শহীদুল ইসলাম,  দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) একের পর এক বৈঠক করলেও দেশের পুঁজিবাজারে দরপতন থামছে না। ফলে টানা দরপতনের মধ্যে পড়ে প্রতিনিয়ত বিনিয়োগ করা পুঁজি হারাচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। যার ফলে দিন যত যাচ্ছে ততই বিনিয়োগকারীদের মাঝে হাহাকার বাড়ছে। পুঁজিবাজারে টানা দরপতন হলেও নিয়ন্ত্রক সংস্থার ভুমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বিনিয়োগকারীরা। তাছাড়া পুঁজিবাজারে দরপতনের শেষ কোথায় এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা।

বর্তমান বাজারের চিত্র দেখে বিনিয়োগকারীদের কোন সমীকরন মিলছে না। এছাড়া টানা দরপতন হলেও পুঁজির সুরক্ষা দিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসির কার্যকর উদ্যোগ নেই বলে অভিযোগ তুলেছেন বিনিয়োগকারীরা। তবে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে কাজ করা হচ্ছে বলে দাবি করছে বিএসইসি।

বিনিয়োগকারীরা ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, বিএসইসি কী বিনিয়োগকারীদের নি:স্ব করতে দায়িত্ব নিয়েছে। আগের কমিশনের আমলে লোকসান দিতে দিতে পুঁজি শেষের পথে ছিলো বর্তমান কমিশন এসে আমাদের পুঁজি শেষ করে দিয়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থা পুঁজিবাজার স্থিতিশীল না করে কিসের সংস্কার করে। এ ভাবে আর কিছু দিন পুঁজিবাজার চলতে থাকলে এ বাজারে কেউ আসবে না। বর্তমান পুঁজিবাজার ৯৬ ও ২০১০ সালের দরপতন কে হার মানিয়েছে বলে তারা মন্তব্য করেন।

এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় দরপতনে লেনদেন শেষ হয়েছে। মুলত টানা তিন কার্যদিবস দরপতনের পর গত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস পুঁজিবাজারে সূচকের কিছুটা ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিললেও চলতি সপ্তাহের শুরুতে আবার দরপতন হয়েছে। ফলে হতাশা আর অজানা আতঙ্ক ভর করছে বিনিয়োগকারীদের। ডিএসইতে কমেছে সূচক ও লেনদেনের পরিমাণ।

এতে ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ৪৮ পয়েন্ট কমে ৫ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অন্য দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৪ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ১৯১ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় ১৫ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৯৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে।

সবকটি মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারটিতে লেনদেন হয়েছে ৩৫০ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৩৭৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ২৫ কোটি ৮৭ লাখ টাকা।

অন্যদিকে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ৪০ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ১৯২টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৮৪টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ৮৫টির এবং ২৩টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ৮ কোটি ৩১ লাখ টাকা।