স্থিতিশীল তহবিলে অবণ্টিত ডিভিডেন্ড স্থানান্তর ৩০ আগস্ট শেষ হচ্ছে
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও তারল্য সংকট দূর করতে ২০ হাজার কোটি টাকার ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল’ বা ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ গঠন করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এই ফান্ডেরজন্য ইতোমধ্যে বোর্ডও গঠন করা হয়েছে। পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত বিভিন্ন কোম্পানি ও মিউচুয়্যাল ফান্ডের বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউস, মার্চেন্ট ব্যাংকে পড়ে থাকা অর্থ ও শেয়ারের সমন্বয়ে এ তহবিল গঠন করা হচ্ছে।
পুঁজিবাজারের যেসকল কোম্পানির কাছে অবন্টিত ডিভিডেন্ড বা শেয়ার রয়েছে তা আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে জমা দিতে হবে। এর জন্য নতুন করে আর সময় বাড়ানো হবে না বলে জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। বুধবার (২৫ আগস্ট) বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরীর কাছে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। গত ১১ আগস্ট বিএপিএলসি’র পক্ষ পাঠানো একটি চিঠির জবাবে এমনটি জানিয়েছে বিএসইসি।
এ বিষয়টি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই), সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল) ও ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশের (আইসিবি) ব্যবস্থাপনা পরিচালককে অবহিত করেছে বিএসইসি।
বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে, আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশর অর্থ ও শেয়ার জমা দিতে হবে। এরপর বিএসইসির আর সময় বাড়ানোর সুযোগ নেই। তাই বিভিন্ন কোম্পানির সকল অবণ্টিত লভ্যাংশ এবং ব্রোকারেজ হাউস-মার্চেন্ট ব্যাংকে পড়ে থাকা অর্থ ও শেয়ার পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে স্থানান্তর করতে বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে নগদ লভ্যাংশ বা অর্থ ব্যাংক হিসাবে জমা থাকা অবস্থায় কোনো সুদ অর্জিত হলে, তাও এ তহবিলে জমা দিতে হবে।
পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ স্থানান্তরের প্রক্রিয়া দেখভালোর জন্য ডিএসই, সিএসই, সিডিবিএল ও আইসিবিকে দায়িত্ব দিয়েছে বিএসইসি। একইসঙ্গে বিষয়ে একটি প্রতিবেদনও বিএসইসিতে দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ৭ জুলাই পুঁজিবাজার স্থিতিশীলতা তহবিলে অবন্টিত লভ্যাংশ স্থানান্তরের জন্য সময় চেয়েছে বিএসইসির কাছে আবেদন জানায় বিএপিএলসি। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত অবন্টিত লভ্যাংশ স্থানান্তরের সময় দেয় বিএসইসি।
এ বিষয়ে সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মামুন-উর-রশিদ বলেন, ‘পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিলে বিতরণ না হওয়া লভ্যাংশ স্থানান্তরের বিষয়ে আমরা বিএসইসি’র চিঠি পেয়েছি। লভ্যাংশ স্থান্তরের ক্ষেত্রে আর সময় বাড়ানো হচ্ছে না বলে জানিয়েছে বিএসইসি। আমাদেরকে বিষয়েটি দেখভাল করতে এবং এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
যেসব প্রতিষ্ঠানের কাছে রক্ষিত অবন্টিত লভ্যাংশ আছে তা কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের গুলশান করপোরেট শাখায় ‘ক্যাপিটাল মার্কেট স্ট্যাবিলাইজেশন ফান্ড’ এর হিসাবে আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে জমা দিতে হবে। এক্ষেত্রে তিন বছরের অধিক সময় পড়ে থাকা অর্থ-শেয়ার, নন রিফান্ডেড পাবলিক সাবস্ক্রিপশনের অর্থ এ তহবিলে স্থানান্তর করা হবে। লভ্যাংশ ঘোষণা বা অনুমোদনের দিন বা রেকর্ড ডেট থেকে তিন বছর হিসাবে পড়ে থাকা অর্থ তহবিলে জমা দিতে হবে।
তহবিলটির আকার ২০ হাজার কোটি টাকার মতো। এর মধ্যে নগদ লভ্যাংশের পরিমাণ প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকা। আর বোনাস স্টক লভ্যাংশের বাজার মূল্য প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকা। এ তহবিলটি পরিচালনা করবে ইনভেস্টমেন্ট করপোরেশন অব বাংলাদেশ।
