দশম নির্বাচন গনতন্ত্রের অভিযাত্রার মাইলফলক: সুরঞ্জিত
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, ঢাকা: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য সুরঞ্জিত সেন গুপ্ত বলেছেন, নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই দেশের আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষও নৈরাজ্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে ওঠায় জামায়াত-বিএনপি’র নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টাকারীরা
এমশই গুটিয়ে আসছে। এটিই গণতন্ত্রের বিজয়। ৫ জানুয়ারি বিপুল সংখ্যক জনগণ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে ষড়যন্ত্রকারীদের সমুচিত জবাব দেবে বলেও তিনি মনে করেন।
তিনি আজ দুপুরে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনষ্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘আমরা মুজিব হবো’ সংগঠনের উদ্যোগে আওয়ামী লীগের সদ্যপ্রয়াত নেত্রী জোহরা তাজউদ্দিনের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সুরঞ্জিত বলেন, আগামী ৫ জানুয়ারির ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় অন্যতম মাইলফলক হয়ে থাকবে। প্রকারান্তরে এই নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সকল ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে জাতির জনকের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আবারও অসাংবিধানিক শক্তির ক্ষমতায় আসার পথ রুদ্ধ করলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ৯বম সংসদের মেয়াদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে ১০ম সংসদ গঠনে খানিটাক বিলম্ব হতে পারে। কেননা ১০ম সংসদের গেজেট প্রকাশের তিনদিনের মধ্যে সংসদ সদস্যদের শপথ গ্রহণের বাধ্যবাধকতা রয়েছে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের পর রাষ্ট্রপতিই এসব প্রয়োজনীয় বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলেও তিনি জানান।
বিএনপি’র নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান গণতন্ত্রের একটি পূর্বশর্ত। কিন্তু, কেউ যদি এই গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্টের জন্য নির্বাচনে অংশ না নেয়–সেজন্য তারাও ইতিহাসে চিন্থিত হয়ে থাকবে।
সংগঠনের উপদেষ্টা চিত্তরঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তৃতা করেন-সাম্যবাদী দলের নেতা হারুন চৌধুরী, কৃষকলীগের সহসভাপতি এম এ করিম, এডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয়,কাজী মোবারক হোসেন মিলন প্রমুখ।