পুঁজিবাজারে ঘুরে ফিরে স্থিতিশীলতার আভাস
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দুই কার্যদিবস বড় পতনের পর বুধবার বড় উত্থানে শেষ হয়েছে পুঁজিবাজারের লেনদেন। ফলে পুঁজিবাজারে ঘুরে ফিরে স্থিতিশীলতার আভাস দেখা দিয়েছে। বিনিয়োগকারীদের বর্তমান বাজারের প্রতি আস্থা ফিরে পাচ্ছে। কারণ বাজার একটানা বাড়ার পর দরসংশোধন ইতিবাচক বাজারের লক্ষণ। এদিন উভয় শেয়ারবাজারের সব সূচক বেড়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে টাকার পরিমাণে লেনদেন।তবে আজ বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই ও সিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
পুঁজিবাজারে ঘুরে ফিরে স্থিতিশীলতার আভাস
জানা গেছে, ডিএসইতে ডিএসইএক্স ৬৯ পয়েন্ট বেড়ে ৪ হাজার ৭৮৯ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আজ ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১৪ পয়েন্ট, ডিএসই-৩০ সূচক ৩৫ পয়েন্ট এবং নতুন চালু হওয়া সিডিএসইটি সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে ১০৯৫, ১৬৪৪ ও ৯৬১ পয়েন্টে।ডিএসইতে টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৪৯ কোটি ৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট। যা আগের দিন থেকে ৯৬ কোটি ৫৪ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৫২ কোটি ৪৯ লাখ টাকার।
পুঁজিবাজারকে স্থিতিশীল রাখতে সর্বাত্বক সহযোগিতা করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক
ডিএসইতে ৩৫৭টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫১টির বা ৪২ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ১৭৫টির বা ৪৯ শতাংশের এবং ৩১টি বা ৯ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২২২ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৭১৩ পয়েন্টে।
এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৮২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১২৫টির, কমেছে ১৩২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৫টির দর। আজ সিএসইতে ৩৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। বুধবার দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ারে৷ এদিন এ খাতের শেয়ারে ৩১৪ কোটি ৫৯ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আজকের মোট লেনদেনের ২৭.৩৮ শতাংশ৷
ওষুধ খাতের পরের অবস্থানে রয়েছে ব্যাংক খাত। বুধবার ব্যাংক খাতে ১৬৩ কোটি ১৪ লাখ ৭০ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা আজকের মোট লেনদেনের ১৪.২০ শতাংশ। তৃতীয় স্থানে থাকা বীমা খাতে ১২৫ কোটি ৯৪ লাখ ৪০ হাজার টাকার বা মোট লেনদেনের ১০.৯৬ শতাংশ হয়েছে৷ চতুর্থ অবস্থানে রয়েছে প্রকৌশল খাত। এ খাতটিতে আজ ৮৭ কোটি ৪১ লাখ ৩০ হাজার টাকা বা মোট লেনদেনের ৭.৬২ শতাংশ হয়েছে। জালানী ও বিদ্যুত খাত রয়েছে পঞ্চম স্থানে। এ খাতের মোট লেনদেনের পরিমাণ ৮৭ কোটি ৫৮ লাখ ২০ হাজার টাকা। যা আজকের মোট লেনদেনের ৭.৬২ শতাংশ৷