দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নানা জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটে অবশিষ্ট ৬ কোম্পানির ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস (সর্বনিম্ন সীমা) তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। গত ৮ আগস্ট এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনাও জারি করা হয়। তবে অঅজ রোববার তা কার্যকর হওয়ার আগেই সে সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে বিএসইসি।

আজ সকালে বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, অবশিষ্ট যেসব কোম্পানির ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তা আজ প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে এবিষয়ে এখনো লিখিত কোনো আদেশ বা নির্দেশনা জারি করা হয়নি। শিগগিরই এ বিষয়ে নির্দেশনা জারি করা হবে।

এদিকে, গত ৮ আগস্ট বিএসইসির সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সাক্ষরিত নির্দেশনায় ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে তিনি ১০ আগস্ট রাতে পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগের পরই ওই নির্দেশনাটি স্থগিত করলো বিএসইসি।

কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী, ১১ আগস্ট বেক্সিমকো, খুলনা পাওয়ার ও শাহজিবাজার পাওয়ারের ওপর থেকে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছিল। আর আগামী ১৪ আগস্ট থেকে বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক ও মেঘনা পেট্রোলিয়ামে ফ্লোর প্রাইস প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে পতন ঠেকাতে না পেরে, গত চার বছরে কয়েক দফায় শেয়ারে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। প্রথমবার ২০২০ সালে মার্চে ফ্লোর প্রাইস আরোপ করলেও তুলে নেওয়া হয় ২০২১ সালের জুলাইয়ে। এরপর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে ২০২২ সালের জুলাইয়ে আবারও ফ্লোর প্রাইস আরোপ করে বিএসইসি। এ পর্যায়ে শেয়ার লেনদেন ব্যাপক কমে গেলে সমালোচনার মুখে পড়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।