বিশেষ প্রতিনিধি, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ড নিয়ে তুমুল চাঞ্চল্যের মধ্যেই রহস্য দেখা দিয়েছে কলকাতার নিউ টাউনের সঞ্জিভা গার্ডেন্সের একটি ফ্ল্যাট (৫৬বিইউ) ঘিরে। সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ওই ফ্ল্যাটেই এমপি আনারকে হত্যা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দারা।

সিআইডির ডিআইজি বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, তাদের কাছে ক্লু আছে যে সঞ্জিভা গার্ডেন্সের ৫৬বিইউ ফ্ল্যাটের ভেতরেই বাংলাদেশের এমপিকে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু হত্যার পর এমপি আনারের মরদেহ কোথায় নেয়া হয়েছে, সে বিষয়টি এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে টানা তিনবারের নির্বাচিত এই সংসদ সদস্যের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, এমপি আজিমকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে।’ এই ঘটনা ‘বাংলাদেশ ও ভারতের দ্বিপক্ষীয় কোনও ইস্যু নয়’ বলে মন্তব্য করেছেন তিনি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তবে এখনও খোঁজ পাওয়া যায়নি আনোয়ারুল আজিমের মরদেহের। হত্যা করা হয়ে থাকলে এর পেছনে কারণ কী তা এখনও অজানা। ফলে নানা প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বিষয়টি ঘিরে। এছাড়া এখনো মরদেহ নিয়ে চলছে ধোঁয়াশা।

আজ বুধবার হঠাৎ খবর ছড়ায়, কলকাতার পার্শ্ববর্তী নিউটাউন এলাকায় বহুতল সঞ্জীবা গার্ডেনস নামে একটি আবাসিক ভবনের বিইউ ৫৬ নম্বর রুমে আনোয়ারুল আজীমকে হত্যা করা হয়েছে। ঘরের ভেতর পাওয়া গেছে রক্তের ছাপ। কিছু মিডিয়ায় বাংলাদেশি এমপির খণ্ড-বিখণ্ড দেহ উদ্ধারের কথা বলা হলেও এ বিষয়ে কোনো নিশ্চয়তা পাওয়া যায়নি। আনোয়ারুল আজীম যে কক্ষে ছিলেন, দিনভর সেখানে তল্লাশি চালায় পুলিশ। সঞ্জীবা গার্ডেনসের আশপাশে পুরোটাই বস্তি অঞ্চল। তার মাঝে অবস্থিত অভিজাত আবাসিক ভবনটি। সেখানেই শেষবারের মতো জীবিত অবস্থায় দেখা গিয়েছিল আনোয়ারুল আজীম আনারকে।

তবে আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন। এ ঘটনায় একজন নারীও ছিলেন। হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী নারীসহ এরই মধ্যে ভারত ত্যাগ করেছে। বাংলাদেশ পুলিশের উচ্চপদস্থ একটি সূত্র একটি দৈনিক পত্রিকাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্র জানায়, আনোয়ারুল আজিম আনারকে হত্যার কিলিং মিশনে ছিলেন ৫ জন। তারা আনারকে হত্যা করে কেটে টুকরো টুকরো করে চারটি ট্রলি ব্যাগে করে লাশ বের করেন। এখন পর্যন্ত লাশের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। লাশের সন্ধানে মাঠে নেমেছে ভারতীয় পুলিশ। ওই সূত্র আরও জানায়, যারা কিলিং মিশনে ছিলেন তারা ভারত ত্যাগ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা গেছে, ওই ফ্ল্যাটটির মালিক রাজ্য সরকারের শুল্ক দফতরের কর্মকর্তা। আর ফ্ল্যাটটি যিনি ভাড়া নিয়েছিলেন তিনি যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী। সেই ফ্ল্যাটেই গত ১৩ মে উঠেছিলেন এমপি আনার। এর আগে কলকাতার পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তারা দুটি মোবাইলের নেটওয়ার্ক ট্র্যাক করছিল। সেখান থেকেই দেখা গেছে, সঞ্জিভা গার্ডেন্সই এমপি আনারের শেষ লোকেশন ছিল। এরপরই পুলিশের তদন্তকারী দল সেখানে যায় এবং সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে।

সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশের তদন্তকারী দলের সদস্যরা নিশ্চিত হন, এমপি আনার সেখানে গিয়েছিলেন এবং তিনি একাই সেখানে যান।
এরপরই এমপি আনারের ওই ফ্ল্যাটে ঢোকেন পরপর তিনজন। তারমধ্যে একজন নারীও ছিলেন। এই তিনজনকে আবার প্রায় আড়াই ঘণ্টা পর বেরিয়েও যেতে দেখা যায়। এছাড়া ওই ফ্ল্যাটে ঢোকার জন্য তড়িঘড়ি করে একটি গাড়িও কয়েকবার আসা-যাওয়া করে।

বস্তুত, আনোয়ারুল আজিম কলকাতায় এসে যে ভারতীয় সিমকার্ডটি ব্যবহার করছিলেন, সেটি যে ১৭ মে (শুক্রবার) খুব অল্প সময়ের জন্য বিহারের মুজাফফরপুরের কাছে চালু করা হয়েছিল– সেই তথ্যও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা ট্র্যাক করে বের করেছিলেন। পরে কলকাতায় বাংলাদেশের উপদূতাবাসের মারফত সেই খবর ঢাকায় তদন্তকারীদের কাছেও পৌঁছে দেওয়া হয়।

আনোয়ারুল আজিমকে ঠিক কী পরিস্থিতিতে, কীভাবে, আর কেন হত্যা করা হয়েছে (যদি এটা হত্যাই হয়ে থাকে) তা নিয়ে যেহেতু এখনও অনেক অস্পষ্টতা আছে, তাই সরকারিভাবে ভারত এটা নিয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না। দিল্লির নর্থ ব্লকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে এটা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি শুধু জানিয়েছেন, ‘এই বিষয়ে যা বলার পশ্চিমবঙ্গের (বিধাননগর) পুলিশই বলবে।’

এর আগে বুধবার সকালে কলকাতার উপকণ্ঠে বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মানব শ্রিংলা সাংবাদিকদের জানান, আনোয়ারুল আজিম শেষ যে ভাড়া গাড়িটি কলকাতায় ব্যবহার করেছিলেন, সেই ক্যাবটির চালক জেরার মুখে স্বীকার করেছে যে ওই যাত্রীকে খুন করে তার দেহ টুকরো টুকরো করে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

কিন্তু সত্যিই যদি তা হয়ে থাকে, তাহলে সেই খুনের মোটিভ কী ছিল, খুনিরা কয়জন ছিল বা তারা কারা, স্থানীয় ক্যাবচালককে এই কাজের জন্য তারা ভাড়া করেছিল কিনা, লাশের টুকরো কোথায় কোথায় ফেলা হয়েছিল– পুলিশ কর্তৃপক্ষ এসব প্রশ্নের কোনও জবাব দেয়নি।

তবে তদন্তকারী দলের পক্ষ থেকে এটুকু আভাস দেওয়া হয়েছে, এমপি আনোয়ারুল আজিমকে যারাই হত্যা করে থাকুক, এই হত্যার মূল ষড়যন্ত্রকারীরা বাংলাদেশেরই বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা পাওয়া যাচ্ছে। একজন বিদেশি এমপি কলকাতায় এসেছেন, আর তার সঙ্গে পয়সাকড়ি আছে এটা আঁচ করে স্থানীয় কোনও অপরাধী চক্র বা দুষ্কৃতকারী গ্যাং তাকে মেরে ফেলে টাকাপয়সা লুট করতে চেয়েছিল ব্যাপারটা অত সহজ নয় বলেই আমরা ধারণা করছি, জানিয়েছে একটি সূত্র। সোজা কথায় তারা অনুমান করছেন, এই হত্যারহস্য আসলেই খুব জটিল এবং এর পুরো কিনারা করতে বেশ সময় লাগতে পারে।