তহবিলে শেয়ার বা টাকা হস্তান্তরের পরও তা দাবি করতে পারবেন সংশ্লিষ্ট বিনিয়োগকারী। নিজের দাবির পক্ষে প্রমাণসহ সংশ্লিষ্ট কোম্পানি বা সম্পদ ব্যবস্থাপক কোম্পানি বা ব্রোকারেজ হাউস বা মার্চেন্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। আবেদনের এক মাসের মধ্যে ওই বিনিয়োগকারীর শেয়ার বা টাকা ফেরত দেওয়া হবে।
গত ২২ আগস্ট পুঁজিবাজার স্থিতিশীল তহবিল ব্যবস্থাপনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানকে প্রধান করে ১১ সদস্যের বোর্ড অব গভর্নস অনুমোদন দিয়েছে বিএসইসি।
বোর্ড অব গভর্নসের অন্যান্য সদস্যরা হলেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক মো. সাইফুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফাইন্যান্স বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক শেখ তানজিলা দ্বীপ্তি, ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জর (ডিএসই) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. তারিক আমিন ভুঁইয়া, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান আসিফ ইব্রাহিম, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিডিবিএল) স্বতন্ত্র পরিচালক এ কে এম নুরুল ফজলে বাবুল, সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেডের (সিসিবিএল) পরিচালক ড. মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি আজম জে চৌধুরী,
দি ইন্সটিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টেন্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) সদস্য এ কে এম দেলোয়ার হোসেন। এছাড়া এ ফান্ড ব্যবস্থাপনার জন্য একজন চিফ অব অপারেশন (সিওও) পদে একজনকে মনোনয় দেবে বিএসইসি।
রেস ম্যানেজমেন্টের ২২৮ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা: রেস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের পরিচালনা করা মিউচ্যুয়াল ফান্ডগুলো চলতি হিসাব বছরে গড়ে প্রতিটির ২৬১ শতাংশ হারে মুনাফা বেড়েছে। এর ওপর ভিত্তি করে অতালিকাভুক্ত একটিসহ মোট ১১টি ফান্ড থেকে ইউনিটহোল্ডারদের জন্য প্রায় ২২৮ কোটি টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার (২৫ আগস্ট) রেস ম্যানেজেমেন্টের পরিচালিত ফান্ডগুলোর ট্রাস্টি এই লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে।
শেয়ারবাজারের চলমান উত্থানে মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মুনাফায় বড় উত্থান হয়েছে। এ তালিকায় রেস ম্যানেজমেন্টের পরিচালিত ১০টি তালিকাভুক্ত ফান্ডও রয়েছে। যেগুলোর আগের হিসাব বছরের তুলনায় চলতি হিসাব বছরে গড়ে ২৬১ শতাংশ হারে মুনাফা বেড়েছে।
এই মুনাফা বৃদ্ধির ফলে ফান্ডগুলো থেকে বড় লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ বছর রেস ম্যানেজমেন্ট পরিচালিত তালিকাভুক্ত ১০টি ফান্ড থেকে ২২১ কোটি ২৪ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এছাড়া অতালিকাভুক্ত রেস স্পেশাল অপরচুনিটিজ ইউনিট ফান্ড থেকে ১৫ শতাংশ হারে ৬ কোটি ৪৬ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে। এ হিসেবে রেস ম্যানেজমেন্টের ১১টি ফান্ড থেকে ২২৭ কোটি ৭০ লাখ টাকার নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা হয়েছে।
রেস অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্টের পরিচালিত ফান্ডগুলোর মধ্যে- ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা ফার্স্ট জনতা ব্যাংক ফান্ডকে প্রদান করতে হবে হবে ৩৭.৬৯ কোটি টাকা। ১৩ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা ইবিএল ফার্স্ট ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ১৮.৮২ কোটি টাকা। ৮.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা পপুলার লাইফ ফার্স্ট ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ২৫.৪২ কোটি।
শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ২৭.৩২ কোটি টাকা। ৮.৫০ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা পিএইচপি ফার্স্ট ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ২৩.৯৬ কোটি টাকা। ৮ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা এবি ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ১৯.১৩ কোটি টাকা। ৭.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা আইএফআইসি ফার্স্ট ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ১৩.৬৬ কোটি টাকা।
৭.৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ১০.৭৪ কোটি টাকা। ৬ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা ইবিএল এনআরবি ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ১৩.৪৬ কোটি টাকা। ৪ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ ঘোষণা করা ফার্স্ট বাংলাদেশ ফিক্সড ফান্ডকে প্রদান করতে হবে ৩১.০৪ কোটি টাকা। সেহিসেবে মোট ২২১.২৪ কোটি টাকা প্রদান করবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত রেস অ্যাসেট ম্যানেজম্যান্টের ফান্ডগুলো।
ব্লক মার্কেটে তিন কোম্পানির লেনদেনের শীর্ষে: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৫৯টি কোম্পানি লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব কোম্পানির ৫৭ কোটি ৪৬ লাখ ২৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে। ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। আজ ব্লক মার্কেটে তিন কোম্পানির বিশাল লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর শেয়ার লেনদেন হয়েছে প্রায় ৩১ কোটি টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি শেয়ার লেনদেন হয়েছে আনোয়ার গ্যালভানাইজিংয়ের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১২ কোটি ২৫ লাখ ৭৯ হাজার টাকার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে ফরচুন সুজের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১১ কোটি ৭৪ লাখ ২৫ হাজার টাকার। তৃতীয় সর্বোচ্চ লেনদেন হয়েছে মার্কেন্টাইল ইন্সুরেন্সের। কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৬ কোটি ৭৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার।
এছাড়া, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ২ কোটি ২৮ লাখ ২০ হাজার টাকার, ন্যাশনাল হাউসিংয়ের ১ কোটি ৯২ লাখ ২৫ হাজার টাকার, মেঘনা লাইফের ১ কোটি ৮৫ লাখ ৪৮ হাজার টাকার, শাহজিবাজার পাওয়ারের ১ কোটি ৬৬ লাখ ৫৯ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার ব্যাংকের ১ কোটি ৪৯ লাখ ৪৬ হাজার টাকার, বার্জার পেইন্টসের ১ কোটি ৪২ লাখ ৮০ হাজার টাকার, আইপিডিসির ১ কোটি ৪২ লাখ ১৪ হাজার টাকার,
রহিম টেক্সটাইলের ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৪ হাজার টাকার, রানার অটোর ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকার, জেনেক্স ইনফোসিসের ১ কোটি ৯ লাখ ২৭ হাজার টাকার, জিপিএইচ ইস্পাতের ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকার, সাফকো স্পিনিংয়ের ৮৬ লাখ ১৩ হাজার টাকার, কে এন্ড কিউয়ের ৭২ লাখ ৪৫ হাজার টাকার, বিডি ফাইন্যান্সের ৬০ লাখ ৬০ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ৫৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার, ঢাকা ডাইংয়ের ৫২ লাখ ৫৫ হাজার টাকার, প্রিমিয়ার সিমেন্টের ৫০ লাখ ৬৪ হাজার টাকার, কাট্টালি টেক্সটাইলের ৪৬ লাখ ৩০ হাজার টাকার,
ডেল্টা লাইফের ৪৩ লাখ ৬০ হাজার টাকার, রহিমা ফুডের ৩৮ লাখ ২৮ হাজার টাকার, লাফার্জ হোলসিমের ৩৭ লাখ ১৫ হাজার টাকার, মালেক স্পিনিংয়ের ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকার, ন্যাশনাল পলিমারের ৩১ লাখ ৫০ হাজার টাকার, প্রগতি ইন্স্যুরেন্সের ৩০ লাখ ৬০ হাজার টাকার, এনআরবিসি ব্যাংকের ২৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার, আরএকে সিরামিকের ২৪ লাখ ৯০ হাজার টাকার, আলিফের ২৪ লাখ ৭৮ হাজার টাকার, হাইডেলবার্গের ১৬ লাখ ৬০ হাজার টাকার, লংকাবাংলা ফাইন্যান্সের ১৬ লাখ ১৯ হাজার টাকার,
