বন্ধ চিনিকল ঝিলবাংলা ও শ্যামপুর সুগার কি চালু হচ্ছে!
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: বন্ধ চিনিকলগুলো চালু করতে পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করেছে শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। শিল্প মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভায় লোকসানের মূল কারণ উৎঘাটন করে বন্ধ চিনিকলগুলো চালু করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে। তবে এ উদ্যোগ নেওয়ার পর বিনিয়োগকারীদের মাঝে প্রশ্ন জাগছে ঝিলবাংলা ও শ্যামপুর সুগারের কি হবে। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত এ দুই প্রতিষ্ঠানের উৎপাদন দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ।
লোকসানের বোঝা কমাতে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দুই কোম্পানি ঝিলবাংলা ও শ্যামপুর সুগার বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্যশিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি)। আপাতত এসব চিনিকলে চলতি ২০২০–২১ অর্থবছরের আখমাড়াই বন্ধ রয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগে জরাজীর্ণ কারখানাগুলো আধুনিকায়ন করে চিনির পাশাপাশি স্পিরিট, অ্যালকোহলসহ অন্যান্য উপজাত পণ্য উৎপাদনের পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সংস্থাটি।
কমিটির সভাপতি আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত সভায় এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সদস্য শিল্প মন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার, এ, কে এম ফজলুল হক, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন, মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান, কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ এবং মো: শফিউল ইসলাম সভায় অংশ নেন।
সভায় আয়োজিনযুক্ত লবণ বিল-২০২১, চিনি শিল্পের সার্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এছাড়া বিসিআইসির অধীনস্থ ইউরিয়া সার কারখানাসমূহের ডিলারদের নিকট থেকে নিরাপত্তা জামানত হিসেবে প্রাপ্ত অর্থ ১১১ কোটি ৮৫ লাখ ৮০ হাজার টাকা কোন কোন ব্যাংকে রাখা হয়েছে সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
সভায় ইতোপূর্বে জাতীয় সংসদে উত্থাপিত এবং পরীক্ষা নিরীক্ষাপূর্বক রিপোর্ট প্রদানের জন্য কমিটিতে প্রেরিত আয়োডিনযুক্ত লবণ বিল, ২০২১’ সম্পর্কে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে আলোচনা এবং কতিপয় সংযোজন, সংশোধন ও পরিমার্জনের পর বিলটি জাতীয় সংসদে পাশের উদ্দেশ্যে সংশোধিত আকারে সংসদে রিপোর্ট প্রদানের সুপারিশ করা হয়।
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন সকল অধিদফতরের কেনাকাটায় মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন গ্রহণ এবং সকল কারখানায় ইউরোপ, আমেরিকা এবং জাপান থেকে যন্ত্রপাতি ক্রয়ের পাশাপাশি একই কোম্পানির অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ ক্রয় করার জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া, সভায় বন্ধ চিনিকলগুলো চালুকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ, চিনিশিল্পে লোকসানের মূল কারণ উৎঘাটন, অপ্রয়োজনীয় জনবল ছাঁটাই এবং অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীর ন্যায় ট্রেড ইউনিয়নের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকেও যথানিয়মে কাজে উদ্বুদ্ধ করতে পরামর্শ দেয়া হয়।
শিল্প মন্ত্রণালয়ের সচিব, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানগণসহ শিল্প মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ সভায় উপস্থিত ছিলেন। সূত্র : বাসস