দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ওষুধ ও রসায়ন খাতের কোম্পানি সিলকো ফার্মার আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন বিএসইসির উপ-পরিচালক মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান, সহকারী পরিচালক মোঃ তরিকুল ইসলাম ও সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ রুমান হোসেন।

কমিটিকে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে তাদের প্রতিবেদন কমিশনে জমা দিতে বলা হয়েছে। বিএসইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) অনুসন্ধানে কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদনে নানা অনিয়ম উদঘাটিত হওয়ায় বিএসইসি এই তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। তদন্ত কমিটি ২০১৯ সালে সিলকোর প্রাথমিক পাবলিক অফার (আইপিও) এর মাধ্যমে উত্তোলিত ৩০ কোটি টাকার ব্যবহার পরীক্ষা করবে, যা ব্যবসা সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যে সংগ্রহ করা হয়েছিল। তদন্ত কমিটি কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধনের সার্বিক অবস্থাও পরীক্ষা করবে।

এছাড়া, তদন্ত কমিটি কোম্পানির যন্ত্রপাতি, সরঞ্জাম এবং ভবনের মতো সম্পদের ভৌত অস্তিত্বের মূল্যায়ন করবে এবং আর্থিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা মুনাফা, বিক্রয়, বিক্রিত পণ্যের খরচ, ক্রয় প্রক্রিয়সহ আর্থিক ব্যবস্থাপনা পর্যালোচনা করবে। কর্মকর্তারা আরও বলেছেন, তদন্ত কমিটি ২০২০ থেকে ২০২৩ অর্থবছরের সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালসের আর্থিক প্রতিবেদন যাচাই করবে। যেখানে কোম্পানির সম্পদ, দায়, ইক্যুইটি, লাভ এবং নগদ প্রবাহের বাস্তব চিত্র উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা। এই সময়ের মধ্যে কোম্পানির নিরীক্ষকদের ভূমিকাও পর্যালোচনা করা হবে।

উল্লেখ্য, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হওয়ার আগে সিলকো ফার্মাসিউটিক্যালস নিজেদের আর্থিকভাবে শক্তিশালী ওষুধ প্রস্তুতকারক হিসাবে উপস্থাপন করেছিল। তবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির পর কোম্পানিটির মুনাফা ও রাজস্ব ক্রমাগত কমতে থাকে। ২০১৭ সালে কোম্পানিটি যেখানে ১০ কোটি ২৯ লাখ টাকা মুনাফা দেখিয়েছে, সেখানে ২০২৪ সালে এর মুনাফা ৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকায় নেমে আসে। ২০১৯ সালে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি ডিভিডেন্ড দিয়েছিল ২০১৯ সালে ১২ শতাংশ এবং ২০২০ সালে ১০ শতাংশ। ২০২৪ সালে যা ১ শতাংশে নেমে আসে।