বরিশালের নগরপিতা সাদিক আবদুল্লাহর বিকল্প তিনি নিজেই
তৌফিক ইসলাম ও মোবারক হোসেন, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী ১২ জুন বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে বিভিন্ন দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা পাড়া-মহল্লা, সভা-সমাবেশ, প্রচার-প্রচারণা শুরু করেছেন। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতেও বিভিন্ন পোস্টার, ভিডিও, ছবি দিয়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীরা দোয়াও চাইছেন। তবে বরিশাল সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সবার মুখে আলোচনা সাদিক আবদুল্লাহকে ঘিরে।
তাই বরিশালবাসী এখন অধীর আগ্রহে আছেন নৌকার কাণ্ডারি খবরের অপক্ষোয়। কারণ বরিশালের গণমানুষের সেবক হিসেবে দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে একজন প্রাণের মানুষ হিসেবে গ্রহণযোগ্যতা লাভ করেছেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। একজন সাদিক আবদুল্লাহ এমনে এমনে গড়ে উঠেনি। তার রক্তে বইছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের রক্ত।
সেরনিয়াবাত পরিবার মানে বঙ্গবন্ধু পরিবার। একথা সর্বজনবিদিত যে, বঙ্গবন্ধু পরিবার মানে আম-জনতার সেবক। সাদিক আবদুল্লাহ বংশ পরম্পরায় বরিশালের উন্নয়নের মাধ্যমে তথা সর্বস্তরের মানুষের কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করেছেন সর্বশক্তি দিয়ে। তাছাড়া বরিশাল মহানগর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল আ’লীগ নেতাকর্মীদের আস্থার ঠিকানা।
তেমনি সাদিক আবদুল্লাহ শুধু একজন নেতা নয়, তিনি সত্যিকার অর্থে একজন চেইঞ্জ মেকার। একটি দেশের সার্বিক ও সুষম উন্নয়ন তখনই ঘটে যখন দেশের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অঞ্চলের উন্নয়নে উদ্ভাবনী উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়। স্থানীয় সরকারের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান হিসেবে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হিসেবে সেই কাজ সঠিকভাবে করতে সক্ষম হয়েছে বলে নগরবাসী মনে করি। কারন তিনি নগরপিতা হওয়ার পর বরিশালের চেহারা যেমনি পরিবর্তন ঘটছে, তেমনি সিটি কর্পোরেশনে অনেক চেহারা পাল্টে গেছে।
বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে সাদিক আবদুল্লাহ ‘আমরাই গরবো আগামীর বরিশাল’ স্লোগানে বরিশালবাসীর হৃদয়ে স্বপ্নের জাল বুনে যেন নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছিলেন তা বাস্তবায়ন করে অনন্য নজির সৃষ্টি করেছেন। সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, সিটি কর্পোরশেন হলো বরিশাল বাসীর ঠিকানা আর আমি হলাম ঐ প্রতিষ্ঠানের সেবক। সুতারাং সেবা দেয়া আমার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য।
সাদিক আবদুল্লাহ অন্য সকল সিটির মেয়র প্রার্থীদের থেকে আলাদা। কারন তিনি সব সময় নেতাকর্মীদের যেমন সুখে দু:খে পাশে থাকেন। তেমনি সিটি জনগনের সব সময় পাশে থাকেন। তার বক্তব্য সিটি বাসীর জন্য আমার দরজা ২৪ ঘন্টা খোলা। নগরবাসীর যে কোন বিপদ আপদে আমি পাশে আছি। মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর এখন সকাল-সন্ধ্যা কাটে সাধারণ মানুষকে নিয়ে।
সাদিক মনে করেন, আমি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। আমার দাদা, বাবা সবাই বরিশালের মাটিতে রাজনীতি করেছে। আমিও তাদের বাইরে নই। আমি কোন কুট রাজনীতি বুঝি না। ওই রাজনীতি করতেও চাই না। দেশ ও বরিশালের উন্নয়নের জন্য কোন কাজই আমি ভয় পাই না। আমি জনগনের মাঝেই থাকতে চাই। জনগনের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা নিয়েই রাজনীতিতে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই। মানুষের ভালোবাসাকে জীবনের সবচেয়ে বড় অর্জন মেনে নিয়ে বাকি জীবন কাটিয়ে দিতে চাই সিটির মানুষের কল্যাণে, দলের কল্যাণে।
