দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে শীর্ষ মুলধনী ৯ কোম্পানির শেয়ার বিক্রির চাপে সূচকের বড় দরপতনের হয়েছে বলে বাজার সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন। ৯ কোম্পানির শেয়ার কোন কোন ব্রোকারেজ হাউজে সেল প্রেসার ছিলো তা বিএসইসির খতিয়ে দেখা উচিত।

এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ৮৩ পয়েন্ট সূচক কমেছে। এর মধ্যে ৯ কোম্পানর শেয়ার বিক্রির চাপে সূচক কমেছে ৭২ পয়েন্ট বা ৮৬ শতাংশ। কোম্পানিগুলো হলো: ইসলামী ব্যাংক, স্কয়ার ফার্মা, লাফার্জহোলসিম, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজ, খান ব্রাদার্সা, গ্রামীণফোন, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশন এবং পাওযার গ্রিড।

ইসলামী ব্যাংক: আগের দিন ইসলামী ব্যাংকের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৬১ টাকা ৫০ পয়সা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৫৫ টাকা ৪০ পয়সা। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ৬ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৯২ শতাংশ কমেছে। শেয়ার দর এই পতনের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে সূচক কমেছে ৪০.৭৬ পয়েন্ট। এই একটি কোম্পানির মাধ্যমে সূচকের মোট পতনের অর্ধেক হয়েছে।

স্কয়ার ফার্মা: স্কয়ার ফার্মার শেয়ারের ক্লোজিং দর আগের দিন ছিল ২২৯ টাকা। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ২২৬ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ আজ শেয়ারটির দর ২ টাকা ৪০ পয়সা বা ১.০৫ শতাংশ কমেছে। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে কোম্পানিটির সূচক কমেছে ৫.৭১ পয়েন্ট। যা শেয়ারবাজার পতনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভূমিকা রেখেছে।

লাফার্জহোলসিম: আগের দিন লাফার্জহোলসিমের শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৫৯ টাকা ৭০ পয়সায়। আজ লেনদেন শেষে শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয় ৫৬ টাকা ৬০ পয়সা। অর্থাৎ শেয়ারটির দর ৩ টাকা ১০ পয়সা বা ৫.১৯ শতাংশ কমেছে। শেয়ার দরে এই পতনের মাধ্যমে বাজারে কোম্পানিটির সূচক কমেছে ৫.৩৭ পয়েন্ট। যা তৃতীয় সর্বোচ্চ অবদান।

বাজারের বড় পতনে অন্য যেসব কোম্পানির অবদান রয়েছে সেগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলের ৫.২৯ পয়েন্ট, অলিম্পিক ইন্ডাস্ট্রিজের ৩.৮৫ পয়েন্ট, খান ব্রাদার্সের ৩.৫৬ পয়েন্ট, গ্রামীণফোনের ৩.৩১ পয়েন্ট, বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের ২.১৬ পয়েন্ট এবং পাওয়ার গ্রিডের মাধ্যমে সূচক ২.০৫ পয়েন্ট কমেছে।