এখনই অবসরের ইচ্ছে নেই:পিটারসেন
রুহুল আমীন,ঢাকা: অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে লজ্জাজনকভাবে ধবলধোলাই হয়েছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যেই শুরু হয় কেভিন পিটারসেনের অবসর নিয়ে গুঞ্জন। তবে সব গুঞ্জনকেই উড়িয়ে দিলেন ইংলিশ ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন। সেইসঙ্গে প্রতিপক্ষকে অ্যাশেজ পুনরুদ্ধার করার হুমকিও দিয়ে দিয়েছেন সাবেক এই ইংলিশ অধিনায়ক।
হোয়াইটওয়াশ হবার পরই ভবিষ্যত নিয়ে শংকায় পড়ে যান পিটারসেন। এমনকি কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ারও পিটারসনের ভবিষ্যত নিয়ে কোন নিশ্চয়তা দিতে পারেননি। ইংল্যান্ডের সর্বকালের সেরা রান স্কোরারদের মধ্যে চতুর্থ পিটারসেন নিজে অবশ্য বিষয়টি নিয়ে চিন্তিত নন। দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী এই ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন এখনই ক্রিকেটকে বিদায় জানানোর কোন ইচ্ছে তার নেই।
সদ্য সমাপ্ত অ্যাশেজ সিরিজের পাঁচ টেস্টে ২৯.৪০ গড়ে ২৯৪ রান সংগ্রহ করেন পিটারসেন। আজ মঙ্গলবার নিজের অনুভুতি প্রকাশ করতে গিয়ে নিজের টুইটার পেজে তিনি লিখেছেন, “৫-০ ব্যবধানে পরাজিত হওয়াটা সত্যিই খুব হতাশাজনক। তার উপর আমি ব্যক্তিগত ভাবেও বেশী রান করতে পারিনি। এরপরেও অসাধারণ সমর্থনের জন্য আমি ইংল্যান্ডের সব সমর্থককে ধন্যবাদ জানাতে চাই। ২০১৫ সালের অ্যাশেজ শিরোপা ফিরিয়ে আনার জন্য আমি দৃঢ়প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।”
তৃতীয় টেস্টের পরেই স্পিনার গ্র্যায়েম সোয়ান তার অবসরের ঘোষনা দিয়েছিলেন। আর অতিরিক্ত চাপজনিত অসুস্থতার কথা জানিয়ে ব্যাটসম্যান জোনাথন ট্রট প্রথম ম্যাচের পরেই সিরিজ ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। অ্যাশেজে চূড়ান্তভাবে বিধ্বস্ত হওয়ার পর পিটারসন বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়ের মধ্যে অন্যতম যাকে নিয়ে সাবেক ক্রিকেটাররা সমালোচনার ঝড় তুলেছে।
এদিকে কোচ ফ্লাওয়ার জানিয়েছেন এই দলের প্রত্যেকের পারফরমেন্সই পর্যালোচনা করা হবে। তিনি বলেন, এটা ইংল্যান্ডের জন্য অত্যন্ত বাজে একটি পরাজয়। আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব খেলোয়াড় এবং কোচিং স্টাফদের পারফরমেন্স মূল্যায়ন করবো। ভবিষ্যতের জন্য এর প্রয়োজন রয়েছে।
সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভন মনে করেন দলের সহ-অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করে পিটারসনকে আরো বেশী দায়িত্বশীল করে তুলতে হবে। তার মতে, “এই ধরনের ব্যর্থতায় শুধুমাত্র পিটারসনকে দায়ী করলে চলবে না। অ্যালিস্টার কুকেরও দায়িত্ব আছে পিটারসেনকে সঠিকভাবে পরিচালনা করার। মূলত প্রত্যেকের নিজ নিজ পারফরমেন্স মূল্যায়ন করতে হবে। কিন্তু আমার ভয় হচ্ছে ইংল্যান্ড সেটা না করে পিটারসনকে দল থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে। এটা হবে ইংল্যান্ডের জন্য চরম ক্ষতিকর একটি সিদ্ধান্ত।”