সাদিক আবদুল্লাহ’র বাবা আলহাজ্ব আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ দক্ষিণাঞ্চলের আওয়ামী রাজনীতির কর্ণধার। শুধু আওয়ামী লীগের কর্ণধার বললে কিছুটা ভুল হবে। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের রাজনৈতিক অভিভাবক। সকল দলের নেতাকর্মীরা শ্রদ্ধা ভরে দেখেন তাকে। তার বাবা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত ছিলেন গরীব মেহনতি মানুষের নেতা। তবে এ শহীদ নেতা ‘নেতার’ মতো আচরন করেননি কখনো।
খেটে খাওয়া মানুষের প্রাণের বন্ধু ছিলেন আব্দুর রব সেরনিয়াবাত। তারই সুযোগ্য পুত্র আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহ। যার হাত ধরে-ই বিশৃঙ্খল বরিশালে ফিরেছে শৃঙ্খলা, বিরাজ করছে শান্তি। দক্ষিণাঞ্চলের এই রাজনৈতিক অভিভাবকের উত্তরসূরী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ। খুব স্বল্প সময়ে সকল বয়সী মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন এই তরুন নেতা।
তৃর্নমুল নেতাকর্মীদের মতে, ‘সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মাঝেই দেখা যায় শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের প্রতিচ্ছবি, আর যার শরীরে রয়েছে বঙ্গবন্ধুর মতো মহান নেতার রক্ত তার চেয়ে কে ভালবাসতে পারবে আ’লীগকে। যার প্রমান স্বরুপ তিনি আ’লীগের মহানগরের সাধারন সম্পাদক। তরুন এ নেতার প্রশংসার পঞ্চমুখ বরিশাল জেলা ও মহানগর আ’লীগের সিনিয়র নেতারাও।
কারন তার অক্লান্ত পরিশ্রমে বরিশাল নগরী পরিণত হয়েছে আনন্দের নগরী। বরিশাল মহানগর আ’লীগ নেতা সাদিক আব্দুল্লাহর সুষ্ঠু নেতৃত্বে সুন্দর ও শান্তি ফিরেছে বরিশালে। তার ডাকে বরিশাল মহানগরের ও ওয়ার্ড আ’লীগ এবং ১০ উপজেলাসহ সকল নেতাকর্মীরা একত্রিত হয়ে ওঠে। প্রতিটি এলাকায় তার নেতৃত্ব ছড়িয়ে পড়েছে। শুধু বরিশাল নয় বরিশালের অজপাড়া গায় একটি নাম উচ্চারিত হচ্ছে তা হলে সাদিক আবদুল্লাহ।
তাই বরিশাল সিটির নগরপিতা সাদিক আবদুল্লাহ বরিশাল বাসীর জন্য আর্শিবাদ। দলের কোন নেতা-কর্মী অথবা কারো কোন মানুষের বিপদের কথা শুনলেই ছুটে যান সেখানে তিনি। সব মিলিয়ে এই তরুন নেতা কর্মীদের মন জয় করে নিয়েছেন। যার ফলে তরুন নেতা সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ যেভাবে মানুষের মতে জায়গা করে নিচ্ছেন তাতে বলাই যায়, বরিশালের আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আকাশে উজ্জল নক্ষত্র তিনি।
সূত্রমতে, বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকার মোট আয়তন ৫৮ বর্গ কিলোমিটার। ৩০টি ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত বরিশাল সিটি কর্পোরেশন। জনসংখ্যা প্রায় ৬ লাখ। আর এই ৬ লাখ নাগরিকের সেবক হচ্ছেন ৩০ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ১০ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও একজন নগর পিতা। এই ৬ লাখ মানুষের জীবনমান উন্নয়ন করার লক্ষে নানা সুবিধা ও অসুবিধার দিকগুলো দেখতে হয় নগরপিতাকে। এক কথায় নগরবাসীর ভাগ্যই থাকে নগরপিতার হাতে।
কিন্তু সাবেক মেয়র বিএনপি নেতা প্রয়াত আহসান হাবিব কামাল বিভিন্ন সময় দুর্নীতি করে এই সেবা প্রতিষ্ঠানটিকে দায়-দেনায় জর্জরিত করে রাখেন। সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণকালীন সময়ে তার মাথায় ৩০০ কোটি টাকার ঋণের বোঝা ছিল। সাবেক মেয়রের সময় নগরীর রাস্তঘাট খানাখন্দ, জলাবদ্ধতা, বিসিসি শ্রমিকদের বেতন বকেয়া থেকে শুরু করে জনমনে ছিলো নানা রকম অস্বস্তি।
