দরপতনের বৃত্তে ঘুরপাক খাচ্ছে পুঁজিবাজার, নেপথ্যে আস্থা ও তারল্য সংকট
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: দরপতনের বৃত্ত থেকে বের হতে পারছে না দেশের পুঁজিবাজার। ফলে বাজার আজ ভাল কো কাল খারাপ। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পরও চলছে দরপতনের মধ্যে লেনদেন। ফলে আস্থা ও তারল্য সংকটে হাহাকার চলছে পুঁজিবাজার।
ফলে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের মিশ্রাবস্থায় লেনদেন শেষ হয়েছে। মুলত চার কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের দরপতন হয়েছে। বেশ কিছু দিন ধরে বহু মুলধনী কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না পুঁজিবাজার।
তবে আজ ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ১৪ পয়েন্ট সূচকের দরপতন হয়েছে। এর মধ্যে বড় মূলধনী ৪ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে ডিএসইর সূচক কমেছে ১৪ পয়েন্টের বেশি। এদিন কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৪ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭১১পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৪৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১৫ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ২ হাজার ৮৫ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৯ টির, দর কমেছে ১৮২ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬ টির। ডিএসইতে ৬৬৮ কোটি ৯৫ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৬৪ কোটি ৪৪ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৭৩৩ কোটি ৩৯ লাখ টাকার।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১১৮ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১৩ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৬ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৭ টির এবং ২০ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৫ কোটি ৮৩ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।