এশিয়া ইন্স্যুরেন্সের ১৫ লাখ ৮৪ হাজার টাকার, নাহি অ্যালুমিনিয়ামের ১৫ লাখ ৮১ হাজার টাকার, পেনিনসুলার ১৫ লাখ ৪০ হাজার টাকার, সামিট পাওয়ারের ১৪ লাখ ৯৭ হাজার টাকার, বে-লিজিংয়ের ১২ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ড্রাগন সোয়েটারের ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকার, বেক্সিমকো ফার্মার ১০ লাখ ২০ হাজার টাকার, জিবিবি পাওয়ারের ৯ লাখ ৬৮ হাজার টাকার, আরডি ফুডের ৯ লাখ ২৮ হাজার টাকার,
জাহিন স্পিনিংয়ের ৯ লাখ টাকার, ইস্টলেন্ডের ৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকার, স্ট্যান্ডার্ড ইন্সুরেন্সের ৮ লাখ ৯ হাজার টাকার, আইএফআইসি ব্যাংকের ৭ লাখ ৪৯ হাজার টাকার, ওরিয়ন ফার্মার ৭ লাখ ৪০ হাজার টাকার, ওই-ম্যাক্সের ৭ লাখ ৩৯ হাজার টাকার, এনএলআই প্রথম মিউচুয়াল ফান্ডের ৬ লাখ ৯৬ হাজার টাকার, এসবিএসি ব্যাংকের ৬ লাখ ৮০ হাজার টাকার, ফেডারেল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ৩৫ হাজার টাকার,
গ্লোবাল ইন্স্যুরেন্সের ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকার, ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকার, আইসিবিএএমসিএল সেকেন্ড ৫ লাখ ৬৫ হাজার টাকার, প্রাইম লাইফের ৫ লাখ ১২ হাজার টাকার, বেঙ্গল উইন্ডসোরের ৫ লাখ ১০ হাজার টাকার, মেট্রো স্পিনিংয়ের ৫ লাখ ৮ হাজার টাকার, অ্যাসোসিয়েট অক্সিজেনের ৫ লাখ ৬ হাজার টাকার, পূরবী জেনারেলের ৫ লাখ ৬ হাজার টাকার, ইন্ডেক্স এগ্রোর ৫ লাখ ৪ হাজার টাকার লেনদেন হয়েছে।
আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের কোটা বাতিলের সিদ্ধান্ত: পুঁজিবাজারের ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের প্রাথমিক গণপ্রস্তাব (আইপিও) আবেদনের কোটা বাতিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে অনুমোদন পাওয়া প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদন থেকেই এটি বাতিল হচ্ছে বলে বিএসইসি সূত্রে জানা গেছে।পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্থ ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীরা ২০ শতাংশ আইপিও কোটা গত ১০ বছর ধরে ভোগ করে আসছেন।
প্রতিবছরই অর্থমন্ত্রনালয় থেকে এই কোটা রাখার মেয়াদ বাড়ানো হয়। সময় বাড়ানোর জন্য প্র্রতিবছর পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) পক্ষ থেকে আবেদন করা হতো। কিন্তু এই বছর ক্ষতিগ্রস্তদের আইপিও কোটার মেয়াদ শেষ হলেও সময় বাড়ানোর জন্য আবেদন করেনি বিএসইসি। ফলে আইপিও থেকে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা করে ক্ষতিগ্রস্ত কোটার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না।
এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্থ তদারকি আহ্বায়ক ও বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান বলেন, ২০১০ সাল থেকে আইপিওতে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জন্য ২০ শতাংশ কোটা ছিলো। এর মেয়াদ গত জুন,২০২১ তারিখে শেষ হয়ে গেছে। কোটার মেয়াদ বাড়ানোর বিষযে মন্ত্রনালয় থেকে কোন চিঠি আমরা পাইনি। যেহেতু কোন চিঠি আসেনি তাই এর মেয়াদ আর বাড়ানো হচ্ছে না।
এই বিষয় বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো: রেজাউল করিম বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের কোটার সময় বাড়ানোর বিষয়ে কোন নির্দেশনা আসেনি। ফলে জুলাই মাসের পর থেকে অনুমতিপত্র পাওয়া কোম্পানিগুলোতে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের জন্য আলাদা কিছু থাকছে না। তবে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের জন্য বরাদ্দ যা ছিলো, সেগুলো সাধারণ বিনিয়োগকারীদের কাছে চলে যাবে। এতে করে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বরাদ্দ আগের তুলনায় বাড়ছে।
প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের পুঁজিবাজারে ভয়াবহ ধসে পুঁজি হারিয়ে নিঃস্ব হয়েছে লাখ লাখ বিনিয়োগকারী। পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের আন্দোলনের মুখে পুঁজিবাজারের বড় ধরনের সংস্কার করে সরকার। এর মধ্যে ২০১১ সালের ২৩ নভেম্বর ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতি পুষিয়ে দিতে প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার।