প্রয়াত মেয়র শওকত হোসেন হিরন নগরবাসীর জীবনমান গড়ার লক্ষে নগরীকে সৌন্দর্যমন্ডিত নগরী হিসাবে গড়ে তুলেছিলেন। তবে ২০১৩ সালে বিসিসি মেয়র নির্বাচনে নতুন মেয়র হিসাবে যোগদান করে আহসান হাবিব কামাল। তিনি নগরপিতার দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কয়েক বছরে অটোরিক্সার লাইন্সেস বানিজ্য থেকে শুরু করে প্রতিমাসে লক্ষ লক্ষ টাকা লোপাট করতে সাহায্য করতেন তার ছেলে রুপমকে।
বিসিসির কর্মচারীদের বেতনসহ প্রায় ৩শ কোটি টাকা দেনা রেখে নিজেকে সাধুপরিচয় দেয়ার জন্য দায়িত্ব থেকে অব্যহতি নেন তিনি। ২০১৮ সালে বিসিসি নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে প্রায় ৩শ কোটি টাকা দেনার ভার মাথায় নিয়ে দায়িত্বগ্রহণ করেছিলেন সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ। তিনি দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে বড় আওয়ামী পরিবার (মন্ত্রী) আবুল হাসনাত আবদুল্লাহর সন্তান।
ছোট বেলা থেকে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। তার দাদা আবদুর রব সেরনিয়াবাত ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারন করা পিতা আবুল হাসানাত আবদুল্লাহর পথ ধরেই সাধারন মানুষের পাশে থেকে কাজ করে আসছিলেন তিনি। তবে বর্তমান মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর এত জনপ্রিয়তার কারন কি অনুসন্ধানে জানা যা ভিন্ন তথ্য, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বিসিসি মেয়র হিসাবে দায়িত্ব গ্রহনের পর,
নগরবাসীর কথা চিন্তা করে দিন-রাত নগরীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে নগরবাসীর জীবনমান গড়ার লক্ষে জলাবদ্ধতা নিরাসন, নগরীর বিভিন্ন সড়ক সংস্কার, ড্রেন পরিস্কার, রাস্তা পরিস্কার, নগরীর বর্জ্য পরিস্কার, যানবাহন নিয়ন্ত্রন, অবৈধ পানির লাইন বিচ্ছিন করা, হোল্ডিং ট্র্যাক্স পরিশোধ, কর্মচারীদের বেতন-ভাতাসহ ঈদ বোনাস পরিশোধ,
কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পেনশন দেয়া ও অবৈধ কর্মচারী চিহ্নিত করা, নগরীর গুত্বপূর্ন সড়ক গুলোকে দুই লেনে ভাগসহ থ্রি-ডি জেব্রা ক্রসিং দেয়া, শেবাচিম হাসপাতালে রোগিদের গরম থেকে রক্ষা করার জন্য মাথার উপরে ফ্যান দেয়া, সাধারন মানুষদের সাহায্য করা ও তাদের কথা শোনা, ঈদ যাত্রায় সাধারন মানুষদের ভোগান্তি থেকে রক্ষা করার জন্য ফ্রি বাস সার্ভিস দেয়াসহ নানা পরিকল্পনার কাজ বাস্তবায়ন করে আসছে তিনি।
বরিশাল ভাটিখানা এলাকার বাসিন্দা দিনমজুর মনিরূল ইসলাম বলেন, মেয়র নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ঠিকই তিনি তার কথা রেখে আমাদের কাছে ছুটে এসেছেন। আমাদের জনগণের চাহিদাই তার ইচ্ছা। মেয়র সাদেক আবদুল্লাহ তার পিতার মত আমাদের পাশে সব সময় ছায়া হয়ে রয়েছেন। আমাদের বিভিন্ন সময় সাহায্য করেন। তিনি খুব ভালো মানুষ। তার জনপ্রিয়তার সাথে কারো তুলনা হয় না।
এদিকে বিভিন্ন সভা সমাবেশে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ বলেন, ‘আমার থেকে অন্য কেউ যোগ্যতাসম্পন্ন হলে অবশ্যই বরিশালের মানুষ তাকেই ভোট দেবেন। আমি যদি বরিশালের মানুষের জন্য কাজ করে থাকি তাহলে অবশ্যই বরিশালবাসী সেটি বিবেচনা করে দেখবেন। আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি সেবাটা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়ার। তা কতটুকু পেরেছি জনগণ বলতে পারবে। গতবারও মানুষের কাছে আমি দোয়া চেয়েছি, এবারও আমি মানুষের কাছে দোয়া চাইব।’