ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের তথ্য চেয়েছে ডিএসই
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের আত্মসাৎ হওয়া নিট পাওনা অর্থের তথ্য জানাতে অনুরোধ জানিয়েছেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী সানাউল হক। সম্প্রতি ব্রোকারেজ হাউসটির কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে আত্মগোপনে চলে গেছেন এর মালিক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদ উল্লাহ। এতে হাউসটির মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করা বিনিয়োগকারীরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন।
পুঁজিবাজারে হঠাৎ লেনদেন বৃদ্ধির নেপথ্যে আইসিবি
ব্রোকারেজ হাউটির কার্যক্রম বন্ধ থাকায় বিনিয়োগকারীদের শেয়ার ও টাকা আটকে রয়েছে। বিনিয়োগকারীদের এসব টাকা ও শেয়ার ফিরিয়ে দেয়ার অংশ হিসেবেই বিনিয়োগকারীদের তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার ডিএসই থেকে বিনিয়োগকারীদের উদ্দেশে দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ এখন বন্ধ।
এ জন্য ব্রোকারেজ হাউজটির বৈধ গ্রাহকদের তাদের শেয়ার ও অর্থ ফেরত পেতে ডিএসইর প্রধান নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা (সিআরও)-এর কাছে নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে বলা হয়েছে। এছাড়া তথ্য ও সহায়তার জন্য ০২-৯৫৬৪৬০১ টেলিফোন নম্বরে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে। এ বিষয়ে একটি হট লাইনও চালু করেছে ডিএসই। এই হট লাইনে তথ্য ও সহায়তার জন্য যোগাযোগ করা যাবে। এ ক্ষেত্রে ০১৭১৩২৭৬৪১৬ মোবাইল নম্বরে অথবা icald@dse.com.bd ই-মেইলে যোগাযোগ করতে হবে।
করোনা মহামারির মধ্যে সম্প্রতি ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে এর মালিক শহিদ উল্লাহ আত্মগোপনে চলে যান। তার কোনো সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না। বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে আসেন ডিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী ছানাউল হক।
ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটিজ একটি পুরাতন প্রতিষ্ঠান। এ হাউজটির আর্থিক হিসাব খারাপ ছিল না। এমনকি মে মাসেও সমন্বিত আর্থিক হিসাবে ঘাটতি ছিল না। তারপরেও অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একটি দুর্ঘটনা ঘটে গেছে। যা সমাধানে ডিএসই দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে।
‘হাউজটির মালিকরা যেন বিদেশে যেতে না পারে, সে লক্ষ্যে পল্টন থানায় অভিযোগ করা হয় এবং মালিকদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার জন্য পদক্ষেপ নিতে বাংলাদেশ ব্যাংকে অনুরোধ করে। এখন তাদের ১০টির বেশি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের ৮২ কোটি টাকার শেয়ার ও ইউনিট ফ্রিজ করা হলেও বিনিয়োগকারীদের দেনা-পাওনার বিষয়টি এখনো পরিষ্কার না। ৮২ কোটি টাকার বাইরে ওই হাউজে বিনিয়োগকারীদের কত টাকার শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে বা নগদ কত টাকা পাওনা রয়েছে, তা পরিষ্কার না। তবে ফ্রিজ করা শেয়ারের বাইরে যদি পাওনা থাকে, তাহলে ট্রেক বিক্রি করে তা মেটানো হবে।
পাওনা টাকা নিয়ে ক্রেস্ট সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারীদের হতাশ না হওয়ার অনুরোধ করে কাজী সানাউল হক বলেন, প্রয়োজন হলে ট্রেক বিক্রি ও সম্পদ বিক্রি করে পাওনা সমন্বয় করা হবে। এ লক্ষ্যে দ্রুত কাজ করা হচ্ছে।