দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) গত এক মাসে ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেনের চমক দেখিয়েছে। তবে এ খাতের শেয়ারের দর তেমন না বাড়লেও লেনদেনে এগিয়ে রয়েছেন। মুলত গত এক মাসে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মোট ১ হাজার ৮০০ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে খাতভিত্তিক লেনদেনে শীর্ষে ছিল ওষুধ ও রসায়ন খাত। ডিএসইর সাপ্তাহিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুসারে, সদ্য সমাপ্ত সপ্তাহে ওষুধ ও রসায়ন খাতে মোট ৭৩৪ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ৪১২ কোটি টাকা। আগের দুই সপ্তাহে ওষুধ ও রসায়ন খাতে লেনদেন হয়েছিল যথাক্রমে ৫০২ ও ১৫৫ কোটি টাকার শেয়ার।

বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৪ হাজার ৪৪৮ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, আগের সপ্তাহে যা ছিল ২ হাজার ৪৬৩ কোটি টাকা। আগের সপ্তাহে এক্সচেঞ্জটিতে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৮০২ কোটি টাকা এবং তার আগের সপ্তাহে এ খাতের লেনদেনের পরিমাণ ছিল ৬৯৯ কোটি টাকা। সর্বশেষ গত সপ্তাহের খাতভিত্তিক লেনদেনচিত্রে দেখা যায়, ডিএসইর মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ দখলে নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে ওষুধ ও রসায়ন খাত।

দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ দশমিক ২ শতাংশ দখলে নিয়েছে বস্ত্র খাত। ১০ দশমিক ৭ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে খাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাত। মোট লেনদেনের ১০ দশমিক ৬ শতাংশের ভিত্তিতে চতুর্থ অবস্থানে ছিল প্রকৌশল খাত। আর সাধারণ বীমা খাতের দখলে ছিল লেনদেনের ৬ দশমিক ৭ শতাংশ।

পুঁজিবাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক আগের সপ্তাহের তুলনায় ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ১৭ শতাংশ বেড়ে ৫ হাজার ৫০৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ৫ হাজার ৪৯৮ পয়েন্টে। এছাড়া গত সপ্তাহে নির্বাচিত কোম্পানির সূচক ডিএস-৩০ সপ্তাহের ব্যবধানে ৯ পয়েন্ট বা দশমিক ৪৬ শতাংশ কমে ১ হাজার ৯৪২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে, আগের সপ্তাহ শেষে যা ছিল ১ হাজার ৯৫১ পয়েন্টে। শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস গত সপ্তাহে সামান্য কমে ১ হাজার ২০৮ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। আগের সপ্তাহে ডিএসইএক্স সূচক বেড়েছিল ১৪২ পয়েন্ট। আগের দুই সপ্তাহে সূচকটি বেড়েছিল যথাক্রমে ১১১ ও ১২৬ পয়েন্ট।

গত বছরও দেশের পুঁজিবাজারে ওষুধ ও রসায়ন খাতের শেয়ার উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লেনদেন হয়েছে। এ সময়ে পুঁজিবাজারের খাতভিত্তিক শেয়ারে রিটার্ন পরিস্থিতি পর্যালোচনায় দেখা যায়, টেলিযোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান খাতের শেয়ারে কোনো রিটার্ন আসেনি। প্রকৌশল ও বস্ত্র খাতে ১ শতাংশ এবং ব্যাংক খাতের শেয়ারে ২ শতাংশ রিটার্ন এসেছে। অন্যদিকে এ সময় ওষুধ ও সিরামিক খাতে নেতিবাচক রিটার্ন এসেছে। অবশ্য বীমা ও পাট খাতের মতো স্বল্প মূলধনি কোম্পানিগুলোর শেয়ারে রিটার্ন ছিল দুই অংকের ঘরে।