সঠিক নয় বলে জানিয়েছে বিএসইসি। বিএসইসি’র উর্ধতন কতৃপক্ষ দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। করোনার কারণে বিধ্বস্ত শেয়ারবাজার কিছুটা স্থিতিশীল হলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।তবে কিছু অনলাইন পোর্টাল এ জাতীয় নিউজ করায় বিএসইসি চেয়ারম্যান দু:খ প্রকাশ করছেন বলে বিশ্বস্ত সুত্রে জানা গেছে।
আজ বুধবার সিএসইর অনলাইন সংবাদ সম্মেলনে অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কমিশনার ড. মিজানুর রহমান বলেন, নতুন কমিশন মে মাসের ২০ তারিখে দায়িত্বভার বহন করেছে। দায়িত্ব গ্রহণ করার পর পরই স্টক এক্সচেঞ্জ চালু করার উদ্যোগ গ্ররণ করি।
পুঁজিবাজার ইস্যুতে সরকারের সাথে আলোচনা করবে বিএসইসি
পুঁজিবাজারে সামান্য উত্থান হলেও লেনদেন বেড়েছে
সিজিআইএ গ্লোবাল কাউন্সিলের সদস্য হলেন অধ্যাপক নিজামী
তিনি বলেন, আপনারা জানেন গত ১৯ মার্চে বিশেষ পরিস্থিতিতে তৎকালীন কমিশন ফ্লোর প্রাইস চালু করার জন্য একটি প্রবিধান জারি করে। বর্তমান কমিশন বিনিয়োগকারীদের অবাদ লেনদেনে বিশ্বাসী। একটি বিশেষ পরিস্থিতির কারনে ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনাটি দেওয়া হয়। তবে অন্যান্যদের মতো আমরাও শেয়ারবাজারে অবাধ ও উন্মুক্ত লেনদেন চাই। তাই আশা করি অচিরেই বিনিয়োগকারীরা সেই সুযোগ পাবে। এর মাধ্যমে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন, বিনিয়োগকারীদের অবাধ লেনদেনে সকল বাঁধা দূর করা হবে।
এদিকে গত কয়েক দিনে ধরেই ফ্লোর প্রাইস উঠানোর জন্য একটি সিন্ডিকেট জোরালো দাবি জানিয়ে আসছে। তাদের দাবি ফ্লোর প্রাইসের কারণে বাজারে কাঙ্খিত দামে বিনিয়োগকারীরা শেয়ার কিনতে পারছে না। তারা লেনদে বাড়ানোর জন্য ফ্লোর প্রাইস উঠানোর দাবি করেন। অন্যদিকে অপরপক্ষের মত হলো: বিনিয়োগকারীদের স্বার্থের কথা চিন্তা করে বর্তমানে ফ্লোর প্রাইস বজায় রাখা উচিত। এটি উঠিয়ে দিলে কারসাজিকারকরা অল্প দামে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ পাবে।
বিষয়টি নিয়ে তাৎক্ষনিক বিএসইসির সাথে যোগাযোগ করা হয় দৈনিক দেশ প্রতিক্ষণের পক্ষ থেকে। বিএসইসি কর্তৃপক্ষ বলেছেন, ফ্লোর প্রাইস উঠানোর বিষয়ে কমিশনে কোন আলোচনাই হয়নি। বাজার স্বাভাবিক হলে এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে কমিশন।