প্রণোদনার অংশ হিসেবে মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ থেকে ক্ষতিগ্রস্থ বিনিয়োগকারীদের জন্য আইপিওতে ২০ শতাংশ কোটায় আবেদন করার জন্য ১৮ মাস অর্থাৎ ২০১২ সালের ১ জুলাই থেকে ২০১৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় বেঁধে দেয়।
এরপর থেকে পুঁজিবাজারে ক্ষতিগ্রস্তদের বিনিয়োগকারীদের লোকসান সমন্বয়ের কথা চিন্তা করে প্রতিবছরই এর মেয়াদ বাড়িয়ে দেয় অর্থমন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায় ৩০ জুন, ২০২১ তারিখে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কোটার মেয়াদ শেষ হয়েছে।
রেইস ম্যানেজমেন্টের ১০ মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লভ্যাংশ ঘোষণা : সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানি রেইস অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির ১০টি মিউচ্যুয়াল ফান্ড ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছ। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
ফার্স্ট জনতা ব্যাংক মিউচ্যুয়াল ফান্ড :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ১৩ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি মোট আয় করেছে ২ টাকা ৫৪ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ১ টাকা ২৬ পয়সা।
এবি ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি৮ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি মোট আয় করেছে ২ টাকা ৬২ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ১ টাকা ৮১ পয়সা।
ইবিএল ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ১৩শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি মোট আয় করেছে ২ টাকা ৬১ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
ইবিএল এনআরবি মিউচ্যুয়াল ফান্ড:৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ৬ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯২ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
এক্সিম ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে। সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি এবার ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা। গত বছর লোকসান ছিল ১ টাকা ২৮ পয়সা।
এফবিএফআইএফ :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ৪ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ১ টাকা ৯৩ পয়সা। গত বছর লোকসান ছিল ১ টাকা ৫৫ পয়সা।
আইএফআইসি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ৭.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটে আয় করেছে ২ টাকা ৩২ পয়সা। গত বছর ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি লোকসান দিয়েছিল ১ টাকা ৫৮ পয়সা।
পিএইচপি ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ৮.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটি ইউনিটপ্রতি আয় করেছে ২ টাকা ৪ পয়সা। গত বছর লোকসান ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা।
পপুলার লাইফ ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ৮.৫০ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির ইউনিট প্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ৮ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ২৩ পয়সা।
ট্রাস্ট ব্যাংক ফার্স্ট মিউচ্যুয়াল ফান্ড :৩০ জুন, ২০২১ অর্থবছরে ফান্ডটি ৯ শতাংশ ক্যাশ ডিভিডেন্ড ঘোষণা করেছে।
সমাপ্ত অর্থবছরে ফান্ডটির ইউনিটপ্রতি আয় হয়েছে ২ টাকা ২৪ পয়সা। গত বছর ইউনিটপ্রতি লোকসান ছিল ১ টাকা ৩৭ পয়সা।
