শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: টানা পতনের পর অবশেষে ঘুরে দাঁড়াল দেশের পুঁজিবাজার। সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের বড় উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। তবে সূচকের বড় উত্থান হলেও আতঙ্ক কাটেনি বিনিয়োগকারীদের। কারণ গত দুই মাসে টানা দরপতনে অধিকাংশ বিনিয়োগকারী নি:স্ব হয়েছেন। ফলে দুই চার দিন সূচকের উত্থান হলেও কাটবে না লোকসান। তাই বর্তমান বাজারের স্বার্থে স্থিতিশীল পুঁজিবাজারের দাবী জানিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। এদিন সূচকের সাথে বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর ও টাকার পরিমাণে লেনদেন। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

একাধিক বিনিয়োগকারীরা বলেন, সূচকের বড় উত্থান হলেও আতঙ্ক কাটছে না বিনিয়োগকারীদের। ফলে বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যানের উপর আস্থা সংকটে বিনিয়োগকারীরা। কারণ বর্তমান বিএসইসি চেয়ারম্যান পুঁজিবাজার বোঝেন না। এটা শুধু সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কথা নয়। বিএসইসির সাবেক চেয়ারম্যানসহ স্টেকহোল্ডাররাও এ বিষয়ে একমত। তাই তার পদত্যাগ করা উচিত।

তাদের দাবি, মাশরুর রিয়াজকে নিয়ে সামান্য বিতর্ক উঠতেই তিনি আর বিএসইসিতে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেননি। অথচ এখন সবাই মাকসুদের বিপক্ষে এবং তার পদত্যাগ চায়। কিন্তু তার পরও তিনি পদত্যাগ করছেন না। এ থেকেই তার অযোগ্যতার পাশাপাশি ব্যক্তিত্ব না থাকার বিষয়টিও ফুটে উঠেছে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ১৪৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ১৬৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ২২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৩৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ৫৭ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯১৫ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৭ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৭৩ টির, দর কমেছে ১৫ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৯ টির।

ডিএসইতে ৫১৯ কোটি ৩১ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৭২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা বেশি। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৩৪৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৩০ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৩৪৭ পয়েন্টে। সিএসইতে ২১৭ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৭৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ২৯ টির এবং ১৩ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।