দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) অবশিষ্ট ছয় কোম্পানির ফ্লোর প্রাইসও প্রত্যাহার করে নিয়েছে। এতে করে পুঁজিবাজারে আর কোনো কোম্পানির ওপর ফ্লোর প্রাইস থাকবে না। বিএসইসির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী রোববার থেকে বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার হবে। আর ১৪ আগস্ট থেকে বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে ফ্লোর প্রাইস থাকবে না।

গত বৃহস্পতিবার বিএসইসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবায়াত উল ইসলাম এই সিদ্ধান্তের আদেশে সই করেন। আজ শুক্রবার এই নির্দেশনার কথা জানা গেছে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকে বিএসইসি চেয়ারম্যান অফিস করছিলেন না। তিনি কোথায় থেকে ওই আদেশে সই করেন তা বলতে পারছেন না বিএসইসির কর্মকর্তারা।

এই বিষয়ে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, ‘বৃহস্পতিবারই ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিকেল ৫টার পরে তিনি (শিবলী রুবায়াত) সই করেছেন। অফিসে এসে করেছেন নাকি বাসা থেকে করে পাঠিয়েছেন, তা আমার জানা নেই।’

কমিশন সভার অনুমোদন ছাড়া তিনি এই আদেশ জারি করতে পারেন কিনা, এমন প্রশ্নের জবাবে রেজাউল করিম বলেন, ‘কমিশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে তিনি এর আগেও ফ্লোর প্রাইস আরোপের সিদ্ধান্তে সই করেন। এক্ষেত্রে কমিশনের অনুমোদনের প্রয়োজন হয়নি। এবারও তাই করেছেন।’

মুলত পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি। সর্বশেষ দফায় আরোপিত ফ্লোর প্রাইসের আওতায় থাকা কোম্পানিগুলোর মধ্যে থেকে প্রথম দফায় গত ১৮ জানুয়ারি ৩৫টি কোম্পানির ওপর বহাল রেখে বাকিগুলো থেকে তুলে নিয়েছিল কমিশন।

এরপর দুই কর্মদিবসের মাথায় ২২ জানুয়ারি ওই ৩৫টির মধ্য থেকে ১২টি রেখে আরও ২৩টির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হয়। এরপর ৬ ফেব্রুয়ারি আরও ৬টির তুলে নেওয়া হয়।

সেগুলোর মধ্যে রেকর্ড ডেটের দিন ফ্লোর উঠে যায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, গ্রামীণফোন ও রবি আজিয়াটার। আর আনোয়ার গ্যালভানাইজিং, ওরিয়ন ফার্মা ও রেনেটার ওপর থেকে তাৎক্ষণিক তুলে নেওয়া হয়। এতে ৬টি কোম্পানি এত দিন ফ্লোর প্রাইসে আবদ্ধ ছিল, তাও আর রইল না।