হসিনা-তারেক-খালেদাফয়েজ মাহমুদ,ঢাকা: সরকারের সঙ্গে সমঝোতার প্রশ্নে নির্বাচনের পরদিন তারেক রহমানের না ও খালেদা জিয়ার হ্যাঁ এবং শেখ হাসিনার শর্ত জামায়াতের সঙ্গ ছাড়লে সমঝোতা হবে এ নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে শুরু হয়েছে আলোচনা-সমালোচনা। প্রধান বিরোধী দলের বর্তমান চেয়ারপারসন ও ভবিষ্যৎ চেয়ারপারসন এবং প্রধানমন্ত্রীর আহ্ববান  রাজনৈতিক কৌশল নাকি প্রকৃতপক্ষে সমঝোতা তা নিয়ে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

নির্বাচনের পরদিন সোমবার সকালে এক সংবাদ সম্মেলনে লন্ডনে অবস্থানরত তারেক রহমান বর্তমান সরকারকে ‘অবৈধ’ আখ্যা দিয়ে তাদের সাথে কোনো ধরনের সমঝোতার সম্ভবনা নাকচ করে দেন। পাশাপাশি নির্বাচন বর্জন করায় দেশবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে দাবি আদায়ে আন্দোলন অব্যাহত রাখার ঘোষণাও দেন তিনি।

এরপর বিকেলে গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে প্রধান বিরোধী দল বিএনপিকে আলোচনায় বসার প্রস্তাব দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে সন্ত্রাস ও সহিংসতার পথ পরিহার এবং যুদ্ধাপরাধী দল জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ত্যাগ করার শর্ত আরোপ করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সরকারকে সমঝোতার আহ্বান জানান খালেদা জিয়া। তিনি বলেন, ‘আমি অবিলম্বে নির্বাচনের নামে এই প্রহসন বাতিল, সরকারের পদত্যাগ এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ একটি সরকারের অধীনে সকলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে সমঝোতায় পৌঁছার জন্য আহবান জানাচ্ছি।’

এখন সমঝোতা নিয়ে তারেক রহমানের না, প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব ও খালেদা জিয়ার আহ্বান- এ তিনটি বিষয় নতুন জটিলতা সৃষ্টি করেছে।