ক্যাপিটাল গেইনের নেতিবাচক খবরে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় দরপতন
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন মুলত চুড়ান্ত বাজেটে ক্যাপিটাল গেইনের নেতিবাচক খবরে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। তবে ক্যাপিটাল গেইন ইস্যুতে গত এক মাসের বেশি সময় ধরে টানা দরপতন চলছিল। তবে ঈদের আগে দুই কার্যদিবস এবং ঈদের পরে চার কার্যদিবস সূচকের কিছুটা উত্থান হয়েছিল।
তবে ফের ক্যাপিটাল গেইনের নেতিবাচক খবরে সপ্তাহের লেনদেনের শুরুতে দরপতন শুরু হয়। লেনদেনের ১২ মিটের মাথায় ঢাকা স্টক স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬৫ পয়েন্টের বেশি পড়ে যায়। এই সময়ে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে এক ধরনের অজানা আতঙ্ক তৈরি হয়।
তবে লেনদেনের সময় যতই গড়াচ্ছিল, সূচকের পতনও ততো কমতেছিল। এই সময়ে বড় মূলধনী মৌলভিত্তির কিছু কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়তে দেখা যায়। যার ফলে সূচকরে পতন কমতে থাকে। লেনদেনের এক ঘন্টর মধ্যে ডিএসইর প্রধান সূচকের পতন ২০ এর নিচে নেমে আসে। তারপর আবার সেল প্রেসারের সূচক পতন বাড়তে থাকে।
বেলা সোয়া একটায় সূচক আগের দিনের সমান রেখায় অবস্থান নেয়। তবে তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সেল প্রেসারে সূচক আবারও পেছনে যেতে থাকে। পৌনে ১টার পর সূচকের পতন আবারও বাড়তে থাকে। যা দিনশেষে ২৭ পয়েন্টে সূচকের দরপতনের মধ্যে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে এদিন সূচকে নেতিবাচক প্রবণতা থাকলেও লেনদেনে ছিল ইতিবাচক প্রবণতা। এদিন ডিএসইতে আগের দিনের চেয়ে ৭ কোটি টাকা বেশি বেড়ে লেনদেন ৭১২ কোটি টাকা ছাড়ায়।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৭ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৩২৮ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৮০ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১২ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯০৯ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৯২ টির, দর কমেছে ২৬৮ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮ টির। ডিএসইতে ৭১২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬ কোটি ৮৫ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭০৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৬৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৩৩ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৩ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৬ টির এবং ৩৪ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।