আলমগীর হোসেন, চট্টগ্রাম থেকে ফিরে, দেশ প্রতিক্ষণ:  খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলার পিঠাছড়া এলাকায় ১০ একর পাহাড়ি বনভূমির মালিক আবু তাহের। ৩৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে তাহেরের এই পাহাড়ি বনভূমিতে ৫০টিরও বেশি প্রজাতির গাছ, বিভিন্ন স্তন্যপায়ী, উভচর প্রাণি, পাখি ও সরীসৃপের আবাসস্থল ছিল। তাহের মাঝে মাঝে ফল ও কাঠ সংগ্রহ করতে এই বনে যেতেন। কিন্তু, গত বছরের ডিসেম্বরে তাহের সেখানে গিয়ে দেখতে পান তার ১০ একর বনভূমির সব গাছপালা কেটে উজাড় করে ফেলা হয়েছে।

তাহের জানান, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনীতিবিদসহ প্রভাবশালীরা কাসাভা চাষের জন্য জায়গা তৈরি করতে সব গাছ ও ঝোপঝাড় কেটে ফেলেছেন, যা স্থানীয়ভাবে শিমুল আলু নামে পরিচিত। দক্ষিণ আমেরিকার বিশেষ জাতের এ শষ্য গত কয়েক বছর ধরে পার্বত্য চট্টগ্রামে চাষ হচ্ছে। গত ২৭ মার্চ খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা ও মানিকছড়ি উপজেলার বেশ কয়েকজন বাসিন্দা জানান, কাসাভা চাষের জন্য শত শত একর বনভূমি উজাড় করা হয়েছে এবং প্রতি বছর চাষের পরিমাণ বাড়ছে।

বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে দিয়েছেন যে কাসাভা বা শিমুল আলুর মতো কন্দ শস্য চাষের জন্য বন কেটে ফেলা বৈজ্ঞানিকভাবে সঠিক নয়। এই ধরনের কৃষি পদ্ধতি মাটি ক্ষয়ের দিকে পরিচালিত করতে পারে এবং ভূমিধসের ঝুঁকি বাড়িয়ে তুলতে পারে, বিশেষত পার্বত্য অঞ্চলে। তারা বলেন, ভূমিধস ও মাটির উপরের স্তরের ক্ষয়রোধে মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট (এসআরডিআই) ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কর্তৃক নির্ধারিত সুনির্দিষ্ট বৈজ্ঞানিক চাষাবাদ পদ্ধতি অনুসরণ করেন না কৃষকরা।

এসআরডিআই অনুসারে, কৃষকদের পাহাড়ের ঢাল কাটার অনুমতি নেই। যদি তারা তা করে তবে বৃষ্টির পানি উপরিভাগের মাটি ধুয়ে ফেলবে এবং ভূমিধস হবে। কাসাভা পাহাড়ে বা পাহাড়ের ঢালুতে চাষাবাদ না করে সমতল ভূমিতে চাষাবাদের পক্ষে মতামত দেন তারা।

আবু তাহের বলেন, বিভিন্ন বন্যপ্রাণি যেমন বানর, লজ্জাবতী বানর, গন্ধগোকুল, বিভিন্ন পাখি এবং সাপের আবাসস্থল ছিল এই বনভূমি। কিন্তু তারা গাছ এবং ঝোপঝাড় কেটে ফেলার পরে এসব প্রাণীদের আর এখানে দেখা যায় না। অনেক জমির মালিক এখন কাসাভা চাষের জন্য তাদের জমি ইজারা দিচ্ছেন। আমি তা করিনি, তাই তারা জোর করে আমার বন ধ্বংস করেছে।

মাটিরাঙ্গার বাসিন্দা জামাল উদ্দিন তাহেরের জমিসহ ২০০ একর জমিতে কাসাভা চাষ করছেন। জামাল কাসাভা চাষের জন্য বন পরিষ্কার করার কথা স্বীকার করলেও জোর করে বা মালিকদের সম্মতি ছাড়াই জমি নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, আমি এসব জমি ইজারা নিয়েছি। জবরদস্তি, দখলের অভিযোগ সত্য নয়। অনেক সময় মালিকের অনুপস্থিতিতে এসব জমির তত্ত্বাবধায়করা ইজারার টাকা লেনদেন করেন। তবে জামালের দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি টিবিএস।

কাসাভা চাষের সঙ্গে জড়িত বেলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আহসান উল্লাহ নামে স্থানীয় আরেক প্রভাবশালী ব্যক্তিও অবৈধভাবে জমি দখলের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

