শহীদুল ইসলাম, দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহ যেন পতনের বৃত্তে আটকে ছিল দেশের প্রধান পুঁজিবাজার। টানা প্রায় সাত দিনের পতনে প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছিল ১০৩ পয়েন্ট। যে পতনের বৃত্ত ভেঙে সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসেও দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূচকের উত্থানে লেনদেন শেষ হয়েছে। এদিন বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। তবে টাকার পরিমাণে লেনদেন কিছুটা কমেছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, টানা চার কার্যদিবসে ডিএসইর প্রধান সূচক বেড়েছে প্রায় ৫১ পয়েন্ট। পাশাপাশি এই কয়েক দিনে লেনদেনও পৌঁছেছে সাড়ে ৪০০ কোটি টাকার ওপর। এছাড়া পুঁজিবাজার টানা সূচকের ঊর্ধ্বমুখী রাখতে ভালো মৌল ভিত্তি শেয়ারে বড় ভুমিকা রাখছে।

পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের প্রেসিডেন্ট মিজানুর রহমান বলেন, পুঁজিবাজারে এখন যে অবস্থা তাতে পুরোপুরি বিনিয়োগবান্ধব, সেটি বলা যাবে না। কারণ টানা চার কার্যদিবস সূচক যে পয়েন্ট বেড়েছে, বিগত দিনগুলোতে তারও দ্বিগুণ কমেছে। তবে আশার বিষয় হচ্ছে, এই সময়টিতে লেনদেন বেড়েছে। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারির পুরো সময়টিতে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার ঘরে আটকে ছিল। এখন সেটি প্রায় ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

তিনি বলেন, গত সপ্তাহে বিএসইসির কার্যালয়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের মুখে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছিল। কিন্তু পরবর্তী সময়ে পুঁজিবাজারের অংশীজনদের সমন্বয়ে সমস্যাটির সমাধান করা হয়েছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা জম্মেছে যে পুঁজিবাজারের স্বার্থে সবাই একসঙ্গে কাজ করবে।

জানা গেছে, দিনশেষে ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ৯ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৫ হাজার ২২৬ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট কমে অবস্থান করছে ১ হাজার ১৬৫ পয়েন্টে এবং ডিএসই ৩০ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৯০১ পয়েন্টে।

দিনভর লেনদেন হওয়া ৩৯৪ কোম্পানি ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১৬৩ টির, দর কমেছে ১৫৪ টির এবং দর অপরিবর্তিত রয়েছে ৭৭ টির। ডিএসইতে ৪১৪ কোটি ৫৬ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ৩৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা কম। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫২ কোটি ৮৪ লাখ টাকার ।

অপরদিকে, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ১৪ হাজার ৫৭২ পয়েন্টে। সিএসইতে ২২০ টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৯৫ টির দর বেড়েছে, কমেছে ৯৬ টির এবং ২৯ টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ৮ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।