পুঁজিবাজারে নেগেটিভ ইক্যুইটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই: শেখ শামসুদ্দিন
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে লেনদেন মধ্যস্থাকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ের যে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে তা আরও বাড়ানো হবে। তাই নেগেটিভ ইক্যুইটির সমন্বয় নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানিয়েছে শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) কমিশনার অধ্যাপক শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ।
সোমবার রাজধানীর হোটেল পূর্বাণীতে ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরাম (সিএমজেএফ) এবং বাংলাদেশ একাডেমি ফর সিকিউরিটি মার্কেটের (বিএএসএম) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘পুঁজিবাজারে মুদ্রানীতি ও রাজস্ব নীতির প্রভাব’শীর্ষক কর্মশালায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএসইসি কমিশনার এসব কথা বলেন।
অন্যদিকে নেগেটিভ ইক্যুইটি নিয়ে গণমাধ্যমে যে খবর এসেছে, তা পুরোপুরি সঠিক নয়। শেয়ারবাজারে নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয়ে ২০১৫ সালে একটি নির্দেশনা দেওয়া হযেছিল। এরপর সমন্বয়ের জন্য সময় বাড়ানো হয়েছে। সম্প্রতি বর্তমান কমিশন ৭ম বারের মতো সময় বাড়িয়ে তা ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর নির্ধারণ করেছে। যা শেয়ারবাজারের স্বার্থে আরও বাড়ানো হবে। এটা নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।
তিনি বলেন, শেয়ারবাজার ও বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি হয়, এমন কোন সিদ্ধান্ত কমিশন নেবে না। সবার আগে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। তাই নেগেটিভ ইক্যুইটি সমন্বয় নিয়ে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
এদিকে নেগেটিভ ইকুইটি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের স্পষ্টীকরণ প্রসঙ্গে আজ বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মূখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ারবাজারের নেগেটিভ ইকুইটি বা গুণাত্মক মূলধনের সমস্যা সমাধানে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
যার ফলে বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বিগত সময়ে নেগেটিভ ইকুইটি একাউন্টের শেয়ার বিক্রি করে এবং মূল কোম্পানি থেকে তার সাবসিডিয়ারিকে বাড়তি মূলধনের যোগান দিয়ে এই সংকট থেকে বের হয়ে এসেছে। তবে অল্প কিছু প্রতিষ্ঠান এখনও নেগেটিভ ইকুইটি সমস্যা হতে বের হতে পারেনি। কমিশন আশা করে স্বল্পতম সময়ে বাকি থাকা বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠানগুলো উল্লেখিত সমস্যার সমাধান করতে পারবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, নেগেটিভ ইক্যুইটি সংক্রান্ত বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এর পরিমাণ ও সংখ্যা সংক্রান্ত ভিন্ন ভিন্ন তথ্য এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে নিজ নিজ নেগেটিভ ইকুইটি শূন্য শতাংশে নামিয়ে আনার নির্দেশ সম্বলিত যে সংবাদ প্রকাশিত হয় তা বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে, যা শেয়াবাজারের উন্নয়নে অন্তরায়।
বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন শেয়ারবাজারের উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিয়েন্স ১৯৯ এর সেকশন ২০এ- তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে কমিশনের নির্দেশনা নং বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৯৩/১১৬ তাং ২৮ ডিসেম্বর ২০১৬, বিএসইসি/সিএমআরআরসিডি/২০০৯-১৯৩/২০৩ তাং ২৮ ডিসেম্বর ২০১৭, বিএসইসি/এসআরআই/এমবিপলিসি/৫/২০১৯/৪৯১ তাং ২৭ জুন,
২০১৮ এবং সর্বশেষ পত্র নং বিএসইসি/এসআরআই/পলিসি৩/২০২০/৬৮ তাং ১২ জানুয়রি, ২০২০ ও বিএসইসি/এসআরআই/এমবি/পলিসি-৫/২০২০/১৩২ তাং ৩০ জানুয়ারি, ২০২০ এর মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে প্রদত্ত স্টক ডিলার হিসাব, স্টক ব্রোকার এর মার্জিন হিসাৰ ও মার্চেন্ট ব্যাংকারের নিজস্ব ও মক্কেলের পোর্টফোলিও পুনঃমূল্যায়নজনিত অনাদায়কৃত ক্ষতির বিপরীতে রক্ষিতব্য প্রভিশন সংক্রান্ত ঐচ্ছিক সুবিধার মেয়াদ ৭ম বারের মত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ পর্যন্ত শেয়ারবাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের সংগঠনগুলোর অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে বর্ধিত করা হয়।