এদিকে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির কাঞ্চননগর ইউনিয়নের উত্তর কাঞ্চননগরের হাতিভাঙ্গা ছাইল্যের ছোর এলাকায় সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন জাতের গাছ লাগিয়েছিলেন ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য বাবুল। প্রায় এক যুগ আগে লাগানো এসব গাছ বেশ বড় হয়ে উঠেছিল। বছর দুয়েক আগে প্রকাশ্য দিবালোকে গাছগুলো কেটে লাগানো হয়েছে কাসাভা।

বাবুল মেম্বার আক্ষেপ করে বললেন, তার ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যানের সহায়তায় বন বিভাগের সঙ্গে চুক্তি করে সামাজিক বনায়নের আওতায় তিনিসহ ১৬ জন ২৫ একর টিলায় বাগান করেন। নিয়মিত পরিচর্যা করে ও সার দিয়ে গাছ বড় হওয়ার পর প্রকাশ্য দিবালোকে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাওয়া হয়।

বিষয়টি স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে জানানোর পরও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি। শুধু সামাজিক বনায়ন নয়, এই এলাকার প্রায় দেড় হাজার একর সংরক্ষিত বনের গাছ কেটে কাসাভার চাষ করছেন স্থানীয় ও পাশের উপজেলা মানিকছড়ির কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাদের কাছ থেকে পাইকারি দামে কাসাভা কিনে নিয়ে যায় প্রাণ গ্রুপ। বন বিভাগ বন উজাড়ের দায় পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের ওপর চাপানোর চেষ্টা করলেও সরেজমিন পরিদর্শন এবং খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, পাহাড়ি, বাঙালি এবং বন বিভাগের লোকজন মিলেমিশে বন উজাড় করেছেন।

উত্তর কাঞ্চননগরের মান রাজার রাস্তা পার হলেই সামনে পড়ে ধুরুং খাল। একসময়ের খরস্রোতা এই খাল ভরাট হয়ে এখন এর মধ্য দিয়ে মোটরসাইকেল চলাচল করে। খাল পরিণত হয়েছে গবাদিপশুর চারণভূমিতে। খাল পার হলেই চোখে পড়ে সংলগ্ন ফরেস্ট অফিস।

২০০৭ সালের দিকে অফিসটি গুটিয়ে নেওয়া হয়। এই অফিসের পর থেকে উত্তরকূল, ভিলেজার পাড়া, ভুতাইছড়ি, ধুইল্ল্যাছড়ি, হাতিভাঙ্গা, বটতলী, কাউয়াকাটা, ছাইল্যের ছোর, ঘিলাবনিয়া, চিকনছড়া ইত্যাদিসহ উত্তর কাঞ্চননগরে সংরক্ষিত বন প্রথম দিকে রাতের আঁধারে কাটলেও এখন দিনের বেলায়ই কাটা হচ্ছে। উঁচু-নিচু টিলার ওপর দিয়ে বনের কাঠ এবং কাসাভাবাহী চাঁদের গাড়ি ও মোটরসাইকেল চলাচল করে।

টিলার পর টিলার বন জ্বালিয়ে দিয়ে ধ্বংস করে লাগানো হচ্ছে কাসাভা। কাগজপত্র ঘেঁটে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম উত্তর বন বিভাগের নারায়ণহাট রেঞ্জের আওতায় উত্তর কাঞ্চননগর মৌজায় বন বিভাগের ৩ হাজার ৭০৭ একর সংরক্ষিত বন রয়েছে। এর মধ্যে দেড় হাজার একরের বেশি টিলায় কাসাভা চাষ হয়েছে।

সংরক্ষিত বনে যেভাবে শুরু কাসাভা চাষ: অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১০ সালের দিকে ছাইল্যের ছোর এলাকায় প্রায় ১০০ একর সংরক্ষিত বন কেটে কাসাভা চাষ করেন আক্কাস নামের এক ব্যক্তি। ২০১৬ সালে দ্বিতীয়বারের মতো বন উজাড় এবং কাসাভা চাষ শুরু হয়। ২০২২ ও ২০২৩ সালে প্রায় শতবছরের পুরোনো শত শত একর সেগুন, আকাশমনি, গামারি, বহেড়া বাগান উজাড় করে সেখানে ব্যাপকভাবে কাসাভা চাষ করা হয়।

