পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে ‘রোডম্যাপ’ চান বিনিয়োগকারীরা
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজার টানা দরপতনের প্রতিবাদে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) সামনে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে এদিন বিনিয়োগকারীরা বিএসইসি চেয়ারম্যানের পদত্যাগ দাবি না করে সহযোগিতার হাত বাড়াতে চেয়েছেন। একইসঙ্গে তারা পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদী স্থিতিশীলতার লক্ষ্যে ‘রোডম্যাপ’ চেয়েছেন।
সোমবার (৭ অক্টোবর) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে বিএসইসির সামনে জড়ো হতে থাকেন বিনিয়োগকারীরা। পরে ৪টার দিকে তারা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় বিএসইসির নিরাপত্তা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধন কর্মসূচিতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের পক্ষে মোহাম্মদ মুন্না বলেন, টানা দরপতনে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগকারীদের হাহাকার চলছে। বিনিয়োগকারীদের পুঁজির নিরাপত্তার বিএসইসির সামনে ফের মানবন্ধন করে। তবে আমরা এসেছি পুঁজিবারকে একটা দীর্ঘমেয়াদী স্ট্রাকচারে দাঁড় করানোর জন্য। আমরা বিএসইসিকে বাধা দিতে নয়, বরং সহযোগিতা করতে চাই। তবে আমরা বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদত্যাগের দাবি থেকে সরে আসিনি। তবে এ মুহূর্তে আমরা পুঁজিবাজারের স্বার্থে সহযোগিতার হাত বাড়াতে চাই।
এ সময় নতুন কর্মসূচির কথা উল্লেখ করে মোহাম্মদ মুন্না বলেন, আগামী রোববার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত আমরা বিএসইসিকে হোমওয়ার্ক করার জন্য সময় দিতে চাই। ওই সময়ের মধ্যে তারা কোন কোন বিষয়ে কাজ করবে সেই ‘রোডম্যাপ’ নির্ধারণ করবে। এরপর আমাদের জানাবে।
এটি স্বল্পমেয়াদ (এক মাস), মধ্যমেয়াদ (তিন থেকে ছয় মাস) ও দীর্ঘ মেয়াদের (এক থেকে পাঁচ বছর) হতে পারে। তবে গত বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) আমাদের আন্দোলন খুব জোড়ালো হয়েছিল। এরপর একটি গ্রুপ খুব সকালে এসে লিখিতভাবে জানিয়ে গেছে যে, আমরা না-কি আন্দোলন স্থগিত করেছি। তাই স্পষ্ট করে বলতে চাই যে, আমরা আন্দোলন স্থগিত করিনি। আমরা লুকিয়ে কোনো কাজ করব না। এর আগে গত রোববার (৬ অক্টোবর) দুপুর ১২টা থেকে বিএসইসির সামনে চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা।
পরে বিকেল পৌনে ৪টার দিকে একদফা দাবিতে এবার মতিঝিলের দিলকুশা এলাকায় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন। এর আগে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদের পদত্যাগ দাবিতে গত বুধবার (২ অক্টোবর) বিকেলে বিএসইসির উদ্দেশে লংমার্চ কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিনিয়োগকারীরা।
সে অনুযায়ী পরের দিন বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) মতিঝিলে ডিএসইর পুরাতন ভবনের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেন তারা। পরে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক বিনিয়োগকারী লংমার্চ কর্মসূচি শুরু করেন। পরবর্তীতে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিএসইসির সামনে বিনিয়োগকারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরু করেন। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিএসইসি চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদকে শনিবার (৫ অক্টোবর) পর্যন্ত পদত্যাগ করার আল্টিমেটাম দেন বিনিয়োগকারীরা।