দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত খ্যাদ্য ও আনুষঙ্গিক খাতের কোম্পানি ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ লিমিটেডের শেয়ার বিদায়ী সপ্তাহের লেনদেনের তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছে। আলোচ্য সপ্তাহে ডিএসইর মোট লেনদেনে কোম্পানিটির অবদান ছিল ৮.৭৮ শতাংশ।

সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে ডিএসইতে কোম্পানিটির ১৮ লাখ ৭০ হাজার ২৫৭টি শেয়ার মোট ২ হাজার ৭৩০ বার হাতবদল হয়, যার বাজার মূল্য ছিল ৭৭ কোটি ৯৭ লাখ ৯০ হাজার টাকা। ওই দিন কোম্পানিটির শেয়ারদর ১.৪০ শতাংশ বা ৫ টাকা ৮০ পয়সা বেড়ে সর্বশেষ ৪১৯ টাকা ৭০ পয়সায় লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন ৩১৫ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫১৮ টাকা ৭০ পয়সার মধ্যে ওঠানামা করেছে।

চলতি অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল-জুন’২৪) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ি, কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৯ টাকা ৪৮ পয়সা। আগের বছর একই সময়ে যা ছিল ৯ টাকা ১৪ পয়সা। ৩০ জুন, ২০২৪ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ১০৬ টাকা ৪৭ পয়সায়। আলোচ্য সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২০ টাকা ৮৭ পয়সা (নেগেটিভ)। আগের বছর ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা (নেগেটিভ)।

৩১ ডিসেম্বর, ২০২৩ অর্থবছরের জন্য কোম্পানিটি ১০০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিয়েছে। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৩ টাকা ১১ পয়সা এবং শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৯৯ টাকা ৩৩ পয়সায়। আলোচ্য অর্থবছরে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ১৮ টাকা ৯০ পয়সা।

১৯৭৭ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটির ৫৪০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন রয়েছে ৫৪০ কোটি টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৪ হাজার ৮২৬ কোটি ২৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ৫৪ কোটি।

এরমধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের কাছে ৭২.৯১ শতাংশ, সরকারের কাছে ০.৬৪ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের কাছে ১৪.২৭ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ৪.২৪ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে ৭.৯৪ শতাংশ শেয়ার রয়েছে।