সরেজমিন পরিদর্শনের সময় বিস্তীর্ণ কাসাভা খেতের মাঝে ২৫ একর করে মোট ৫০ একর ভূমিতে বনায়নের সাইনবোর্ড চোখে পড়ে। সাইনবোর্ডের তথ্য থেকে জানা যায়, ‘ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট পার্টিসিপেটরি রিফরেস্ট্রেশন অ্যান্ড এফরেস্ট্রেশন’ প্রকল্পের আওতায় ২০১৩ থেকে ২০১৫ সালে কোর প্ল্যান্টেশন’সহ প্রায় ৬০ হাজার গাছ লাগানো হয়েছিল। একদম অপরিণত বয়সে শেষ করে দেওয়া হয়েছে বাগানটি।

স্থানীয় বাসিন্দা জামালউদ্দিন জানান, তিনি তিন দশক ধরে সেখানে বসবাস করছেন। আগে এই বন গাছে ভরপুর ছিল। এখন ঘরে খুঁটি দেওয়ার জন্যও একটি গাছ পাওয়া যায় না। সর্বশেষ তিনি নিজে চোখে দেখেছেন ২৫ একরের একটি জাম বাগান দিনদুপুরে কেটে ফটিকছড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

বার্ষিক ভাড়া নেয় বন বিভাগ: ঘিলাবনিয়া বুথাইছড়ির দক্ষিণ পাশের কাসাভা চাষি মো. আলম জানান, তারা বন বিভাগ থেকে একর হিসাবে ভাড়া নিয়ে কাসাভা চাষ করেছেন। প্রাণ গ্রুপ থেকে চাষের খরচ পান। ফসল তোলার পর কেজি ১০ টাকা করে প্রাণ গ্রুপ কিনে নিয়ে যায়। বন বিভাগকে একরপ্রতি কত টাকা দিতে হয় জানতে চাইলে তিনি জানান, বন বিভাগের বিষয়টি তার বাবা দেখেন। আলমের বাবা নাছির সর্দার বলেন, তার প্রায় ১০ একর ভূমিতে কাসাভা চাষ রয়েছে। যেহেতু বিক্রির দুশ্চিন্তা নেই, তাই সবাই কাসাভা চাষের দিকে ঝুঁকছেন।

বন বিভাগও কোনো ঝামেলা করে না। বন বিভাগকে প্রতিবছর কানিপ্রতি (৪০ শতক) ২ হাজার টাকা দিতে হয়। তবে বন বিভাগের লোকজন টাকা নিতে সেখানে যায় না। সবাই মিলে টাকা তুলে দিয়ে আসতে হয়। গাছ কাটার জন্য তিনি ওই এলাকার সাবেক হেডম্যান উলা প্রু মারমাকে দায়ী করেন। তার মৃত্যুর পর বর্তমানে তার ছোট ভাই থোয়াই সি প্রু মারমা হেডম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। থোয়াই সি মারমা বলেন, কেউ বিনামূল্যে কাসাভা চাষ করছে না। বন বিভাগ একরপ্রতি হিসাব করে প্রতিবছর টাকা নিয়ে যায়। গাছ কাটার বিষয়ে তিনি কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

কাসাভা চাষে সরকারি কর্মকর্তাও: কাসাভা চাষি নাছির সর্দার বলেন, তার পাশে টিএনও জাফরের (কক্সবাজারের সাবেক এডিসি জাফর আলম) প্রায় ৪০ একর টিলা রয়েছে। তিনি কাসাভা চাষের জন্য তা ভাড়া দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক এডিসি জাফর আলম বলেন, তার ব্যক্তিমালিকানাধীন ১০ একরের মতো জমি সেখানে রয়েছে। তিনি তাতে কাসাভা চাষ করেননি। যেহেতু পাহাড়ি জায়গা, দখলে একটু বেশি থাকতে পারে। তিনি বন বিভাগের কোনো গাছ কর্তন বা জমি দখল করেননি বলে দাবি করেন। ভূমি রেকর্ড যাচাই করে দেখা গেছে, ওই এলাকায় বন বিভাগের ভূমি ব্যতীত ব্যক্তিমালিকানাধীন কোনো ভূমি সেখানে নেই।