বিদেশের কোনও এমপি যখন ভারতে সফর করেন, তারা সাধারণত নিজেদের ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্টই ব্যবহার করে থাকেন। আনোয়ারুল আজিমও ঠিক তাই করেছিলেন। এখন এমন একজন ভিআইপি বিদেশি অতিথিকে যখন ভারতের মাটিতেই প্রাণ হারাতে হয়, বিষয়টি খুবই স্পর্শকাতর চেহারা নিয়েছে তাতে কোনও সন্দেহ নেই। তাই তদন্তে সব দিক আগে পরিষ্কার না হলে এবং বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে কথা না বলে ভারত আগ বাড়িয়ে এই হত্যাকাণ্ড নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাইছে না।

জানা গেছে, সেই গাড়ির নম্বর ধরেই এখন তদন্ত চলছে। এছাড়া আরও কিছু অ্যাপ ক্যাবের নেটওয়ার্ক ও তার চালককে এরমধ্যেই আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন গোয়েন্দারা। এদিকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজিম আনার খুনের ঘটনায় তিনজনকে আটক করার কথা জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, ‘খুনের সাথে বাংলাদেশিরাই জড়িত।’ গতকাল ধানমন্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

এমপি আনার খুনের ঘটনায় ভারতের সঙ্গে সম্পর্কে ফাটল ধরবে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, ভারতের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। তারা আমাদের সব ধরনের সহযোগিতা করেছে। তাদের সঙ্গে সম্পর্কের ফাটল ধরবে এমন কোনো ঘটনা ঘটেনি। কারণ ভারতের কেউ এখানে জড়িত নন। এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে যে তথ্য রয়েছে, আমাদের দেশের মানুষই হত্যায় জড়িত।

ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারতীয় পুলিশের তথ্যানুযায়ী বাংলাদেশের পুলিশ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছেন। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে, তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ঝিনাইদহ সন্ত্রাসীপ্রবণ সীমান্ত এলাকা। আনার সাহেব এবারও সেখান থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য তিনি ভারতে যাওয়ার পরে ঘটনাটি ঘটে। বাংলাদেশ পুলিশ এ নিয়ে কাজ করছে, শিগগির খুনের মোটিভ জানাতে পারবো। তিনি আরও বলেন, ভারতীয় পুলিশ আমাদেরকে সব ধরনের সহযোগিতা করছে। এ বিষয়ে যা যা করা দরকার আমরা সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি।

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমাদের কাছে যে তথ্য আছে সবগুলো প্রকাশ করছি না। তদন্তের স্বার্থে এখন আমরা অনেক কিছুই বলবো না। কোথায় খুন হয়েছে, কীভাবে খুন হয়েছে, কে কে খুন করেছে, কী ধরনের অস্ত্র দিয়ে খুন করা হয়েছে তদন্ত শেষে সবকিছু জানানো হবে।

এছাড়া ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মো. হারুন অর রশীদ সাংবাদিকদের বলেন, আনোয়ারুল আজিম আনারের হত্যাকাণ্ডে তার এলাকার জনগণ স্তম্ভিত, শোকে মুহ্যমান। এটা একটা নিষ্ঠুর হত্যাকাণ্ড। এই হত্যাকাণ্ডের কাজটি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়েই করছি। কারণ তিনি একজন জনপ্রিয় পার্লামেন্ট মেম্বার। তিনবারের এমপি। এলাকার মানুষ ও জনগণ উনাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। আসলে এ রকম একটি ঘটনায় আমরাও শোকে মুহ্যমান।

ডিবি প্রধান বলেন, আমাদের তদন্ত কর্মকর্তারা নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এছাড়া ভারতের পুলিশও আমাদের সাথে কাজ করছে। আমাদের কাছে কয়েকজন আছে তাদের সাথে কথা বলছি এবং তথ্য পাচ্ছি। তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য আমরা এখন কাউকে বলবো না। তিনি আরও বলেন, একজন এমপিকে যেভাবে বাংলাদেশের কিছু অপরাধীরা হত্যা করেছে তাদের মধ্যে থেকে কয়েকজনকে আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি, বাকিদেরও আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসব।