ডিএসই ১৩ কোম্পানির শেয়ারে বিক্রেতা উধাও: পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ১৩ কোম্পানির শেয়ার আজ বুধবার (২৫ আগস্ট) সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সিংহভাগ কোম্পানি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত সার্কিট ব্রেকারের সর্বোচ্চ দরে লেনদেন হয়ে হল্টেড ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
কোম্পানিগুলোর হলো: মেঘনা পেট, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, শ্যামপুর সুগার, ইমাম বাটন, মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, এসবিএসি ব্যাংক, আইপিডিসি, পদ্মা লাইফ, ফু-ওয়াং ফুড, ইসলামি ফাইন্যান্স, অলটেক্স, ইউনিয়ন ক্যাপিটাল এবং প্রাইম ফাইন্যান্স।
মেঘনা পেট: আগেরদিন (মঙ্গলবার) কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৮ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩০ টাকা ৮০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩০ টাকা ৮০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ১০ শতাংশ।
সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫৬ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৭১ টাকা ৬০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৭১ টাকা ৬০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১৫ টাকা ৬০ পয়সা বা ১০ শতাংশ।
শ্যামপুর সুগার: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৯৬ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১০৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১০৫ টাকা ৭০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৯৯ শতাংশ।
ইমাম বাটন: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৪ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৪০ পয়সা বা ৯.৯৭ শতাংশ।
মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২১ টাকা ১০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৩ টাকা ২০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২৩ টাকা ২০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৯৫ শতাংশ।
এসবিএসি ব্যাংক: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২৩ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২৫ টাকা ৬০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২৫ টাকা ৬০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৩০ পয়সা বা ৯.৮৭ শতাংশ।
আইপিডিসি: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩৭ টাকা ৫০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪১ টাকা ২০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৪১ টাকা ২০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৩ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৮৬ শতাংশ।
পদ্মা লাইফ: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৪১ টাকা ৬০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৪৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৪৫ টাকা ৭০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ৪ টাকা ১০ পয়সা বা ৯.৮৫ শতাংশ।
ফু-ওয়াং ফুড: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ২০ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২২ টাকা ৩০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২২ টাকা ৩০ পয়সা। এটি লেনদেনের শেষ পর্যন্ত বিক্রেতা সংকটে ছিল। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা বা ৯.৮৫ শতাংশ।
ইসলামি ফাইন্যান্স: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ৩০ টাকা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ৩২ টাকা ৮০ পয়সা। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ২ টাকা ৮০ পয়সা বা ৯.৩৩ শতাংশ।
অলটেক্স: আগেরদিন (মঙ্গলবার) কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৮ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ২০ টাকা ১০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ২০ টাকা আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৭০ পয়সা বা ৯.৯২ শতাংশ।
