পুঁজিবাজারে প্রফিট টেকিংয়ের কারনে সূচকের কিছুটা ছন্দপতন, ভয়ের কিছু নেই
রাকিবুল হাসান, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উঠানামার মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে ডিএসইতে লেনদেনের শুরুতে সূচকের বড় উত্থান হলেও দিনশেষে নামমাত্রা সূচকের উত্থান হয়েছে। মুলত গত তিন কার্যদিবস ডিএসই সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছিল। আজও ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের সাথে বেড়েছে টাকার পরিমানে লেনদেন। তবে কমেছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত তিন কার্যদিবস সূচকর উত্থানের ফলে কিছু কিছু কোম্পানির শেয়ার প্রফিট টেকিংয়ের কারণে সূচকের কিছুটা ছন্দপতন হয়েছে। তবে বাজার নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। পুঁজিবাজার তার নিজস্ব গতিতে চলবে। কারণ সাম্প্রতিক পুঁজিবাজারে সূচকের বড় দরপতনে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগের উপযোগী সময় বলে তারা মনে করেন।
এদিকে চলতি বছর দেশের পুঁজিবাজারের জন্য সবচেয়ে ‘কালো বছর’ হিসাবে চিহ্নিত। এই বছরের প্রথমার্ধে পুঁজিবাজারে সূচক কমেছে হাজার পয়েন্টের বেশি। আর বিনিয়োগকারীদের মূলধন কমেছে ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর মধ্যে গত তিন কার্যদিবস ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক বেড়েছে ১৬১ পয়েন্ট। আর বিনিয়োগকারীদের মূলধন ফিরেছে ১৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিনদিন আগে যারা শেয়ার ক্রয় করেছিলেন, তারা মুনাফা তোলায় বাজার কিছুটা চাপে ছিল। যে কারণে বড় উত্থানে থেকেই বাজার পেছনের দিকে ধাবিত হয়। তবে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। বাজার ঠিকই আবার সামনে দিকে অগ্রসর হবে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২৪৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক .৫৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৪৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই–৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৮৭৭ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১১ টির, দর কমেছে ২৩২টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫ টির।
ডিএসইতে ৪৮৬ কোটি ৭৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩৩ কোটি ৮০ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ৯৪ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৪ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৮২১ পয়েন্টে। সিএসইতে ২০৩ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৭৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৫ টির এবং ৩৩ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০ কোটি ৯৮ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।