গোপাল বিশ্বাসের ডায়েরি অনুসারে, এমপি আনার ডাক্তার দেখাতে ১২ মে সন্ধ্যা ৭টার সময় তার বাড়িতে আসেন। পরের দিন দুপুর ১টা ৪৫ মিনিটে ডাক্তার দেখানোর জন্য ওই বাড়ি থেকে বের হন। যাওয়ার সময় বলে যান, ‘আমি দুপুরে খাব না, সন্ধ্যায় ফিরে আসবো’। তারপর তিনি সন্ধ্যাবেলা না ফিরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানান, ‘আমি বিশেষ কাজে দিল্লিতে চলে যাচ্ছি। ফোন করবো, তোমাদের ফোন করার দরকার নেই’।

এরপর ১৫ মে বেলা ১১টা ২১ মিনিটে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ করে জানান, ‘আমি দিল্লিতে পৌঁছেছি। আমার সাথে ভিআইপিরা আছেন। ফোন করার দরকার নেই’। এই একই মেসেজ নিজের বাড়িতে এবং নিজের পিএকে ফরওয়ার্ড করেছিলেনে এমপি। তখনই কলকাতা পুলিশের সন্দেহ হয়। ওই কদিনে একবারও ফোনে কথা না বলে কেন তিনি মেসেজ করছেন। এরপরই শহরের বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশ। তখন তারা নিশ্চিত হয়, এমপি আনার কলকাতার বাইরে যায়নি। বরং কেউ তার মোবাইল ফোন ঝাড়খন্ড পর্যন্ত নিয়ে যায়।

এরপর বিভিন্ন সিসিটিভি ফুটেজ ও সূত্র ধরে তদন্ত এগোতে থাকে পুলিশের। সে অনুসারে তারা খোঁজ পায়, কলকাতার নিউ টাউন লাগোয়া সঞ্জীবা গার্ডেনের। তারা জানতে পারে, ওই আবাসিকের ব্লক-বিইউ ৫৬ নং রুমে এমপি আনারের মরদেহ টুকরো করে তিনজন দুষ্কৃতকারী। তারপর সেখান থেকে ব্যাগে করে খণ্ডিত মরদেহ কোনো জলাশয়ে ফেলে আসে দুষ্কৃতকারীরা। এই ঘটনায় আরও অনেকে জড়িত বলে ধারণা করছে কলকাতা পুলিশ।
পুলিশ বলছে, পূর্ব-পরিকল্পনা করেই কলকাতায় ডাকা হয়েছিল এমপি আনারকে। দুই দেশের দুষ্কৃতকারী এই হত্যার সঙ্গে জড়িত। তবে তদন্ত কোনদিকে যাবে তা সময় বলবে। কিন্তু নিশ্চিত যে, এমপি আনার আর বেঁচে নেই। তবে তার মরদেহ এখনো উদ্ধার হয়নি।

এদিকে ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে চিকিৎসার জন্য দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। ঝিনাইদহ-৪ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম ১২ মে চিকিৎসার জন্য দর্শনা সীমান্ত দিয়ে ভারতে যান। ১৬ মে থেকে রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হন তিনি। আনারের জন্ম ৩ জানুয়ারি ১৯৬৮ সালে। পেশায় ব্যবসায়ী আনার আওয়ামী লীগ কালীগঞ্জ উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি তৃতীয়বারের মতো এমপি নির্বাচিত হন।

ঝিনাইদহ-৪ আসন থেকে তিনবার (২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪) নির্বাচিত আনার একজন ক্রীড়া সংগঠক এবং একসময়ের জনপ্রিয় ফুটবল খেলোয়াড়। ছাত্রজীবন থেকে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ নিয়ে রাজনীতিতে শুরু করেন। স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচনে কাউন্সিলর হিসেবে ভোটের রাজনীতি শুরু করেন তিনি। এরপর বিশাল ভোটের ব্যবধানে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জয়ী হন আনার। সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনগুলোতেও তিনি জয়ের ব্যবধান দিয়ে জনপ্রিয়তার স্বাক্ষর রাখেন।