ইউনিয়ন ক্যাপিটাল: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১১ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১২ টাকা ৪০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১২ টাকা ৩০ পয়সা। আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা বা ৮.৮৫ শতাংশ।
প্রাইম ফাইন্যান্স: আগেরদিন কোম্পানিটির শেয়ারের ক্লোজিং দর ছিল ১৫ টাকা ৩০ পয়সা। আজ কোম্পানিটির সর্বোচ্চ দর উঠেছে ১৬ টাকা ৮০ পয়সা এবং ক্লোজিং দর হয়েছে ১৬ টাকা ৬০ পয়সা।আজ শেয়ারটির দর বেড়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা বা ৮.৪৯ শতাংশ।
ডিএসই সূচক টেনে ধরেছে ৫ কোম্পানি: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ৫ কোম্পানি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক টেনে ধরেছে। এই ৫ কোম্পানির কারণে ডিএসইর সূচক কমেছে ৫.৫১ পয়েন্ট। কোম্পনিগুলো হলো- গ্রামীণফোন, লাফার্জহোলসিম, বিকন ফার্মা, স্কয়ার ফার্মা এবং ন্যাশনাল ব্যাংক লিমিটেড। আমারস্টক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আজ গ্রামীণফোন সবচেয়ে বেশি সূচককে টেনে ধরতে চেয়েছে। আজ ডিএসইর সূচক টেনে ধরার ক্ষেত্রে কোম্পানিটির অবদান ছিলো ১.৯২ পয়েন্ট। অর্থাৎ আজ কোম্পানিটির দর কমেছে ০.৩৫ শতাংশ। এতে ডিএসইর সূচক কমেছে ১.৯২ পয়েন্ট। ডিএসইর সূচক টেনে নামানোর দ্বিতীয় কোম্পানি হলো লাফার্জহোলসিম বাংলাদেশ লিমিটেড। কোম্পানিটির শেয়ার দর কমেছে আজ ১.২২ শতাংশ। এতে আজ ডিএসইর সূচক কমেছে ১.১৫ শতাংশ।
একইভাবে বিকন ফার্মার শেয়ার দর কমার কারণে ডিএসইর প্রধান সূচক কমেছে ১.০৯ পয়েন্ট, স্কয়ার ফার্মার দর কমার ০.৬৮ পয়েন্ট এবং ন্যাশনাল ব্যাংকের দর কমার কারণে ডিএসইর সূচক কমেছে ০.৬৭ পয়েন্ট। এই ৫ কোম্পানির অবদানে আজ ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স কমেছে ৫.৫১ পয়েন্ট।
এছাড়াও, অলিম্পিক এক্সেসোরিজের কারণে ০.৬৪ পয়েন্ট, এমজেএল এর কারণে ০.৬৩ পয়েন্ট, ইউনাইটেড পাওয়ারের কারণে ০.৫৭ পয়েন্ট, জেনেক্স ইনফোসিসের কারণে ০.৪৯ পয়েন্ট এবং সামিট পাওয়ারের কারণে ০.৪৭ পয়েন্ট কমেছে। আজ এই ১০ কোম্পানির অবদানে ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স ডিএসইএক্স সূচক কমেছে ৮.৩১ পয়েন্ট।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ সভা ৩১ আগস্ট: শেয়ারবাজারে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদের সভার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সভা মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) দুপুর ২টা ৪৫ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। বুধবার (২৫ আগস্ট) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
ইসলামী ইন্স্যুরেন্সের পরিচালনা পর্ষদ সভায় চলতি হিসাব বছরের ৩০ জুন সমাপ্ত সময়ের দ্বিতীয প্রান্তিক (এপ্রিল-জুন, ২০২১) ও অর্ধবার্ষিক (জানুযারি-জুন, ২০২১) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে। পরবর্তীতে আলোচ্য প্রতিবেদন অনুমোদন সাপেক্ষে শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে প্রকাশ করা হবে। আগের প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছিল ০.৬৯ টাকা।
পুঁজিবাজারে চার কার্যদিবস পর কিছুটা দরপতনে : টানা চার কার্যদিবস উত্থানের পর পুঁজিবাজারে কিছুটা পতনে শেষ হয়েছে লেনদেন। এদিন শেয়ারবাজারের সব সূচক কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও।
আজ ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৫.৯২ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৮৭৮.৭৫ পয়েন্টে। ডিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে শরিয়াহ সূচক ১.২৭ পয়েন্ট এবং ডিএসই-৩০ সূচক ৩.৮৬ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে যথাক্রমে এক হাজার ৪৯৩.২১ পয়েন্টে এবং দুই হাজার ৪৫৯.৬৯ পয়েন্টে।
ডিএসইতে আজ ২ হাজার ৫৬৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে। যা আগের কার্যদিবস থেকে ১৯৩ কোটি ২৬ লাখ টাকা কম। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৭৬২ কোটি ৯০ লাখ টাকার।
