ব্যাংক ও আর্থিক খাতের শেয়ারে ভর করে সূচকের উত্থান, দ্বিগুণের কোম্পানির দরপতন
শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের কিছুটা উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের উত্থান হলেও বাজার নিয়ে বিনিয়োগকারীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন। কারণ ব্যাংক ও আর্থিক কয়েকটি কোম্পানির শেয়ারে ভর করে সূচক বাড়লেও দ্বিগুনের বেশি কোম্পানির শেয়ারের দরপতন হয়েছে। তবে যে কয়টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার দ্বিগুণের বেশি। এরপরও বেড়েছে মূল্যসূচক।
এদিকে চার ইসলামী শেয়ারের বিনিয়োগকারীরা অস্থির বাজারেও ছিলেন ফুরফুরে মেজাজে রয়েছে। গত কয়েকদিন পুঁজিবাজারে অস্থিরতা ও মিশ্র প্রবণতা বিরাজ করলেও কোম্পানি চারটির শেয়ার দাম রয়েছে ধারাবাহিক ভাবে দর বাড়ছে। কোম্পানিগুলো হলো: ইসলামী ইন্সুরেন্স, ইসলামী ফাইন্যান্স, ইসলামী ব্যাংক ও স্যোসাল ইসলামী ব্যাংক।
তবে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে সব খাত মিলে ১১২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের স্থান হয়েছে দাম বাড়ার তালিকায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৩৭টি প্রতিষ্ঠানের। আর ৪৯টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। অপরদিকে ব্যাংক খাতের ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ৫টির দাম কমেছে। আর্থিক খাতের ১৫টির শেয়ার দাম বেড়েছে এবং ৬টির দাম কমেছে।
বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, মৌলভিত্তি সম্পন্ন কোম্পানিগুলোর শেয়ার দর ক্রমাগত বাড়ছে। এসব কোম্পানির প্রতি প্রাতিষ্ঠানিকদের পাশাপাশি সাধারণ বিনিয়োগকারীদেরও আগ্রহ বাড়ছে। যার ফলশ্রুতিতে কম সংখ্যক কোম্পানির দর বাড়লেও বাজার ইতিবাচক প্রবণতা বিরাজ করছে। এটা বাজারের জন্য ভালো লক্ষণ বলে মনে করছেন তারা।
বাজার বিশ্লেষণে দেখা যায়, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হলেও কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২৫ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ৭৬০ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১০ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ২৭৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ২ হাজার ৯৬ পয়েন্টে।
দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৮ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১২ টির, দর কমেছে ২৩৭ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৯ টির। ডিএসইতে ৬৭৪ কোটি ৩৮ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১ কোটি ৩৫ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৬৭৫ কোটি ৭৩ লাখ টাকার ।
অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ১৮৬ পয়েন্টে। সিএসইতে ২৩০ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৬৮ টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৩৬ টির এবং ২৬টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১১ কোটি ১৭ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।