৩ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার তুলে দেওয়ার গুজবে পুঁজিবাজারে ফের সূচকের বড় দরপতন
শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীরা ফের আস্থার সংকটে পড়েছেন। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। এদিন লেনদেনের শুরুতে শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের বড় দরপতন হয়েছে। মুলত ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারেরও ক্রেতা সংকট দেখা যায়।
আর ৩ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার উঠিয়ে দেওয়ার গুজবে সূচকের বড় দরপতন হয়েছে বলে একাধিক বিনিয়োগকারী মন্তব্য করেন। বিনিয়োগকারীরা বলেন, লেনদেনের শুরুতে ৩ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার তুলে ১০ শতাংশ দেওয়া হচ্ছে বলে এমন গুজব চলে আসে।
তবে গত বুধবার থেকে ৩ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার তুলে দেওয়ার খবর হাউজগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। বিনিয়োগকারীদের প্রশ্ন বাজার স্থিতিশীল না করে কী ভাবে ফের ৩ শতাংশ সার্কিট ব্রেকার তুলে দেওয়া হবে। আর বাজারে যে সব গুজব ছড়ায় সেগুলো দেখা যাচ্ছে পড়ে বাস্তবায়ন হচ্ছে। ফলে গুজব শুনলেই বিনিয়োগকারীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। যার প্রভাব ফের দরপতনের বৃত্তে ফিরেছে পুঁজিবাজার।
আর নতুন করে ফের আস্থা সংকটের কারণে প্রাতিষ্ঠানিক ও ব্যক্তি পর্যায়ের বড় বিনিয়োগকারীরা সাইডলাইনে অবস্থান করছেন। ফলে এক কার্যদিবসের মাথায় লেনদেনে ধস নেমেছে পুঁজিবাজারে। এর মাধ্যমে টানা দুই কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৬১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৫০৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ২০৭ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৪২ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৬ টির, দর কমেছে ৩৪৩ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮ টির। ডিএসইতে ৬৬৪ কোটি ২৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩০২ কোটি ৯৪ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৯৬৭ কোটি ২২ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৮ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৭৫৭ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৬৭ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৪৩ টির দর বেড়েছে, কমেছে ২১২ টির এবং ১২ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯ কোটি ১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।