গাছ কাটায় যারা জড়িত: বন বিভাগের কর্মচারী, এলাকার সর্দার, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়দের সঙ্গে আলাপ করে জানা যায়, উলা প্রুর সহযোগী হিসেবে যারা রয়েছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন মানিকছড়ির কামাল, তিন টহরির ইউনুচ মেম্বার, বর্তমান মেম্বার আব্দুল মতিন, কুমারী এলাকার হানিফ, শিরু, আবুল হোসেন, শালম, মফিজ, সেলিম, আমান, ওসমান। তারা সবাই পাশের মানিকছড়ি উপজেলার বাসিন্দা। মানিকছড়ি উপজেলার সাবেক এসিল্যান্ড এবং ইউএনও জাফর আলমের (এডিসি জাফর নামেই বেশি পরিচিত) নামও স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন। এ ছাড়া ফটিকছড়ির একসময়ের শীর্ষ সন্ত্রাসী বাবুলসহ আরও অনেকেই গাছ কাটেন বলে জানা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিরু, আবুল হোসেন, শালম, নাছির সর্দার ও তার ছেলেরা, আমান, দেলোয়ার প্রকাশ ওরফে দেলোয়ার হুজুর, বাহাদুরসহ অনেকেই কাসাভা চাষ করেন। ধ্বংস জীববৈচিত্র্য, মরছে গবাদিপশু: এই বন একসময় হরিণ, বন্য শূকর, গুইসাপ, বনরুই, অজগরসহ বিভিন্ন ধরনের সাপ, বেজি, বাগডাস, মেছোবাঘ, ভালুক, লম্বালেজি বানর, উল্টো লেজি বানর, হনুমান, উল্লুক নানা জাতের পাখিসহ বন্য প্রাণীর অভয়ারণ্য ছিল, যা এখন বিপন্ন হয়ে গেছে। এখন সেখানে আর পাখিরা উড়ে বেড়ায় না বললেই চলে।

বানরের পাল খাবার না পেয়ে কৃষকের ধানসহ বিভিন্ন শাকসবজির খেতে হামলা চালায়। আবাস নষ্ট হওয়ায় বন্য প্রাণী খুবই ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। প্রাকৃতিক ইকোসিস্টেম বলতে আর কিছুই অবশিষ্ট নেই। প্রাণ-প্রকৃতি সবই বিলুপ্ত।

কাসাভা বাগানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেলযোগে এবং হেঁটে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকা ঘুরে কোথাও কোনো গরু-ছাগল চোখে পড়েনি। একসময় এই এলাকায় গরু-ছাগলের পাল চরে বেড়াত। গরু-ছাগলের খাবার ঘাস, গুল্ম, লতা-পাতা এখন নেই বললেই চলে। একসময় আশপাশের মানুষ বন থেকে জ্বালানি কাঠ, বাঁশ, পাহাড়ি বিভিন্ন শাকসবজি, কলা ইত্যাদি সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করতেন। এখন চারদিকে শুধু কাসাভা আর কাসাভা।
কাসাভা চাষি আলম জানান, শুরুর দিকে তারা লাল রঙের দেশীয় জাতের কাসাভা চাষ করতেন।

ওই জাতের কাসাভা মানুষ তুলে নিয়ে রান্না করে খেয়ে ফেলত। গবাদিপশু অনিষ্ট করত। এখন তারা হাইব্রিড কাসাভার চাষ করেন। সাদা রঙের এই কাসাভার স্বাদ তেতো। এমনকি গরু-ছাগলও এই জাতের কাসাভাগাছের পাতা খেলে মরে যায়। স্থানীয় জামালের চারটি গরু কাসাভার পাতা খেয়ে মরে যাওয়ার কথা উল্লেখ করে বলেন, সামশু নামে এক কৃষকেরও দুটি গরু মরে গেছে। স্থানীয়রা জানান, গত তিন বছরে অন্তত ২৫টি গরু এবং ১৫টি ছাগল কাসাভা পাতা খেয়ে মারা পড়েছে।

বিভাগীয় কর্মকর্তা (চট্টগ্রাম উত্তর) এস এম কায়চার প্রতিবেদককে প্রথমে বিট কর্মকর্তা, রেঞ্জার এবং এসিএফের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন। তাদের সঙ্গে কথা বলার বিষয়টি জানালে তিনি জানান, বন উজাড় কিংবা সেখানে কাসাভা চাষের বিষয়টি তার জানা নেই। দায়িত্বশীলরা সন্ত্রাসী এবং প্রভাবশালীদের যে দোহাই দিয়েছেন, সে বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি মোবাইল ফোন কেটে দেন। চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাস বলেন, বিষয়টি তার জানা নেই। তবে কেউ যদি বন এবং মাটি ধ্বংস করে, তার কোনো ছাড় নেই।