হাসিনা সরকারের পতনে পুঁজিবাজারে সূচকের বড় উত্থান, সূচক বেড়েছে ১৯৭ পয়েন্ট
তৌফিক ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: শেখ হাসিনা সরকারের পতনে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবস গতকাল মঙ্গলবার দেশের প্রধান ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচক বেড়েছে ১৯৭ পয়েন্টের বেশি। যা গত তিন বছরের মধ্যে এটি পুঁজিবাজারে সর্বোচ্চ উত্থান। এদিন লেনদেনেও ছিল প্রত্যাশার ছোঁয়া। দীর্ঘদিন পর সূচকের উত্থানে বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসি ফুটছে। পাশাপাশি অসহায় বিনিয়োগকারীরা আশার আলো দেখতে শুরু করছেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২২ সালের ২০ জানুয়ারি ডিএসইর প্রধান সূচক ছিল ৭ হাজার ১০৫ পয়েন্ট। এরপর থেকেই পুঁজিবাজারে থেমে থেমে টানা পতনের ছোবল। ধারাবাহিক পতনে গত ২ বছর ৭ মাসে ডিএসইর সূচক কমেছে ১ হাজার ৬৭৯ পয়েন্ট। অথচ এরমধ্যে পুঁজিবাজারে নতুন আইপিও শেয়ার এসেছে ২০টির বেশি। যেগুলোর মূলধন সূচকে যোগ হয়েছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই সময়ে বাজারে তারল্য সংকটের কারণে যতটা কমেছে, তারচেয়ে বেশি কমেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে। অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত ইসলামের নেতৃত্বে বিএসইসির লুটপাটে পুঁজিবাজারের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে। বাজার সংশ্লিষ্টরা শিবলী রুবাইয়াত ও তার দোসরদের দুর্নীতি ও অনিয়মের তদন্তের দাবি করছেন।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৯৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৪২৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৩২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৭৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৭৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯৩৪ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩২৮ টির, দর কমেছে ৬০ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯ টির। ডিএসইতে ৭৪৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৫৪২ কোটি ১৬ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২০৭ কোটি ৮৩ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৪৬৭ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ হাজার ৩৯৩ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২২ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৫৯ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৫২ টির এবং ১১ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৯ কোটি ২৯লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।