দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগে বিতর্কে পড়ে দফায় দফায় পরিবর্তন করেছে। সর্বশেষ গত ১৯ সেপ্টেম্বর আইপিডিসি ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিনুল ইসলাম এবং ফিন্স অ্যালায়েন্স অ্যান্ড রিস্ক অ্যাডবাইজরি অ্যান্ড কনসালটেন্সির সিইও শাহনাজ সুলতানাকে ডিএসই’র স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। এখানেও নতুন করে বিতর্কের জন্ম হয়েছে।

জানা গেছে, ডিএসই’র স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পাওয়া আইপিডিসি ফাইন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিনুল ইসলামের সিআইবি রিপোর্ট ঠিক নেই। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের গ্যারান্টার হিসেবে ঋণখেলাপির তালিকায় অর্ন্তভূক্ত। ডিএসই রেগুলেশন, ২০১৩ এর ৪ ধারার ‘ডি’ উপধারায় বলা আছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি রিপোর্ট অনুযায়ি কোন ঋণখেলাপি ডিএসইর স্বাধীন পরিচালক হতে পারবেন না। এ বিষয়ে বিএসইসির পরিচালক ও মূখপাত্র ফারহানা ফারুকী সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, মোমিনুল ইসলামের ঋণখেলাপির বিষয়টি আমরা এখনো জানি না।

এর আগে বিএসইসি প্রথম দফায় ০১ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে ৭ জন স্বাধীন বা স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগ দেয়। এদের মধ্যে ৩ জনের ক্ষেত্রেই বিএসইসি আইন পরিপালন করেনি বলে বিতর্ক উঠে। যার ধারাবাহিকতায় ৩ জনের মধ্যে মাজেদুর রহমান ও ড. হেলাল উদ্দিন ডিএসইর পর্ষদে যোগদান করতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। এরপর ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএসইতে ওই ২ জনের স্থলে অন্য ২ জনকে নিয়োগ দেয়।

তারা হলেন-হুদা ভাসী চৌধুরী অ্যান্ড কোম্পানীর সিনিয়র পার্টনার এ এফ নেসারউদ্দিন ও জেড এন কনসালট্যান্ট এর চীফ কনসালট্যান্ট ও সিইও সৈয়দা জাকেরিন বখত নাসির। যাদের নিয়োগও আইনগতভাবে ঠিক হয়নি বলে বিতর্ক উঠে। এরপর তারা ২ জনও ডিএসইর পর্ষদে যোগদান করতে অপারগতা প্রকাশ করে।

এর প্রেক্ষিতে তৃতীয় দফায় ওই ২ জনের স্থলে আইপিডিসি ফিন্যান্সের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোমিনুল ইসলাম ও ফিন্স অ্যালায়েন্স অ্যান্ড রিস্ক অ্যাডবাইজরি অ্যান্ড কনসালটেন্সির সিইও শাহনাজ সুলতানাকে নিয়োগ দেয়। এখন ঋণ খেলাপির তালিকায় মোমিনুল ইসলামের নাম অর্ন্তভূক্ত থাকায় বিতর্ক আরও ঘনীভূত হলো। এরফলে ডিএসই’র স্বতন্ত্র পরিচালক হিসাবে মোমিনুল ইসলামের যোগদানও অনিশ্চিত হয়ে গেল।