আর্থিক খাত ও বস্ত্র খাতের দাপটে বড় পতন থেকে রক্ষা পেল পুঁজিবাজার
দেশ প্রতিক্ষণ, ঢাকা: পুঁজিবাজারে সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে আর্থিক খাতের দাপটে পুঁজিবাজার বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেল। দীর্ঘদিন পর এ খাতের শেয়ারের দর বাড়ায় বিনিয়োগকারীদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি প্রকাশ করছে। গত কয়েক মাসে দরপতনের দাপটে এ খাতের অধিকাংশ শেয়ারের ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত দরপতন হয়েছে।
ফলে পুঁজি নিয়ে দু:শ্চিন্তায় ছিলেন বিনিয়োগকারীরা। অতপর শেয়ার কেনার চেয়ে বিক্রির চাপে সূচক ধরে রাখল অর্থিক খাত। পাশাপাশি বস্ত্র খাতের শেয়ারে একচেটিয়া প্রভাব ছিল। আজ কয়েকটি বস্ত্র খাতের শেয়ার বিক্রেতা শুন্য হয়ে পড়ে। এ দিন ব্যাংক-বিমা খাতের শেয়ার দাম কমলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং বস্ত্র খাতের শেয়ারের দাম বেড়েছে। আর তাতে বড় দরপতন থেকে রক্ষা পেয়েছে পুঁজিবাজার।
দিনভর সূচক উঠানামা শেষে এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে দশমিক ১৩ পয়েন্ট। অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সূচক কমেছে ৩৮ পয়েন্ট। সূচকের পাশাপাশি কমেছে লেনদেনও। তবে আগের দিন (মঙ্গলবার) বিক্রেতা চেয়ে ক্রেতার চাহিদা বেশি থাকায় পুঁজিবাজারে উত্থান হয়েছিল।
ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, বুধবার ডিএসইতে ৩৭১টি প্রতিষ্ঠানের ২২ কোটি ৫২ লাখ ৪০ হাজার ৯৪০টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫৮টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৫৭টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ৬৬টির দাম। এদিন ডিএসইর প্রধান সূচক দশমিক ১৩ পয়েন্ট কমে ৭ হাজার ৩২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ডিএসইএক্স সূচক আগের দিনের চেয়ে কমেছে দশমিক ৫২ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ১দশমিক ১৭ পয়েন্ট।
ডিএসইতে বুধবার লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১১৫ কোটি ৭৮ লাখ ৭ হাজার টাকার শেয়ার। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ১১৭ কোটি ৪২ লাখ ৬৯ হাজার টাকার শেয়ার। অর্থাৎ আগের দিনের চেয়ে লেনদেন কিছুটা কমেছে। ডিএসইতে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে বেক্সিমকোর শেয়ার। এরপর ছিল বিএসসি, মতিন স্পিনিং, আরএকে সিরামিক, ওরিয়ন ফার্মা, এশিয়া ইন্স্যুরেন্স, জিপিএসইচ ইস্পাত, অগ্নি সিস্টেম, পাওয়ার গ্রিড এবং সোনালী পেপার লিমিটেড।
অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩৮ পয়েন্ট কমে ২০ হাজার ৫৯৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। সিএসইতে ৩০৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ১৪০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৩৩টির; অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৬টির দাম। এ বাজারে লেনদেন হয়েছে ২৬ কোটি ৮৪ লাখ ৬৫ হাজার ৩১২ টাকার শেয়ার। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ২৫ কোটি ৮৮ লাখ ৬০ হাজার ১৫৫ টাকার শেয়ার।