দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম মনে করেন, দেশের পুঁজিবাজার সম্প্রসারণে ট্যাক্স ইনসেটিভের দরকার নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন,পুঁজিবাজারে অনেক ধরণের ট্যাক্স ইনটেনসিভ দেওয়া ছিলো, তাতে করে কি আমরা খুব বেশি ভালো ফলাফল দেখেছি? নাকি ক্যাপিটাল মার্কেটের সমস্যা অন্য কোথাও?

গত শুক্রবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে অর্থ মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাজেটোত্তর সংবাদ সম্মেলনে ‘পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার ব্যাবধান’ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এনবিআর চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আমি জানি না যে তালিকাভুক্ত এবং অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধান পুঁজিবজার সম্প্রসারণের জন্য কতোটা কার্যকরী বিষয়। দীর্ঘদিন তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহার কমিয়ে রাখা ছিলো, তালিকাভুক্ত ও অ-তালিকাভুক্ত কোম্পানির করহারের ব্যবধানও বেশি ছিলো। তাতে করে কি আমাদের পুঁজিবাজার খুব বেশি ফুলে-ফেঁপে উঠেছিলো?

তিনি বলেন, পুঁজিবাজারে অনেক ধরণের ট্যাক্স ইনটেনসিভ দেওয়া ছিলো, তাতে করে কি আমরা খুব বেশি ভালো ফলাফল দেখেছি? নাকি ক্যাপিটাল মার্কেটের সমস্যা অন্য কোথাও? সেটা কি চিহ্নিত করা হয়েছে? আপনারা শুধু মনে করছেন যে করছাড়ই ক্যাপিটাল মার্কেটের সম্প্রসারণের একটি জায়গা? করছাড়ের এই চর্চা তো দীর্ঘ সময় ছিলো।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, আপনারা সব সময় মনে করছেন যে, শুধু বুঝি কর ছাড়ই ক্যাপিটাল মার্কেট গ্রো (ভালো) করার জন্য একটি ভালো জায়গা। ক্যাপিটাল মার্কেটে কর ছাড়ের এই চর্চা দীর্ঘ সময় ছিল। এখন যেটি হয়েছে, আমাকে রেভিনিউ জেনারেট করতে হবে। কর ছাড়ের যে জায়গাটি রয়েছে, সেটা ধীরে ধীরে আমাদের কমিয়ে আনার প্রচেষ্টার মধ্যে আছে। অনেকেই নিজ খরচে পদ্মা সেতু করার কথা বলেছেন। আমরা অরও পদ্মা সেতু করতে চাই। সেটার জন্য আমাদের রেভিনিউ জেনারেট (রাজস্ব আহরণ) করতে হবে। সেটারই একটি প্রক্রিয়া হলো কর ছাড়ের জায়গাটা কমিয়ে আনা।

তিনি বলেন, এখানে ৫ শতাংশ যে ব্যবধান দেওয়া হয়েছে, এর ফলে কর্পোরেট ট্যাক্স ২০ শতাংশ রয়েছে। ২০ শতাংশের নিচে যদি কর্পোরেট ট্যক্স করা হয়, তাহলে আমাদের রেভিনিউ জেনারেট করবে না। ১৫ শতাংশ কর্পোরেট ট্যাক্স করার পর্যায়ে আমাদের দেশ এখনো আসেনি। পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ও অতালিকাভুক্ত এ দুই ধরনের কোম্পানির কর কমিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছে না। এটা করা হলে এনবিআরের রেভিনিউ কালেকশনের (রাজস্ব আদায়) ওপর বিরাট হুমকি হয়ে যাবে।

আরেক প্রশ্নের উত্তরে অর্থসচিব খায়েরুজ্জামান মজুমদার বলেন, বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে যে কিছুই নাই এটা ঠিক না। বাজেট বক্তৃতায় যে সব কথা বলা থাকবে এমনটি নয়। তারপরেও আমরা বাজেটে পুঁজিবাজার নিয়ে কিছু বলার চেষ্টা করেছি। বিশেষ করে গ্রিন বন্ড ফাইন্যান্সিং নিয়ে কাজ করছি। দীর্ঘমেয়াদে বন্ড মার্কেট নিয়ে কাজ করার চেষ্টা করছি। এ জন্য বাজেটে গ্রিন বন্ডকে হাইলাইট করা হয়েছে।