পুঁজিবাজারে কর সুবিধা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আত্মহত্যা ঠেকানো যায়নি
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে করসুবিধা দিয়ে বিনিয়োগকারীদের আত্মহত্যা ঠেকানো যায়নি। কেবল করসুবিধা দিয়ে বাজারের সবকিছু ঠিক করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউনট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএবি) সাবেক সভাপতি মো: হুমায়ূন কবির। শনিবার আইসিএবি কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির এই সাবেক সভাপতি এসব কথা বলেছেন।
তিনি বলেন, ভালো ভালো অনেক কোম্পানি এখনও বাজারে আসেনি।পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা বা মৌলভিত্তির ওপর নির্ভর করে পুঁজিবাজার চাঙা হওয়ার বিষয়। কর কাঠামোর জন্য পুঁজিবাজারের এই পরিস্থিতি হয়নি। তিনি করপোরেট করের হার হ্রাস ও উৎসে কর কর্তনসহ (টিডিএস) আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে কর সংস্কার ব্যবস্থাকে সমর্থন জানান আইসিএবির সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন।
ব্যক্তিশ্রেণির কালোটাকা সাদা করার সুযোগ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন বলেন, ‘ব্যক্তিশ্রেণির অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত; তাই এ বিষয়ে মন্তব্য নেই। তবে আমরা নৈতিকতার মান বজায় রাখার পক্ষে।’ প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে অপ্রদর্শিত আয় বৈধ করার পক্ষে আইসিএবি।
এদিকে সংবাদ সম্মেলনে বাজেটের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে আইসিএবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্নেহাশীষ বড়ুয়া বলেন, সরকারি ব্যাংক তুলনামূলক বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে কম ঋণ পাবে। ফলে বিনিয়োগ কম হবে। এনবিআরকে যে বেশি রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে, তা বিঘ্নিত হবে।
তার মতে, এই বাজেটে নতুন কর হারের কারণে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের নিচের দিকের এবং ওপরের দিকের করদাতারা চাপে থাকবেন; মধ্যপর্যায়ের করদাতারা কিছুটা সুবিধা পাবেন। প্রস্তাবিত বাজেটে বেশ কিছু বাস্তব ভিত্তিক উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আইসিএবি পক্ষ থেকে তিনি সরকারের প্রশংসা করেন।