বিশেষ প্রতিবেদক, ঢাকা : আ’প্রধানমন্ত্রীলীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, একাত্তরে আমরা যে শক্তিকে পরাজিত করেছিলাম সেই শক্তির পক্ষ নিয়েই খালেদা জিয়া দেশের বিরুদ্ধে, মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯ তম আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেছেন।

বঙ্গবন্ধু আর্ন্তজাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মেলার উদ্বোধন করেন তিনি। এবারে মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ করে  বলেছেন, বিরোধী দল হরতাল-অবরোধ দিয়ে দেশ অচল করার ঘোষণা দিলেও তারা দেশ অচল করতে পারেনি। হরতাল-অবরোধেও রফতানি কার্যক্রম এবং সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রা সচল রাখতে সরকার সফল হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী ব্যবসায়ীদের পণ্যের মান বজায় রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যাতে বিদেশে বাংলাদেশের পণ্যে নিয়ে বদনাম না হয়। তিনি বলেন, বিরোধী দলেরর  হরতাল-অবরোধের মধ্যেও আমাদের রফতানি বেড়েছে। তাদের ধ্বংসাত্মক কর্মসূচি দিয়ে রফতানি বন্ধ করে দিতে পারেনি। এতো জ্বালাও-পোড়াওয়ের মধ্যেও রফতানি ১৮ শতাংশ বেড়েছে।

তিনি বলেন, জামায়াতের হরতাল-অবরোধে ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানকে আমরা ক্ষতিপূরণ দেয়া শুরু করেছি। রবিবার সরকারের শপথ নেয়ার পরই বাকিদের ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত কয়েক মাস ধরে যে নাশকতা চলছে কেবল ’৭১ সালে আমরা দেখেছি। বাস-ট্রেনে মলোটভ ককটেল বোমা হামলায় মানুষ মারা হচ্ছে। হাজার হাজার বৃক্ষ নিধন করা হয়েছে, অবলা গরুও পুড়িয়ে মারা হয়েছে। যুদ্ধের সময়ও ওষুধের গাড়ি, সবজির গাড়ি আওতামুক্ত থাকে সে সবও বিরোধী দলের আক্রমণের শিকার হয়েছে।

প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য মেলার প্রবেশমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৩০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলায় দেশীয় পণ্যের পাশাপাশি ভারত, ইরান, চীন, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া,যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, হংকং, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের পণ্য প্রদর্শিত হবে।লে-আউট প্ল্যান অনুযায়ী বরাদ্দ প্রদানযোগ্য স্থাপনার সংখ্যা ৪৭১টি।

এর মধ্যে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্যাভিলিয়নের সংখ্যা ৯৬টি, মিনি প্যাভিলিয়ন ৪৯টি, স্টলের সংখ্যা ৩১৬টি এবং রেস্তোরা ১০টি। গতবারের তুলনায় এবার স্টল ও প্যাভিলিয়নের সংখ্যা কমেছে ৩৫টি। ১৮তম আর্ন্তজাতিক বাণিজ্য মেলায় মোট স্টল ছিল ৫০৬টি। দেশীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ১২টি দেশের ৩১টি বিদেশী প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্যের প্রদর্শনী করে।

উল্লেখ্য, সাধারণত পহেলা জানুয়ারি আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হয়। তবে ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মেলা শুরুর তারিখ আগেই ঘোষণা দিয়ে পেছানো হয়। জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে এড়িয়ে যেতে মূলত মেলা পেছানো হয়েছে।