প্রধানমন্ত্রীআরিফুল ইসলাম, ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশ পরিচালনায় সবার সহয়োগিতা প্রয়োজন। এক্ষেত্রে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার এগিয়ে এসে নতুন সরকারকে সহযোগিতা করা উচিত। সব দলকে নিয়েই জনগণের কল্যাণে কাজ করতে চান বলেও জানিয়েছেন তিনি।

আন্তর্জাতিক অথবা জাতীয় কোনো চাপের কাছে শেখ হাসিনা মাথা নত করে না, সেটি তো আপনারা ভালো করেই জানেন। দেশটা জনগণের। রোববার বিকেলে বঙ্গভবনে সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “বিরোধীদলীয় নেত্রী খালেদা জিয়াকে সংলাপের আহ্বান জানালেও তিনি সাড়া না দিয়ে বার বার আলটিমেটাম দিয়েছেন। সন্ত্রাস-নাশকতায় দগ্ধ হয়ে অনেক মানুষ মারা গেছেন। এটি খুব দুঃখজনক।” নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুদের ওপরও নির্যাতন করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নৈরাজ্যের পরিবর্তে গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক, এটি আমাদের প্রত্যাশা। বিরোধীদলীয় নেত্রী থেকে আশা করব- নাশকতা ও জঙ্গিবাদী পরিহার করে গণতন্ত্রের পথে থাকবেন।”

শেখ হাসিনা বলেন, “২০২১ সালের মধ্যে মধ্য আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে বাংলাদেশ।” “প্রধানমন্ত্রী হয়েছি বড় কথা নয়, দেশের ও জনগণের সেবা করার সুযোগ পেলাম। এখন উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখা বড় কথা।

শেখ হাসিনা বলেন, “আমাদের রিজার্ভ যা আছে, তাতে পদ্মাসেতুর মূল নির্মাণকাজ শুরু করা কঠিন নয়। জুনের মধ্যে কাজ শুরু হবে।” আমরা এগিয়ে যেতে চাই এবং যাচ্ছি। আমরা চাই বাংলাদেশ নিরাপদে থাকুক। আমরা আশা করি বাংলাদেশ সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় শান্তির পথে এগিয়ে যাবে’।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘জনগণ আমাদের উপর যে আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে আমরা তা রাখবো। এই দেশকে আমরা একটি উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তোলার স্বপ্ন অবশ্যই অর্জিত হবে’।

বর্তমান সরকারের মূল লক্ষ্য কী-জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর যে প্রকল্পগুলো আমরা শুরু করেছিলাম ২০০১ সালে ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পর সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। এবার আর বাংলাদেশ পিছিয়ে যাবে না। বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে’।

http://www.youtube.com/watch?feature=player_embedded&v=fwrreN1hNQo#t=0