ডিএসইতে আজ ৩৭৪টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৫২টির বা ৪০.৬৪ শতাংশের, শেয়ার দর কমেছে ১৯৬টির বা ৫২.৪১ শতাংশের এবং ২৬টির বা ৬.৯৫ শতাংশের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে।
অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১৭.৩৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৪৭.৭০ পয়েন্টে। সিএসইতে আজ ৩২৫টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৩২টির দর বেড়েছে, কমেছে ১৬৮টির আর ২৫টির দর অপরিবর্তিত রয়েছে। সিএসইতে ১০০ কোটি ২২ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।
গ্রামীণফোন ও রবির সূচকের উত্থান পতনে ভূমিকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে তালিকাভুক্ত টেলিকমিনিউকেশন খাতের দুই কোম্পানি রবি আজিয়াটা ও গ্রামীণফোন লিমিটেড বিপরীতমূখী অবস্থান নিয়েছে। এর ভেতরে রবি আজিয়াটা সূচকের উত্থানের চেষ্টায় অবদান রেখেছে ৮.০৪ পয়েন্ট। আর গ্রামীণফোন বিপরীতমূখী অবস্থান নিয়ে সূচক টেনে ধরেছে ১.৯২ পয়েন্ট।
দিনশেষে দেখা গেলো রবির সূচক টেনে উঠানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। গ্রামীণফোনের সূচক নামানো প্রচেষ্টা সফল হয়েছে। যার ফলে আজ বাজারে ৫ পয়েন্ট পতন হয়েছে। এতে করে গ্রামীণফোনের কাছে রবির হার হয়েছে। অর্থাৎ গ্রামীণফোনের শেয়ার দর কমাতে ডিএসইর সূচক কমেছে। আর রবির শেয়ার দর বাড়াতেও সূচকের পতন ঠেকাতে পারেনি। আমার স্টক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
জানা গেছে, আজ রবি আজিয়াটার শেয়ার দর বেড়েছে ১ টাকা ৪০ পয়সা বা ৩.২৩ শতাংশ। এতে করে আজ কোম্পানিটি ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স বৃদ্ধির চেষ্টায় অবদান রেখেছে ৮.০৪ পয়েন্ট। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৪৩ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয়েছে ৪৪ টাকা ৭০ পয়সা।
অন্যদেক, আজ গ্রামীণফোনের শেয়ার দর কমেছে ১ টাকা ৩০ পয়সা বা ০.৩৫ শতাংশ। এতে করে আজ কোম্পানিটি ডিএসইর ব্রড ইনডেক্স টেনে ধরায় নেতিবাচকঅবদান রেখেছে ১.৯৪ পয়েন্ট। গতকাল কোম্পানিটির শেয়ার লেনদেন হয়েছিলো ৩৬৯ টাকা ৩০ পয়সায়। আজ শেয়ারটির ক্লোজিং দর হয়েছে ৩৬৮ টাকায়।
ডিএসই’র লেনদেন ভাটার নেপথ্যে পাঁচ খাত: পুঁজিবাজারে টানা চার কার্যদিবস উত্থানের পর আজ পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেনে কিছুটা পিছুটান দেখা দিয়েছে। এদিন পুঁজিবাজারের সব সূচক কমেছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। আগের দিনের চেয়ে আজ লেনদেনও কমেছে ১৯২ কোটি টাকার বেশি। পাঁচ খাতের লেনদেনে ভাটার টান ছিল বিধায় আজ পুঁজিবাজারে লেনদেনে পিছু টান দেখা দিয়েছে। খাতগুলো হলো- বিবিধ, ব্যাংক, বস্ত্র, ওষুধ ও রসায়ন এবং প্রকৌশল খাত।
বিবিধ: বিবিধ খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৫৪ কোটি ৭০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৯২ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৩৮ কোটি ১০ লাখ টাকা।
ব্যাংক: ব্যাংক খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৬৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা।
বস্ত্র: বস্ত্র খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১৩১ কোটি ৪০ লাখ টাকা আগেরদিন লেনদেন হয়েছে ১৫৩ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ২২ কোটি টাকা।
ওষুধ ও রসায়ন: ওষুধ ও রসায়ন খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ৭৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ৯৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ১৮ কোটি টাকা।
প্রকৌশল: প্রকৌশল খাতে আজ লেনদেন হয়েছে ১০০ কোটি ২০ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছে ১০৭ কোটি ১০ লাখ টাকা। আজ লেনদেন কমেছে ৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা।